ইউরোপে ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রচনাশৈলী, বানান সংশোধন, সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
সংশোধন, কাজ চলছে টেমপ্লেট অপসারণ, পরিষ্কারকরণ, অনুবাদ, রচনাশৈলী, বানান সংশোধন
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
{{Islam in Europe by country}}
 
 
 
[[ইউরোপ|ইউরোপে]] [[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্টান ধর্মের]] পর [[ইসলাম]] হল দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।<ref>[http://www.globalreligiousfutures.org/regions/europe Global religious futures Europe]</ref> যদিও [[পশ্চিম ইউরোপ|পশ্চিম ইউরোপের]] বেশিরভাগ মুসলিম সম্প্রদায়গুলি সম্প্রতি গঠিত হয়েছে,<ref name="Cesari 20022">{{cite journal|url=https://www.persee.fr/doc/cemot_0764-9878_2002_num_33_1_1623|title=Introduction - "L'Islam en Europe: L'Incorporation d'Une Religion"|last=Cesari|first=Jocelyne|date=January–June 2002|publisher=Éditions de Boccard|pages=7–20|language=fr|via=[[Persée (web portal)|Persée.fr]]|doi=10.3406/CEMOT.2002.1623|access-date=21 January 2021|doi-access=free|journal=Cahiers d'Études sur la Méditerranée Orientale et le monde Turco-Iranien|location=[[Paris]]|volume=33|s2cid=165345374}}</ref> [[বলকান অঞ্চল|বলকান]], [[দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ]], [[ককেসাস|ককেশাস]], [[ক্রিমিয়া]] এবং ভোলগা অঞ্চলে বহু শতাব্দী প্রাচীন মুসলিম সমাজ রয়েছে।<ref name="Cesari 2014">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Oxford Handbook of European Islam|অধ্যায়ের-ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=NW7DBAAAQBAJ&pg=PA427|বছর=2014|প্রকাশক=[[Oxford University Press]]|পাতাসমূহ=427–616|অধ্যায়=Part III: The Old European Land of Islam|doi=10.1093/oxfordhb/9780199607976.001.0001|আইএসবিএন=978-0-19-960797-6|lccn=2014936672}}</ref><ref name="Clayer 2004">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Les musulmans des Balkans Ou l'islam de "l'autre Europe"/The Balkans Muslims Or the Islam of the "Other Europe"|শেষাংশ=Clayer|প্রথমাংশ=Nathalie|তারিখ=2004|ধারাবাহিক=Le Courrier de Pays de l'Est|প্রকাশক=La Documentation française|পাতাসমূহ=16–27|ভাষা=fr|via=[[Cairn.info]]|doi=10.3917/cpe.045.0016|issn=0590-0239|doi-access=free}}</ref><ref name="Bougarel-Clayer 2013">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=caELEAAAQBAJ|শিরোনাম=Les musulmans de l'Europe du Sud-Est: Des Empires aux États balkaniques|শেষাংশ=Bougarel|প্রথমাংশ=Xavier|শেষাংশ২=Clayer|প্রথমাংশ২=Nathalie|বছর=2013|ধারাবাহিক=Terres et gens d'islam|প্রকাশক=[[EHESS|IISMM]] - Karthala|পাতাসমূহ=1–20|ভাষা=fr|via=[[Cairn.info]]|আইএসবিএন=978-2-8111-0905-9}}</ref> "মুসলিম ইউরোপ" শব্দটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলকান ([[বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা]], [[আলবেনিয়া]], [[কসোভো]]) এবং পূর্ব ইউরোপের বৃহত্তর মুসলিম সংখ্যালঘু ([[বুলগেরিয়া]], [[উত্তর মেসিডোনিয়া]], [[মন্টিনিগ্রো]] এবং [[রাশিয়া|রাশিয়ার]] কিছু প্রজাতন্ত্র) দেশগুলিকে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেগুলো দেশীয় শ্বেত ইউরোপীয় মুসলমানদের জনসংখ্যাকে গঠন করেছে, যদিও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ [[সাংস্কৃতিক মুসলিম|ধর্মনিরপেক্ষ]]।
 
অষ্টম থেকে দশম শতাব্দীতে [[উত্তর আফ্রিকা|উত্তর আফ্রিকার]] [[মোরস|"মুরদের]]" বিস্তারের মাধ্যমে [[দক্ষিণ ইউরোপ|দক্ষিণ ইউরোপে]] [[দক্ষিণ ইউরোপ|ইসলাম]] প্রবেশ করে; বর্তমান [[স্পেন]], [[পর্তুগাল]], [[সিসিলি]] এবং [[মাল্টা|মাল্টাতে]] বিভিন্ন শতাব্দী ধরে মুসলিম রাজনৈতিক সত্তা দৃঢ়ভাবে বিদ্যমান ছিল। এই অঞ্চলগুলিতে মুসলিম সম্প্রদায়কে খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলি ধর্মান্তরিত করে বা পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে বহিষ্কার করে (''[[রিকনকোয়েস্টা|রিকনকোয়েস্টা]]'' দেখুন)। সপ্তম শতাব্দীতে [[মুসলিমদের পারস্য বিজয়|পারস্যের মুসলিম বিজয়ের]] মাধ্যমে ককেশাসে ইসলাম প্রসারিত হয়। চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতকে [[সার্বিয়ান সাম্রাজ্য]], [[দ্বিতীয় বুলগেরিয়ান সাম্রাজ্য|বুলগেরিয়ান সাম্রাজ্য]] এবং বাকীবাকি সমস্ত বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বাকি সব অংশ আক্রমণ ও জয় করে [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সাম্রাজ্য]] দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে প্রসারিত হয়। পরাজিত হওয়ার এবং শেষমেশ ১৯২২ সালে পতন ঘটার আগ পর্যন্ত কয়েক শতাব্দী ধরে [[উসমানীয় সাম্রাজ্য]] ধীরে ধীরে তার প্রায় সমস্ত ইউরোপীয় অঞ্চলগুলো হারাতে শুরু করে। বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়, যাদেরকে রুশরা "[[তাতার জাতি|তাতার]]" বলে থাকে; তারা সহ ভোলগা বুলগেরীয়, কুমান-কিপচ্যাকস এবং পরবর্তীকালে গোল্ডেন হোর্ড এবং এর উত্তরসূরী খানাতগুলো ধর্মান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপে ইসলামের প্রসার ঘটে।
 
