উসামা ইবনে যায়িদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.199.85.26-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Waraka Saki-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
ত্রুটি সংশোধন (ID: 19) অউব্রা ব্যবহার করে
৪৭ নং লাইন:
'''উসামা ইবনে যায়িদ ''' হিজরতের ৭ বছর পূর্বে (৬১৫ খ্রিস্টাব্দে) [[মক্কা|মক্কায়]] জন্মগ্রহণ করেন।কারো কারো মতে তিনি হিজরতের ১০ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দত্তক পুত্র এবং তার মাতার ঘনিষ্টতা রাসুল এর মায়ের মতো হওয়ার কারণে তাকে রাসুল এর নাতি হিসেব বিবেচনা করা হতো।রাসুল তাকে তার নিজ সন্তানের মতো লালন-পালন করেন।তার মাতা ছিলেন রাসুল এর জননী হজরত আমিনার দাসি।যদিও তাঁর পিতা ছিলেন সাদা ও খাটো, উসামা ছিলেন কালো,লম্বা ও পাতলা।উসামার যৌবনকালে [[মুহাম্মাদ]] সা. এর একটি দামী চাদর ছিল।তিনি মাত্র একটি জুমার তা ব্যবহার করে উসামাকে উপহার দিয়ে দেন।দশ বছর বয়সে উসামা উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেন কিন্তু ছোট হওয়ার কারণে তিনি অনুমতি পান নি।সতের বছর বয়সে তিনি প্রথম খন্দকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।হুনাইনের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী অতর্কিত আক্রমনের শিকার হয়,উসামা ছিলেন সেই ছয় জনের মধ্যে একজন যারা রাসুল সা. এর সাথে যুক্ত হয়ে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং পরাজয়কে বিজয়ের রূপদান করেন।
 
== উসামা ইবন যায়িদ (রাঃ) ==
হিজরাতের পূর্বে মক্কায় নবুওয়াতের সপ্তম বছর চলছে। রাসূলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবীরা তখন কুরাইশদের চরম বাড়াবাড়ির শিকার। ইসলামী দাওয়াতের কঠিন দায়িত্ব ও বোঝা পালন করতে গিয়ে পদে পদে তিনি নানা রকম দুঃখ বেদনা ও মুসীবতের সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন সময় তাঁর জীবনে একটু খুশির আলোক আভা দেখা দিল। সুসংবাদ দানকারী খুশীর বার্তা নিয়ে এলো, ‘উম্মু আয়মন’ একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন। রাসূলুল্লাহর সা. পবিত্র মুখমণ্ডল আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। সেই সৌভাগ্যবান নবজাতক, যার ধরাপৃষ্ঠে আগমণ সংবাদে আল্লাহর রাসূল সা. এত উৎফুল্ল হয়েছিলেন, তিনি উসামা ইবন যায়িদ।
 
৯০ নং লাইন:
উসামা রাসূলুল্লাহর সা. আদেশ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করেন। মুসলিম অশ্বারোহী বাহিনী ফিলিস্তিনের ‘বালকা’ ও ‘কিলায়াতুত দারুম’ সীমান্ত পদানত করে। ফলে এ অঞ্চল থেকে মুসলমানদের জন্য রোমান ভীতি চিরতরে দূরীভূত হয় এবং গোটা সিরিয়া, মিসর ও উত্তর আফ্রিকাসহ কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভূভাগের বিজয়দ্বার উন্মুক্ত হয়।
 
এ অভিযানে তিনি তাঁর পিতার হত্যাকারীকে হত্যা করে পিতৃহত্যার প্রাতিশোধ নেন। যে ঘোড়ার ওপর তাঁর পিতা শহীদ হয়েছিলেন, তার পিঠে বিপুল পরিমাণ গণিমাতের ধন সম্পদ বোঝাই করে তিনি বিজয়ীর বেশে মদীনায় ফিরে এলেন। খলীফা আবু বকর রা. মুহাজির ও আনসারদের বিরাট একটি দল সহ মদীনার উপকণ্ঠে তাঁকে স্বগত জানান। উসামা মদীনায় পৌঁছে মসজিদে নববীতে দু’রাকায়াত নামায আদায় করে বাড়ীবাড়ি যান। ঐতিহাসিকরা তাঁর এ বিজয় সম্পর্কে মন্তব্য করেছেনঃ ‘উসামার বাহিনী অপেক্ষা অধিকতর নিরাপদ ও গণিমাত লাভকারী অন্য কোন বাহিনী আর দেখা যায়নি।’
 
রাসূলুল্লাহর সা. অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন এবং প্রখর ব্যক্তিত্বের জন্য উসামা মুসলিম সমাজের ব্যাপক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমার রা. নিজ পুত্র হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমার অপেক্ষা উসামার ভাতা বেশি নির্ধারণ করেন। হযরত আবদুল্লাহ ক্ষব্ধ হয়ে অভিযোগ করেনঃ ‘আব্বা, উসামার ভাতা চার হাজার, আর আমার ভাতা তিন হাজার। আমার পিতা অপেক্ষা তাঁর পিতা অধিক মর্যাদাবান ছিলেন না এবং আমার থেকেও তাঁর মার্যাদা বেশি নয়।’ জবাবে হযরত উমার বলেনঃ ‘আফসোস! তোমার পিতার চেয়ে তার পিতা রাসূলুল্লাহর সা. অধিক প্রিয় ছিলেন এবং তোমার থেকেও সে রাসূলুল্লাহর সা. বেশি প্রিয় ছিল।’ হযরত আবদুল্লাহ রা. আর কোন উচ্চবাচ্য করেননি।