তিমির বরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬ নং লাইন:
| birth_name =
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1901|01|10}}
| birth_place = কলকাতা [[ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]] বর্তমানের [[পশ্চিমবঙ্গ]], ভারত
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|df=yes|1987|03|29|1901|01|10}}
| death_place = [[কলকাতা ]], [[পশ্চিমবঙ্গ]] ভারত
৩১ নং লাইন:
| portaldisp =
}}
'''তিমির বরণ ভট্টাচার্য '''({{lang-en|Timir Baran Bhattacharya }}) ([[জানুয়ারি ১০|১০ জানুয়ারি,]] [[১৯০১]] -[[মার্চ ২৯|২৯ মার্চ,]] [[১৯৮৭]] ) ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি সরোদশিল্পী ও ভারতীয় বৃন্দবাদনের অন্যতম পথিকৃৎ। <ref name = "সংসদ"> অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ১৫৫,১৫৬ {{আইএসবিএন|978-81-7955-292-6}}</ref>
 
==জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন ==
৪০ নং লাইন:
==সঙ্গীত জীবন==
 
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফিরে 'মাইহার ব্যান্ড'-এর অনুপ্রেরণায় তিনি অগ্রজ ও বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি 'ফ্যামিলি অর্কেস্ট্রা'র দল গড়ে তোলেন। আর ওই বছরেই তিনি [[ উদয়শঙ্কর | উদয়শঙ্কর নাট্যসম্প্রদায়ের]] সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে যোগ দিয়ে দলের সঙ্গে জার্মানি, জাপান, কানাডা ও ইউরোপ ভ্রমণ করেন। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপের নানা দেশে অনুষ্ঠান করলেন।<ref name="সংসদ"> </ref> বিশ্ব জুড়ে অভিনন্দিত হলেন [[উদয়শঙ্কর]] আর তিমির বরণ।
কিন্তু ইউরোপ বেশি দিন ভাল লাগল না তিমির বরণের। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে উদয়শঙ্করের দল ছেড়ে ফিরলেন কলকাতায়। যোগ দিলেন [[বীরেন্দ্রনাথ সরকার | বীরেন্দ্রনাথ সরকারের]] [[ নিউ থিয়েটার্স |নিউ থিয়েটার্সে]]। অর্কেস্ট্রায়-এ বার ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ব্যাঞ্জো, ভিওলা, চেল্লো-সহ বিভিন্ন ভিনদেশি যন্ত্রানুষঙ্গে সংযোজন করলেন পশ্চিমি সুরের। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বেতারে যন্ত্রসঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি রবীন্দ্রনাথের ''ক্ষুধিত পাষাণ'' পরিবেশন করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এই যে, রবীন্দ্রনাথকে তিমির বরণ ‘পুরিয়া ধানেশ্রী’ রাগে সরোদ শুনিয়েছিলেন এবং তাতে কবি মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন-
{{উক্তি | ‘মাইহার থেকে ফিরে শান্তিনিকেতনে যোগ দিও। তোমার মতো লোক আমার দরকার।’
}}
সঙ্গীতের সেই আসরে রবীন্দ্রনাথের সাথে [[গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর |গগনেন্দ্রনাথ]], [[অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর|অবনীন্দ্রনাথ]], [[দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর| দিনেন্দ্রনাথ]] প্রমুখেরা উপস্থিত ছিলেন। <ref name =ABP>< /ref> ঐকতান সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। [[নিউ থিয়েটার্স | নিউ থিয়েটার্সে]] তিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি চলচ্চিত্র ''দেবদাস''-এ অর্কেস্ট্রার সার্থক ব্যবহার করেন। <ref name =ABP>< /ref> বেশ কিছুদিন এখানে কাজ করার পর [[মধু বসু]] ও বিখ্যাত অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী [[ সাধনা বসু| সাধনা বসুর]] আহ্বানে তাদের নাট্যসংস্থা '' ক্যালকাটা আর্ট প্লেয়ার্স'' যোগ দেন। সেখানে ওমরের স্বপ্নকথা’, ‘বিদ্যুৎপর্ণা’ প্রভৃতি ছবিতে সঙ্গীত ও নৃত্যের সুর সং‌যোজন করলেন তিনি।
পরে মঞ্চ ও চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গীত পরিচালক হয়ে বোম্বাই ও পাকিস্তানে গিয়েছেন। ষাটের দশকে [[রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় |রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সঙ্গীত বিভাগে যোগ দেন। তাঁর শেষ কর্মক্ষেত্র ছিল মামুলি পেশাদার মঞ্চ [[স্টার থিয়েটার]]। তাঁর রচিত গ্রন্থ হল - ''উদয়ের পথে সহযাত্রী''।
 
==সম্মাননা ও পুরস্কার==
 
তিমির বরণ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের [[সংগীত নাটক অকাদেমি ]] পুরস্কার লাভ করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের '''দেশিকোত্তম ''' উপাধি পান। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আলাউদ্দিন পুরস্কারসহ দেশ বিদেশের বহু পুরস্কারে সম্মানিত হন।
 
==জীবনাবসান==
 
তিমির বরণের জীবনের শেষদিনগুলি কলকাতার নেতাজীনগরে কেটেছে অসম্ভব শরীর খারাপের মধ্য দিয়ে। শেষে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে মার্চ ৮৬ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন।
 
 
==তথ্যসূত্র==
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী: কলকাতা জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী: বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী]]