বিশ শতকের শেষভাগ এবং একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, বিপুল সংখ্যক মুসলমানকে পশ্চিম ইউরোপে অভিবাসিত করা হয়।<ref name="Cesari 20022" /> ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯ মিলিয়ন (৩.৮%) সহ আনুমানিক ৪৪ মিলিয়ন মুসলমান ইউরোপে (৬%) বসবাস করছে।{{Sfn|Pew 2011}} ২০৩০ সাল নাগাদ তাদের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৮% হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।<ref name="Pew2011Muslim2">{{cite report|url=http://www.pewforum.org/2011/01/27/the-future-of-the-global-muslim-population/|title=The Future of the Global Muslim Population|date=27 January 2011|publisher=[[Pew Research Center]]|access-date=27 December 2017}}</ref> তারা প্রায়শই সন্ত্রাসী হামলা, ডেনমার্কের কার্টুন বিষয়ক ঘটনাবলী, [[ইসলাম ও পর্দা প্রথা|ইসলামি পোশাক]] নিয়ে বিতর্ক এবং মুসলিমদেরকে ইউরোপীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হিসেবে দেখে এমন ডানপন্থী জনপ্রিয় দলগুলির চলমান সমর্থনের মতো ঘটনাগুলির জন্য তীব্র আলোচনা এবং রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকে। এই জাতীয় ঘটনাবলী [[ইসলামভীতি]] নিয়ে বিতর্ক, মুসলমানদের প্রতি মনোভাব এবং জনগণের অধিকারের বিষয়েও ক্রমবর্ধমান বিতর্ককে উজ্জীবিত করেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Economic Losers, Protestors, Islamophobes or Xenophobes? Predicting Public Support for a Counter-Jihad Movement|শেষাংশ=Goodwin|প্রথমাংশ=Matthew J.|শেষাংশ২=Cutts|প্রথমাংশ২=David|তারিখ=September 2014|পাতাসমূহ=4–26|doi=10.1111/1467-9248.12159}}</ref>
২৩ ⟶ ২০ নং লাইন:
 
==== সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং মিথস্ক্রিয়া ====
[[চিত্র:Araż,_herb_szlachecki.jpg|ডান|থাম্ব|210x210পিক্সেল|পোলিশ তাতার আভিজাত্যের অস্ত্রগুলির "আরাজ" কোট। তাতারীয় কোটগুলিতে প্রায়শই ইসলাম সম্পর্কিত নকশা অন্তর্ভুক্ত থাকতো।]]আব্বাসীয়দের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে, ক্ষমতাচ্যুত উমাইয়া খলিফা [[প্রথম আবদুর রহমান|প্রথম আব্দুর রহমান]] ৭৫৬ সালে দামেস্ক থেকে পালিয়ে গিয়ে কর্ডোবায় একটি স্বাধীন আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজবংশ আল-আন্দালুসে ইসলামের উপস্থিতিকে একীভূত করেছিল (যেহেতু স্পেন মুসলমানদের কাছে পরিচিত ছিল) । [[দ্বিতীয় আবদুর রহমান]] এর শাসনামলে (৮২২-৮৫২) কর্ডোবা ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে উঠছিল। [[আন্দালুস|উমাইয়া স্পেন]] মুসলিম বিশ্বের এমন একটি কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যা মুসলিম শহর দামেস্ক ও বাগদাদকে উজ্জীবিত করেছিল। "কর্ডোবার আমিররা আন্দালুসি ইসলামের আত্মবিশ্বাস ও প্রাণশক্তিকে প্রতিবিম্বিত করে প্রাসাদ তৈরি করেছিলকরেছিলেন, ছাপাঙ্কিত মুদ্রা, পূর্ব থেকে স্পেনে বিলাসবহুল দ্রব্য নিয়ে আসেন, সেচ ও রূপান্তরিত কৃষিক্ষেত্রের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প শুরু করেন, পূর্বে শাসনকারী আব্বাসীয় আদালতের শৈলী এবং অনুষ্ঠানের অনুকরণ করা হয় এবং মুসলিম বিশ্বের বাকীবাকি বিশিষ্ট আলেম, কবি ও সংগীতজ্ঞদের স্বাগত জানানো হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Islam in Europe: Public Spaces and Civic Networks|শেষাংশ=Sofos|প্রথমাংশ=Spyros|শেষাংশ২=Tsagarousianou|প্রথমাংশ২=Roza|বছর=2013|প্রকাশক=Palgrave|পাতাসমূহ=31–32|আইএসবিএন=9781137357786}}</ref> তবে, আমিরাতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল, অমুসলিম স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপর এর সাংস্কৃতিক প্রভাব। "মার্জিত আরবি" শিক্ষিতদের ― মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি― পছন্দের ভাষাতে পরিণত হয়, আরবি বইয়ের পাঠক দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আরবি উপন্যাস এবং কবিতা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Western Views of Islam in the Middle Ages|ইউআরএল=https://archive.org/details/westernviewsofis0000sout|শেষাংশ=Southern|প্রথমাংশ=R.W.|বছর=1962|প্রকাশক=Harvard University Press|পাতাসমূহ=[https://archive.org/details/westernviewsofis0000sout/page/21 21]–12|আইএসবিএন=9780674435667}}</ref> আরবি সাহিত্যের জনপ্রিয়তা ছিল ইবেরিয়ান উপদ্বীপের খ্রিস্টানদের আরবীয়করণের একটি দিক, যার কারণে সমকালীন প্রভাবিত জনগোষ্ঠীকে "[[মোসারাবে]] ('আরবদের মতো', 'আরবীয়কৃত'; আরবি : মুস্তা'রিব থেকে স্প্যানিশ ভাষায় মোজারাবেস; পর্তুগিজ ভাষায় মোছারাবেস) হিসাবে উল্লেখ করা হয়।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Islam in Europe: Public Spaces and Civic Networks|শেষাংশ=Sofos|প্রথমাংশ=Spyros|শেষাংশ২=Tsagarousianou|প্রথমাংশ২=Roza|বছর=2013|প্রকাশক=Palgrave|পাতাসমূহ=32–33|আইএসবিএন=9781137357786}}</ref>
 
আরবি ভাষী খৃস্টান পণ্ডিতরা প্রভাবশালী প্রাক-খৃস্টান গ্রন্থগুলি সংরক্ষণ করেন এবং [[ইসলামি স্বর্ণযুগ|মধ্যযুগীয় ইসলামী সংস্কৃতির]] দিকগুলো উপস্থাপন করেন<ref>Hill, Donald.</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=c8YjEkLPXNYC|শিরোনাম=The Legend of the Middle Ages|শেষাংশ=Brague, Rémi|তারিখ=2009-04-15|পাতা=164|আইএসবিএন=9780226070803|সংগ্রহের-তারিখ=11 Feb 2014}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=trM7NJz011oC&pg=PT100|শিরোনাম=Pythagoras: His Lives and the Legacy of a Rational Universe|শেষাংশ=Ferguson|প্রথমাংশ=Kitty|তারিখ=3 March 2011|প্রকাশক=Icon Books Limited|পাতাসমূহ=100–|আইএসবিএন=978-1-84831-250-0}}</ref> ([[ইসলামি শিল্প|কলা]],<ref name="IAA">[http://www.history.com/encyclopedia.do?vendorId=FWNE.fw..is045900.a#FWNE.fw..is045900.a Islamic art and architecture] History.com</ref><ref name="CH">Carole Hillenbrand.</ref><ref>Hillenbrand, p. 388</ref> [[ইসলামি অর্থনীতির ইতিহাস|অর্থনীতি]],<ref>Savory; p. 195-8</ref> [[ইসলামি বিজ্ঞান|বিজ্ঞান]] এবং [[মধ্যযুগে ইসলামি বিশ্বের আবিষ্কারের তালিকা|প্রযুক্তি]] সহ)।<ref>Hyman and Walsh ''Philosophy in the Middle Ages'' Indianapolis, 3rd edition, p. 216</ref><ref>Meri, Josef W. and Jere L. Bacharach, Editors, ''Medieval Islamic Civilization'' Vol.1, A - K, Index, 2006, p. 451</ref> (আরও তথ্যের জন্য [[দ্বাদশ শতাব্দীর ল্যাটিন অনুবাদ|দ্বাদশ শতাব্দীর লাতিন অনুবাদ]] এবং [[মধ্যযুগের ইউরোপে ইসলামি বিশ্বের অবদান|মধ্যযুগীয় ইউরোপে ইসলামের অবদান]] দেখুন)।
 
[[গ্রানাডা আমিরাত|গ্রানাডার আমিরাতে]] ১২৩৮ থেকে ১৪৯২-এ [[রিকনকোয়েস্টা|লা রিকনকোয়েস্টার]] সমাপ্তি অবধি খ্রিস্টান কিংডম অব ক্যাসটাইলের-এর [[ভাসাল রাজ্য|সামন্ত রাষ্ট্র]] হিসেবে মুসলিমদের শাসন স্থায়ী ছিল{{sfn|Hourani|2002|p=41}} অবশেষে [[স্পেনের তৃতীয় ফিলিপ|তৃতীয় ফিলিপ]] স্পেনীয় অনুসন্ধানেরতদন্তের সময়, [[মরিস্কো|মরিস্কোদের]] (স্প্যানিশ ভাষায় মুরিশ) ১৬০৯ থেকে (ক্যাসটাইল) ১৬১৪ (স্পেনের বাকী অংশ) এর মধ্যে [[স্পেন]] থেকে বিতাড়িত করেন।
 
নবজাগরণের সময়কালে উত্তর আফ্রিকার [[বার্বারি ক্রীতদাস ব্যবসা|দাস বাজারে]] বিক্রি করার জন্য খ্রিস্টান দাসদের ধরে আনার জন্য ষোড়শ থেকে উনিশ শতক জুড়ে [[বার্বারি উপকূল|বার্বারি রাজ্যগুলি]] [[বার্বারি জলদস্যু|ইউরোপের নিকটবর্তী অঞ্চলে আক্রমণ]] করার জন্য জলদস্যুদের প্রেরণ করত।<ref name="bbc.co.uk">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.co.uk/history/british/empire_seapower/white_slaves_02.shtml|শিরোনাম=British Slaves on the Barbary Coast}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.city-journal.org/html/17_2_urbanities-thomas_jefferson.html|শিরোনাম=Jefferson Versus the Muslim Pirates by Christopher Hitchens, City Journal Spring 2007}}</ref> রবার্ট ডেভিসের মতে, ষোড়শ থেকে উনিশ শতকে জলদস্যুরা ১ মিলিয়ন থেকে ১.২৫ মিলিয়ন ইউরোপীয়কে দাস হিসাবে বন্দী করে। এই ক্রীতদাসদের মূলত বন্দী জাহাজের ক্রু<ref>Milton, G (2005) White Gold: The Extraordinary Story of Thomas Pellow And Islam's One Million White Slaves, Sceptre, London</ref> এবং [[স্পেন]] ও [[পর্তুগাল|পর্তুগালের]] উপকূলীয় গ্রাম এবং [[ইতালি]], [[ফ্রান্স]] বা [[ইংল্যান্ড]], [[নেদারল্যান্ডস]], [[আয়ারল্যান্ড (দ্বীপ)|আয়ারল্যান্ড]], [[অ্যাজোরেস|অ্যাজোরস দ্বীপপুঞ্জ]] এমনকি আইসল্যান্ডের মতো দূরবর্তী জায়গাগুলো থেকথেকে ধরা হয়েছিল।<ref name="bbc.co.uk" />
 
দীর্ঘ সময় ধরে, ১৮ শতকের শুরুর সময় পর্যন্ত, ক্রিমীয় খানাতগুলো অটোমানউসমানীয় সাম্রাজ্য এবং মধ্য প্রাচ্যের সাথে [[অটোমান সাম্রাজ্যের দাসত্ব|বিশাল দাস বাণিজ্য]] বজায় রেখেছিল।<ref>"[http://www2.econ.hit-u.ac.jp/~areastd/mediterranean/mw/pdf/18/10.pdf The Crimean Tatars and their Russian-Captive Slaves] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20130605131551/http://www2.econ.hit-u.ac.jp/~areastd/mediterranean/mw/pdf/18/10.pdf |date=৫ জুন ২০১৩ }}" (PDF).</ref> ক্রিমীয় তাতাররা দানুবিয় রাজত্বক্ষুদ্র রাজ্য, [[পোলিশ – লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথ|পোল্যান্ড–লিথুয়ানিয়া]] এবং [[মুস্কোভি|রাশিয়ায়]] যাদেরকে বন্দী করতে পারে তাদের দাসে পরিণত করার জন্য প্রায়শই অভিযান চালাত।<ref>"[http://www.britannica.com/blackhistory/article-24157 Historical survey > Slave societies]".</ref>
 
=== পূর্ব ইউরোপ ===
 
==== হাঙ্গেরি ====
[[বসজরমেনি]] মুসলমানরা হাঙ্গেরিতে মুসলমানদের একটি প্রাথমিক সম্প্রদায় গঠন করেছিল। তাদের বৃহত্তম বসতিটি হাঙ্গেরীয় রাজ্যের কেন্দ্রীয় অংশের বর্তমান ওরোশজা শহরের কাছে ছিল। তখন এই জনবসতিটি পুরোপুরি মুসলমান জনবহুল ছিল এবং সম্ভবত রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম জনবসতি ছিল। ১২৪১ সালে হাঙ্গেরীতে মঙ্গল আগ্রাসনের সময় এটি ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি মুসলিম জনবসতির সবগুলো ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেগুলোর বাসিন্দাদের গণহত্যা করা হয় ।হয়।
 
==== রাশিয়া এবং ইউক্রেন ====
[[চিত্র:Mošeja-Log_pod_Mangartom4.jpg|ডান|থাম্ব|260x260পিক্সেল|[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] সময় লগ পড ম্যানগার্টম মসজিদ, লগ পড শহরে অবস্থিত স্লোভেনিয়ায় নির্মিত একমাত্র মসজিদ ।]]খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, [[মুসলিমদের পারস্য বিজয়|মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের]] [[রুশোরুশ-পার্সিয়ানপারস্য যুদ্ধসমূহ|পরে]] ইসলাম এমন অঞ্চলগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে যেগুলি পরবর্তীতে [[রাশিয়া]]<nowiki/>র অংশ হয়ে উঠতে পারে।<ref name="et al 2004 3">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Y5QYDQAAQBAJ|শিরোনাম=Islam in Russia: The Politics of Identity and Security|শেষাংশ=Hunter|প্রথমাংশ=Shireen|তারিখ=2016|প্রকাশক=Routledge|পাতা=3|আইএসবিএন=9781315290119}}</ref> সম্ভবত বাল্টিক অঞ্চলের লোক যারা মধ্য রাশিয়ার মধ্যভিতর দিয়ে [[কৃষ্ণ সাগর|কৃষ্ণ সাগরের]] দিকে যাত্রা করেছিল, তাদের কারণে মুসলিম এবং রুশদের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ তৈরি হয়। ৯২১-৯২২-এ [[ভোলগা বুলগেরিয়া]] ভ্রমণকালে [[আহমেদ ইবনে ফাদলান|ইবনে ফাদলান]] রুশদের পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং দাবি করেছেন যে, তাদের কেউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। "তারা শুয়োরের মাংসের খুব পছন্দ করে এবং তাদের অনেকে যারা ইসলামের পথ ধরেছিল তারা এটিকে খুব মিস করে।" রুশরা তাদের ''নাবিধ''ও উপভোগ করত; এটি একটি গন্ধযুক্ত পানীয় যা ইবনে ফাদলান অনেকবার তাদের প্রতিদিনের খাওয়ার অংশ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।<ref name="autogenerated1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.nordicway.com/search/Vikings%20in%20the%20East.htm|শিরোনাম=Vikings in the East, Remarkable Eyewitness Accounts|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080215100710/http://www.nordicway.com/search/Vikings%20in%20the%20East.htm|আর্কাইভের-তারিখ=2008-02-15|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=2007-05-06}}</ref>
[[চিত্র:Szigetvar_1566.jpg|বাম|থাম্ব|286x286পিক্সেল|১৫৬৬ সালে ইউরোপে অঞ্চল সম্প্রসারণের জন্য উসমানীয় অভিযান, অগ্রগামী সৈন্যরা ক্রিমীয় তাতার।]]
[[মঙ্গোল|মঙ্গোলরা]] ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভোলগা বুলগেরিয়া এবং কুমন-কিপচাক কনফেডারেশনে (বর্তমান রাশিয়া এবং ইউক্রেনের অংশ ) তাদের রাশিয়া বিজয়ের সূচনা করেছিল। মঙ্গোল সাম্রাজ্য ভেঙে যাওয়ার পরে পূর্ব ইউরোপীয় অংশতইঅংশই [[গোল্ডেন হোর্ড|গোল্ডেন হর্ড]] নামে পরিচিতি লাভ করে। পশ্চিমা মোঙ্গলরা চতুর্দশ শতাব্দীর গোঁড়ার দিকে [[বারকা খান|বারকা খানের]] অধীনে তাদের ধর্ম হিসাবে ইসলামকে গ্রহণ করে, যদিও মূলত তারা মুসলমান না; আর পরে উজবেগ খান রাষ্ট্রের সরকারী ধর্ম হিসেবে এটিকে প্রতিষ্ঠিত করেন। হোর্ডের বেশিরভাগ তুর্কি-ভাষী জনসংখ্যার পাশাপাশি অল্পসংখ্যক মঙ্গোল অভিজাতরাও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল (যদি তারা ভলগাভোলগা বুলগারদেরবুলগেরীয়দের মতো ইতিমধ্যে মুসলমান না হন) এবং তারা রাশিয়ান এবং ইউরোপীয়দের কাছে [[তাতার জাতি|তাতার]] হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল। ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপীয় অংশের অর্ধেকেরও বেশি<ref>{{cite encyclopedia|title=Encarta, Mongol Invasion of Russia|url=http://encarta.msn.com/encyclopedia_761569000_17/Russia.html|archive-url=https://web.archive.org/web/20091029233735/http://encarta.msn.com/encyclopedia_761569000_17/Russia.html|archive-date=2009-10-29|url-status=dead}}</ref> মুসলিম [[তাতার জাতি|তাতার]] ও [[তুর্ক জাতি|তুর্কিদের]] আধিপত্যের অধীনে এসেছিল, যা বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ক্রিমিয় খানাত ১৪৭৫ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের একটি সামন্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে গ্রেট হোর্ডের অবশিষ্ট অংশকে আয়ত্ত করে নেয়। রুশ সম্রাট [[চতুর্থ ইভান|ইভান দ্য টেরিবল]] ১১৫২ সালে কাজানের মুসলিম খানাত জয় করে।
 
==== বেলারুশ এবং পোল্যান্ড–লিথুয়ানিয়া ====
৫০ ⟶ ৪৭ নং লাইন:
 
===== সেলজুক =====
[[বাবাই বিদ্রোহ|বাবাই বিদ্রোহের]] ফলস্বরূপ, ১২৬১ সালে, ৪০ তুর্কি বংশের পাশাপাশি সারি সালটুক নামেনামের তুর্কি দরবেশদের একজনকে [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের]] আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়। তিনি ডব্রুজাতে বসতি স্থাপন করেন, সেখান থেকেই তিনি শক্তিশালী মুসলিম [[মঙ্গোল]] [[আমির]], [[নোগাই খান|নোগাই খাঁর]] চাকরিতে প্রবেশ করেন। একজন দরবেশ এবং [[গাজি (যোদ্ধা)|গাজী]] হিসেবে ইউরোপে ইসলাম প্রচার করার কারণে, সারি সালটুক একটি মহাকাব্যের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Ottoman Empire: The Classical Age, 1300–1600 (The Ottoman Empire)|শেষাংশ=[[Halil Inalcik]]|বছর=1973|পাতা=187}}</ref>
 
===== উসমানীয় =====
[[চিত্র:Szulejmán_a_sátrában_Buda_alatt_(1529).JPG|থাম্ব|১৫২৯ সালে [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয়]] [[সুলতান]] সুলেইমান বুদায় গ্রিক মুসলমান [[উজিরে আজম]] [[পারগালি ইব্রাহিম পাশা|পারগালি ইব্রাহিম পাশার]] আগমনের অপেক্ষা করছেন।]][[উসমানীয় সাম্রাজ্য]] চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ইউরোপীয় অংশগুলি দখল করার মাধ্যমে অবধি ইউরোপে তার বিস্তারের সূচনা করেছিল, যা ১৪৫৩ সালে [[কনস্টান্টিনোপল বিজয়|কনস্টান্টিনোপল দখল]] করে এই অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অবধি চলে। উসমানীয় সাম্রাজ্য উত্তর দিকে সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখে, ষোড়শ শতাব্দীতে হাঙ্গেরি দখল করে এবং সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি উত্তরে [[পোডোলিয়া]] পর্যন্ত পৌঁছায় [[বুকাজাকের শান্তি|(বুচাচ শান্তি চুক্তি]]), সেই সময়ে বেশিরভাগ বলকান অঞ্চলগুলো উসমানীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইউরোপে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ তুর্কি মহাযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়। [[কার্লোজিটসের সন্ধি|কার্লোভিটস চুক্তিতে]] (১৬৯৯), উসমানীয় সাম্রাজ্য [[মধ্য ইউরোপ|মধ্য ইউরোপে]] তার বেশিরভাগ অধিকৃত অঞ্চল হারায়। পরবর্তীতে ১৭৮৩ সালে [[রুশ সাম্রাজ্য|রাশিয়া]] ক্রিমীয় খানাত অধিকার করে নেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.avalanchepress.com/Soldier_Khan.php|শিরোনাম=Avalanche Press|সংগ্রহের-তারিখ=21 June 2015}}</ref> শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, পূর্বের সাম্রাজ্যটি তুরস্কে রূপান্তরিত হওয়ার পরে, ১৯২২ সালে এর পতনের আগ পর্যন্ত ধীরে ধীরে উসমানীয় সাম্রাজ্য তার প্রায় সমস্ত ইউরোপীয় অঞ্চল হারাতে থাকে।থাকে এবং পূর্বের সাম্রাজ্যটি তুরস্কে রূপান্তরিত হয়।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2017}}
[[চিত্র:Chevalier_Auguste_de_Henikstein_-_Jenisaires_au_service_des_Ministres_Europeens_a_Const._Tharbadgi_(Officier)._Bairatdser_(Enseigne)._Ousta_(_Caporal).jpg|বাম|থাম্ব|মধ্যযুগীয় বুলগেরিয়া বিশেষত [[সফিয়া|সোফিয়া]] শহর, বলকান অঞ্চলে প্রায় সব উসমানীয় আমলের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল, যা [[রুমেলিয়া]] নামেও পরিচিত ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Macedonia and the Macedonians|শেষাংশ=Rossos|প্রথমাংশ=Andrew|অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://media.hoover.org/sites/default/files/documents/Macedonia_and_the_Macedonians_Andrew_Rossos_63.pdf|বছর=2008|অধ্যায়=Ottoman Reform and Decline (c. 1800–1908)|সংগ্রহের-তারিখ=২০ মে ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ নভেম্বর ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201128012755/https://media.hoover.org/sites/default/files/documents/Macedonia_and_the_Macedonians_Andrew_Rossos_63.pdf|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>]]
 
১৩৫৪ এবং ১৫২৬ সালের মধ্যে (যখন উসমানীয়রা [[গ্যালিপলি|গ্যালিপলিতে]] ইউরোপে প্রবেশ করেছিলকরে) সাম্রাজ্যটি বর্তমান গ্রীস, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো, সার্বিয়া, মেসিডোনিয়া, মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া এবং হাঙ্গেরি অঞ্চল জয় করেছিল। সাম্রাজ্যটি ১৬৮৩ সালে [[ভিয়েনা]] অবরোধ করে। পোলিশ রাজার হস্তক্ষেপে অবরোধটি ভেঙে যায় এবং এরপর থেকে ১৬৯৯ অবধি উসমানীয়রা হাবসবার্গ সম্রাটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যখন [[কার্লোজিটসের সন্ধি|কার্লোভিটস চুক্তি]] তাদের হাঙ্গেরি এবং বর্তমান ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া এবং সার্বিয়ার কিছু অংশে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। ১৬৯৯ থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ এবং বিদ্রোহগুলি, আজকের তুরস্কের বর্তমান ইউরোপীয় সীমানায় না পৌঁছা পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্যটিকে আরও পিছিয়ে যেতে বাধ্য করে।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2017}}
 
এই সময়ের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, উসমানীয় পশ্চাদপসরণের সাথে এই প্রদেশগুলির মুসলিম শরণার্থীও ছিল (প্রায় সব ক্ষেত্রেই পূর্বের ধর্মান্তরিত শাসনাধীন জনগণ); হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া এবং বর্তমান রোমানিয়ার ট্রান্সিলভেনিয়া অঞ্চলে কিছু মুসলিম বাসিন্দা থেকে যায়। বুলগেরিয়া প্রায় ১৮৭৮ অবধি উসমানীয় শাসনের অধীনে থেকে যায় এবং বর্তমানে এর জনসংখ্যায় প্রায় ১৩১,০০০ জন মুসলিম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (২০০১ এর আদমশুমারি) ([[পমাকস]] দেখুন)।
[[চিত্র:Bazar_of_Athens.jpg|ডান|থাম্ব|250x250পিক্সেল|উনিশ শতকের গোড়ার দিকে [[অটোমান গ্রীস|উসমানীয় গ্রীসের]] [[অ্যাথেন্স|অ্যাথেন্সের]] বাজারের চিত্রকর্ম]]
১৪৬৩ সালে উসমানীয়রা বসনিয়া জয় করে এবং জনগণের একটি বড় অংশ উসমানীয় আধিপত্যের প্রথম ২০০ বছরের মধ্যে ইসলাম গ্রহণ করে। ১৮৭৮ সালে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি বসনিয়া দখল করার সময় হাবসবার্গস নতুন প্রদেশগুলিকে পুনরায় খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিল। ফলস্বরূপ, বসনিয়ায় বিশ শতকে একটি বিশাল মুসলিম জনসংখ্যা টিকে ছিল। আলবেনিয়া এবং কসোভো অঞ্চল ১৯১৩ সাল পর্যন্ত উসমানীয় শাসনের অধীনে ছিল। উসমানীয় বিজয়ের পূর্বে উত্তর আলবেনীয়রা ছিল [[ক্যাথলিক মণ্ডলী|রোমান ক্যাথলিক]] এবং দক্ষিণ আলবেনিয়ানরা খ্রিস্টান অর্থোডক্স ছিল, তবে ১৯১৩ সালের মধ্যেসালে বেশিরভাগই ছিল মুসলমান ।মুসলমান।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2017}}
 
==== ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তর ====
[[চিত্র:Janissary_Recruitment_in_the_Balkans-Suleymanname.jpg|থাম্ব|258x258পিক্সেল|''রক্তকরের'' জন্য খ্রিস্টান ছেলেদের নিবন্ধন। উসমানীয় ক্ষুদ্র চিত্রকর্ম, ১৫৫৮.<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://warfare.netau.net/Ottoman/Suleymanname/Janissary_Recruitment_in_the_Balkans.htm|শিরোনাম=Janissary Recruitment in the Balkans|শেষাংশ=Nasuh|প্রথমাংশ=Matrakci|বছর=1588|ওয়েবসাইট=Süleymanname, Topkapi Sarai Museum, Ms Hazine 1517|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181203143244/http://warfare.netau.net/Ottoman/Suleymanname/Janissary_Recruitment_in_the_Balkans.htm|আর্কাইভের-তারিখ=2018-12-03|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=2015-02-14}}</ref>]]উসমানীয় আধিপত্যের অধীনে দীর্ঘকালীন প্রভাবের বাইরেও, শক্তিশালী ভিনিশিয়ান আক্রমণের বিরুদ্ধে জনগণের আনুগত্য নিশ্চিত করার নীতিমালা হিসাবে উসমানীয়দের সুচিন্তিত পদক্ষেপের ফলে, অনেক শাসনাধীন জনগণ পর্যায়ক্রমে এবং জোরপূর্বকভাবে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল।<ref name="Wittek 1955">{{cite journal|title=Devs̱ẖirme and s̱ẖarī'a|last=Wittek|first=Paul|date=1955|publisher=[[Cambridge University Press]]|pages=271–278|doi=10.1017/S0041977X00111735|jstor=610423|oclc=427969669|journal=Bulletin of the School of Oriental and African Studies (University of London)|location=[[Cambridge]]|volume=17|issue=2}}</ref> তবে উসমানীয় সুলতানের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিতে দেসিরমে এবং জিজিয়ার মাধ্যমে ইসলামকে জোর করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।<ref name="Wittek 1955" /><ref>Basgoz, I. & Wilson, H. E. (1989), The educational tradition of the Ottoman Empire and the development of the Turkish educational system of the republican era. Turkish Review 3(16), 15</ref><ref>The preaching of Islam: history of the propagation of the Muslim faith By Sir Thomas Walker Arnold, pp. 135-144</ref> বরং আর্নল্ড সপ্তদশ শতাব্দীর লেখক জোহানেস শেফলারকে উদ্ধৃত করে ইসলামের বিস্তার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন, যিনি বলেছেন:{{Cquote|এদিকে, তিনি (অর্থাৎ তুর্কিরা) জোর না করে দক্ষতা দিয়ে জয়ী হন (ধর্মান্তরিত করেন) এবং মানুষের অন্তর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে খ্রীষ্টকে ছিনিয়ে নেন। তুর্কিদের পক্ষে এটা সত্য যে, বর্তমানে হিংস্রতার দ্বারা কোনও দেশকে ধর্মত্যাগ করতে বাধ্য করে না; তবে তিনি অন্যান্য উপায় ব্যবহার করেছেন যার দ্বারা তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে খ্রিস্টধর্মকে নির্মূল করেন... তাহলে খ্রিস্টানদের কী হয়েছে? তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, তুর্কি বিশ্বাসকেও গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়নি: তবে তারা অবশ্যই নিজেদের তুর্কিতে পরিণত করেছিল।<ref>{{cite book |title=Türcken-Schrifft Von den Ursachen der Türkischen Überziehung. (trans. Writing on the Turks: Of the causes of the Turkish invasion") |year=1663 |first=Johannes|last=Scheffler}} as quoted in {{cite book |url=https://archive.org/details/preachingofislam00arno |year=1896 |title=The preaching of Islam: a history of the propagation of the Muslim faith |author=Sir Thomas Walker Arnold}}, pg. 158</ref>}}
 
=== সাংস্কৃতিক প্রভাব ===
৭১ ⟶ ৬৮ নং লাইন:
 
=== বিংশ শতাব্দী ===
[[আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ|আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সময় মহানগরীয় ফ্রান্সে মুসলিম অভিবাসনের পরিমাণ বেড়ে যায়।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2017}} ১৯৬১ সালে, পশ্চিম জার্মান সরকার প্রথম গ্যাস্টারবিটারদের আমন্ত্রণ জানায় এবং সুইজারল্যান্ডের অনুরূপ চুক্তি প্রস্তাব করে; এর মধ্যে কিছু অভিবাসী শ্রমিক তুরস্কের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ-মুসলিম দেশ থেকে এসেছিল।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2017}} ব্রিটেনে অভিবাসীরা এর প্রাক্তন সংখ্যাগরিষ্ঠ-মুসলিম উপনিবেশ [[পাকিস্তান]] এবং [[বাংলাদেশ]] থেকে এসেছিল।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2017}}
 
== বর্তমান জনমিতি ==
৮০ ⟶ ৭৭ নং লাইন:
ইউরোপে মুসলমানদের সঠিক সংখ্যা অজানা। [[পিউ রিসার্চ সেন্টার|পিউ ফোরামের]] অনুমান অনুসারে, ২০১০ সালে ইউরোপে (তুরস্ক বাদে) [[ইউরোপীয় ইউনিয়ন|ইউরোপীয় ইউনিয়নের]] ১৯ মিলিয়ন (জনসংখ্যার ৩.৮%) সহ, মোট মুসলমানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৪ মিলিয়ন (মোট জনসংখ্যার ৬%)।{{Sfn|Pew 2011}} ২০১০ সালের [[পিউ রিসার্চ সেন্টার|পিউ রিসার্চ সেন্টারের]] গবেষণায় বলা হয়েছে যে, বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার ২.৭% ইউরোপে বাস করে।<ref>[https://www.pewforum.org/2012/12/18/global-religious-landscape-muslim/ The Global Religious Landscape: Muslims], [[Pew Research Center]], 18 December 2012</ref>
 
তুর্কিরা ইউরোপীয় তুরস্কের (পাশাপাশি [[তুরস্ক|পুরো তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের]] ) এবং [[উত্তর সাইপ্রাস|উত্তর সাইপ্রাসে]] বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী গঠন করে। তারা বলকানদের (অর্থাৎ [[বাল্কানবলকান টার্কসতুর্কি|বলকান তুর্কিদের]] ) মধ্যে [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয়]]-পরবর্তী রাষ্ট্রগুলিতে শতাব্দী-পুরাতন সংখ্যালঘু গোষ্ঠী গঠন করে, যেখানে তারা [[বুলগেরিয়া|বুলগেরিয়ায়]] বৃহত্তম জাতিগত সংখ্যালঘু এবং উত্তর ম্যাসিডোনিয়াতে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী গঠন করে। অন্যদিকে, অভিবাসীদের মধ্যে, তুর্কিরা অস্ট্রিয়া, [[ডেনমার্ক]], [[জার্মানি]] এবং [[নেদারল্যান্ডস|নেদারল্যান্ডসের]] বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু দল গঠন করে।<ref>{{citation|last1=Al-Shahi|first1=Ahmed|last2=Lawless|first2=Richard|year=2013|chapter=Introduction|title=Middle East and North African Immigrants in Europe: Current Impact; Local and National Responses|publisher=[[Routledge]]|page=13|isbn=978-1136872808}}</ref> ১৯৯৭ সালে পশ্চিম ইউরোপ এবং বলকান অঞ্চলে (অর্থাৎ, [[উত্তর সাইপ্রাস]] এবং [[তুরস্ক]] বাদ দিয়ে) প্রায় ১ কোটি তুর্কী বাস করত।<ref>{{citation|last1=Bayram|first1=Servet|last2=Seels|first2=Barbara|year=1997|title=The Utilization of Instructional Technology in Turkey|journal=Educational Technology Research and Development|volume=45|issue=1|page=112|publisher=[[Springer Publishing|Springer]]|doi=10.1007/BF02299617|s2cid=62176630|quote=There are about 10 million Turks living in the Balkan area of southeastern Europe and in Western Europe at present.}}</ref> ২০১০ সালে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (অর্থাৎ, তুরস্ক এবং বেশ কয়েকটি বলকান এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলি যা ইইউতে নেই; সেগুলো বাদে) ১৫ মিলিয়ন তুর্কি বাস করত।<ref>{{citation|year=2010|title=52% of Europeans say no to Turkey's EU membership|url=https://www.aysor.am/en/news/2010/02/02/turkey-europe/106730?__cf_chl_jschl_tk__=5cadc325e9d6de274da7044b445bd172c7b2029e-1604753955-0-AVhYEz2aOybvH-qEPBsvvTpaib38A35FbqAgn6teGWuWeh48U9WebMfgeB7pDyti835gLNeS-jECj7JcmXfoYgHhsVqp5x66C2BKTSFGiVGxiw5PqhftOHz7nsSSjTFeaTP0PCXi7AWAmZmQvPS_UAXOWa5sA89tJ0mQObkZjZs3YvMe4mPkL3GRVgW7lkY67Wbd2ObEVwY8WkH8mjSEmlh2nN0XPKt9uF4ez2dmVArsQ-OEeET6EbYl19R6K6OB_o1zllMxypQhTFvwELlCScPf432jttv_ho4iUHZPKOqyXiG_TqKXWttoh6QAbveQgyOmNvsevk84nDkqw_NQhUo|publisher=[[Aysor]]|quote=This is not all of a sudden, says expert at the Center for Ethnic and Political Science Studies, Boris Kharkovsky. “These days, up to 15 million Turks live in the EU countries...|access-date=7 November 2020}}</ref> ডাঃ আরাকস প্যাসায়ানের মতে, ২০১২ সালে এককভাবে ১০ মিলিয়ন "ইউরো-তুর্কি " [[জার্মানি]], [[ফ্রান্স]], [[নেদারল্যান্ডস]] [[বেলজিয়াম|এবং বেলজিয়ামে]] বাস করত।<ref>{{citation|year=2010|title=52% of Europeans say no to Turkey's EU membership|url=https://www.aysor.am/en/news/2010/02/02/turkey-europe/106730?__cf_chl_jschl_tk__=5cadc325e9d6de274da7044b445bd172c7b2029e-1604753955-0-AVhYEz2aOybvH-qEPBsvvTpaib38A35FbqAgn6teGWuWeh48U9WebMfgeB7pDyti835gLNeS-jECj7JcmXfoYgHhsVqp5x66C2BKTSFGiVGxiw5PqhftOHz7nsSSjTFeaTP0PCXi7AWAmZmQvPS_UAXOWa5sA89tJ0mQObkZjZs3YvMe4mPkL3GRVgW7lkY67Wbd2ObEVwY8WkH8mjSEmlh2nN0XPKt9uF4ez2dmVArsQ-OEeET6EbYl19R6K6OB_o1zllMxypQhTFvwELlCScPf432jttv_ho4iUHZPKOqyXiG_TqKXWttoh6QAbveQgyOmNvsevk84nDkqw_NQhUo|publisher=[[Aysor]]|quote=This is not all of a sudden, says expert at the Center for Ethnic and Political Science Studies, Boris Kharkovsky. “These days, up to 15 million Turks live in the EU countries...|access-date=7 November 2020}}</ref> এছাড়াও, [[যুক্তরাজ্য]], [[অস্ট্রিয়া]], [[সুইডেন]], [[সুইজারল্যান্ড]], [[ডেনমার্ক]], [[ইতালি]], [[লিশটেনস্টাইন|লিচেনস্টাইন]], [[ফিনল্যান্ড]] এবং [[স্পেন|স্পেনে]] যথেষ্ট তুর্কি সম্প্রদায় গঠিত হয়েছে। এদিকে, বলকান অঞ্চলগুলিতে (বিশেষত বুলগেরিয়া, [[গ্রিস|গ্রীস]], [[কসোভো]], [[উত্তর মেসিডোনিয়া|উত্তর ম্যাসেডোনিয়া]], এবং [[রোমানিয়া|রোমানিয়ায়]]) এক মিলিয়নেরও বেশি তুর্কি বসবাস করছে<ref name="Dursun-Özkanca2">{{citation|last=Dursun-Özkanca|first=Oya|year=2019|title=Turkey–West Relations: The Politics of Intra-alliance Opposition|page=40|publisher=[[Cambridge University Press]]|isbn=978-1108488624|quote=One-fifth of the Turkish population is estimated to have Balkan origins. Additionally, more than one million Turks live in Balkan countries, constituting a bridge between these countries and Turkey.}}</ref> এবং [[সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র|সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের]] পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চলে (অর্থাৎ [[আজারবাইজান]], [[জর্জিয়া]], [[কাজাখস্তান]], [[রাশিয়া]] এবং [[ইউক্রেন]]) প্রায় ৪০০,০০০ [[মেসেথিয়ান টার্কস|মেসেখিয়ান তুর্কি]] রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.aljazeera.com.tr/al-jazeera-ozel/ahiska-turklerinin-70-yillik-surgunu|শিরোনাম=Ahıska Türklerinin 70 yıllık sürgünü|শেষাংশ=Al Jazeera|তারিখ=2014|ওয়েবসাইট=Al Jazeera|সংগ্রহের-তারিখ=2016-07-05}}</ref>
 
উত্স অনুসারে [[রাশিয়ায় ইসলাম|রাশিয়ার মুসলমানদের]] (ইউরোপের সবচেয়ে বড় মুসলিম গোষ্ঠী) শতকরা হার ৫%<ref>[http://www.kommersant.ru/doc/1997068 by example only 6% of the Russian population is Islamic]</ref> থেকে ১১.৭%{{Sfn|Pew 2011}} পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি কেবল আচারনিষ্ঠ মুসলিম বা মুসলিম বংশোদ্ভূত সমস্ত লোককে গণনা করা হয় কিনা তার উপরও নির্ভর করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.lemonde.fr/les-decodeurs/article/2015/01/21/que-pese-l-islam-en-france_4559859_4355770.html|শিরোনাম=What is the weight of Islam in France ?|তারিখ=January 21, 2015|প্রকাশক=Les décodeurs (Le Monde)}}</ref>
 
[[আলবেনিয়া|আলবেনিয়ার]] ৫৮.৮% ইসলামকে মেনে চলে এবং এটি দেশটির বৃহত্তম ধর্ম হয়ে উঠেছে। উল্লেখযোগ্য বেকতাশি শিয়া সংখ্যালঘুসহ আলবেনিয়ানআলবেনীয় মুসলমানদের বেশিরভাগই সেক্যুলার সুন্নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.instat.gov.al/media/177358/njoftim_per_media_-_fjala_e_drejtorit_te_instat_ines_nurja_per_rezultatet_finale_te_census_2011.pdf |শিরোনাম=2011 Albanian census |সংগ্রহের-তারিখ=২২ মে ২০২১ |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ মার্চ ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170326091156/http://www.instat.gov.al/media/177358/njoftim_per_media_-_fjala_e_drejtorit_te_instat_ines_nurja_per_rezultatet_finale_te_census_2011.pdf |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> [[কসোভো|কসোভোয়]] মুসলমানদের শতকরা হার ৯৩.৫%,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ijesd.org/papers/29-D438.pdf|শিরোনাম=Muslim Population in Europe: 1950 – 2020|শেষাংশ=Kettani|প্রথমাংশ=Houssain|তারিখ=2010|প্রকাশক=International Journal of Environmental Science and Development vol. 1, no. 2, p. 156|সংগ্রহের-তারিখ=17 November 2016}}</ref> [[উত্তর মেসিডোনিয়া|উত্তর ম্যাসিডোনিয়াতে]] ৩৯.৩%<ref>''[http://www.pewforum.org/2015/04/02/religious-projection-table/2010/percent/all/ "Religious Composition by Country, 2010-2050"]'' in: ''[[Pew Research Center]]'', Retrieved 10 November 2016</ref><ref>''[http://www.globalreligiousfutures.org/countries/republic-of-macedonia#/?affiliations_religion_id=0&affiliations_year=2010&region_name=All%20Countries&restrictions_year=2013 Republic of Macedonia]'', in: ''Pew-Templeton Global Religious Futures'', Retrieved 10 November 2016</ref> (ম্যাসিডোনিয়ায় ২০০২ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ০-৪ বছর বয়সী শিশুদের ৪৬.৫% শিশু মুসলিম ছিল)<ref>[http://www.stat.gov.mk/publikacii/knigaIX.pdf ''Census of Pupulation, Households and Dwellings in the Republic of Macedonia, 2002'', p. 518]</ref> এবং [[বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা|বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায়]] ৫০.৭%<ref>2013 Census, http://popis2013.ba/ {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20190403010058/http://www.popis2013.ba/ |date=৩ এপ্রিল ২০১৯ }}</ref> আন্তমহাদেশীয় দেশগুলিতে, যেমন [[তুরস্ক|তুরস্কের]] এবং [[আজারবাইজান|আজারবাইজানে]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.kazembassy.org.uk/img/Country%20Profile%202007_1.pdf|শিরোনাম=Embassy of the Republic of Kazakhstan in the UK, Country Profile 2007, p.4|সংগ্রহের-তারিখ=2007-06-21}}</ref> জনসংখ্যার যথাক্রমে ৯৯% ও ৯৩% মুসলমান। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, [[মন্টিনিগ্রো|মন্টিনিগ্রোর]] মোট জনসংখ্যার ২০% মুসলমান।<ref name="monstat 2011">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.monstat.org/userfiles/file/popis2011/saopstenje/saopstenje(1).pdf|শিরোনাম=Census of Population, Households and Dwellings in Montenegro 2011|ওয়েবসাইট=Monstat|পাতাসমূহ=14, 15|সংগ্রহের-তারিখ=October 16, 2016}}</ref> [[রাশিয়া|রাশিয়ায়]] [[মস্কো|মস্কোতে]] আনুমানিক দেড় মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে।<ref>[http://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/article551693.ece The rise of Russian Muslims worries Orthodox Church], The Times, 5 August 2005</ref><ref name="ajc.com">Don Melvin, [http://www.ajc.com/news/content/news/stories/1204/17muslims.html "Europe works to assimilate Muslims"]{{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20051030120751/http://www.ajc.com/news/content/news/stories/1204/17muslims.html|তারিখ=2005-10-30}}, ''Atlanta Journal-Constitution'', 2004-12-17</ref><ref>[http://www.unhcr.org/publ/PUBL/40ffd2eb4.html Tolerance and fear collide in the Netherlands], [[UNHCR]], Refugees Magazine, Issue 135 (New Europe)</ref>
 
ড্যারেন ই. শেরকাত ''[[বিদেশ বিষয়ক|ফরেন অ্যাফেয়ার্সে]]'' প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, অ-ধর্মাবলম্বী মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে বিবেচনায় না নিয়ে করা মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধির কিছু অনুমান সঠিক কিনা? পরিমাণগত গবেষণার অভাব রয়েছে, তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইউরোপীয় প্রবণতাগুলি আমেরিকা থেকে আসা প্রবণতাগুলিকে প্রতিবিম্বিত করে: যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায় যে, মুসলমান হিসেবে বড় হওয়া লোকদের মধ্যে ৩২ শতাংশই যৌবনে ইসলাম অবলম্বন করেন না, এবং ১৮ শতাংশেরই কোনও ধর্মীয় পরিচয় নেই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.foreignaffairs.com/reviews/2015-06-22/losing-their-religion|শিরোনাম=Losing Their Religion: When Muslim Immigrants Leave Islam|শেষাংশ=Sherkat|প্রথমাংশ=Darren E.|তারিখ=22 June 2015|ওয়েবসাইট=[[Foreign Affairs]]}}</ref>
১৫৬ ⟶ ১৫৩ নং লাইন:
=== অনুমানসমূহ ===
[[File:Muslim_pop_Euro.JPG|ডান|থাম্ব|[[পিউ রিসার্চ সেন্টার|পিউ রিসার্চ সেন্টারের]] মতে, ২০১০ সালে ইউরোপের জনসংখ্যার ৬% মুসলমান ছিল এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৮% হওয়ার অনুমান করা হয়েছে।{{Sfn|Pew 2011}} (এই উপাত্তটি অভিবাসন সংকট এর পর থেকে মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে জনসংখ্যার গতিবিধিগুলোকে বিবেচনা করে না।)]]
২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায়, ২০১০ সালের ইউরোপীয় মুসলিম জনসংখ্যা ৬% থেকে বেড়ে ২০৩০ সালে ৮% হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।{{Sfn|Pew 2011}} গবেষণায় আরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ২০১০ সালের মুসলিম বৃদ্ধির হার ২.২ থেকে নেমে ২০৩০ সালে ২.০ হতে পারে। অন্যদিকে, ইউরোপে অমুসলিম উর্বরতার হার ২০১০ সালের ১.৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সালে ১.৬ এ উন্নীত হবে।{{Sfn|Pew 2011}} ২০১৭ সালে প্রকাশিত আরেকটি পিউ গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে যে, ২০৫০ সালে মুসলমানরা ইউরোপের জনসংখ্যার ৭.৪% (যদি সমস্ত ইউরোপে সমস্ত অভিবাসন হত তবে অবিলম্বে এবং স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় -"শূন্য স্থানান্তর" পরিস্থিতি) থেকে ১৪% ("উচ্চ" মাইগ্রেশন পরিস্থিতির আওতায়) পর্যন্ত গঠন করবে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.pewforum.org/2017/11/29/europes-growing-muslim-population/|শিরোনাম=Europes growing muslim-population - Pew Research Center|তারিখ=29 November 2017|ওয়েবসাইট=Pew Research Center's Religion & Public Life Project|সংগ্রহের-তারিখ=16 December 2017}}</ref> ২০০২০০০ এর দশকের ইউরোপে ইসলামের বৃদ্ধির হারের তথ্য থেকে দেখা গেছে যে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটি মূলত অভিবাসন এবং উচ্চ [[জন্মহার|জন্মহারের]] কারণে হয়েছিল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/europe/4385768.stm|শিরোনাম=Muslims in Europe: Country guide|তারিখ=2005-12-23|কর্ম=[[BBC News]]|সংগ্রহের-তারিখ=2010-04-01}}</ref>
 
২০১৭ সালে পিউ অনুমান করেছিল যে, ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা ৭% থেকে ১৪% এর মধ্যে একটি স্তরে পৌঁছে যাবে। অনুমানগুলি মাইগ্রেশনের স্তরের উপর নির্ভর করে। একেবারে কোনও মাইগ্রেশন না থাকলে, অনুমানিত স্তরটি ছিল ৭%; উচ্চ স্থানান্তর সহ, এটি ছিল ১৪%। এই অনুমানগুলি দেশ অনুযায়ী ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। উচ্চ স্থানান্তরের দৃশ্যের অধীনে,ঐতিহাসিকভাবে কোনও অমুসলিম দেশ হিসেবে সুইডেনে সর্বোচ্চ অনুমান স্তর ছিল ৩০%। বিপরীতভাবে, [[পোল্যান্ড|পোল্যান্ডে]] ১% এর নীচে থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.pewresearch.org/fact-tank/2017/12/04/europes-muslim-population-will-continue-to-grow-but-how-much-depends-on-migration/|শিরোনাম=Europe's Muslim population will continue to grow – but how much depends on migration|শেষাংশ=Lipka|প্রথমাংশ=Michael|তারিখ=December 4, 2017|ওয়েবসাইট=Pew Center}}</ref>
 
২০০৬ সালে, রক্ষণশীল খ্রিস্টান [[ফিলিপ জেনকিনস|ঐতিহাসিক ফিলিপ জেনকিনস]], [[ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট|, ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট]] থিঙ্কট্যাঙ্কের জন্য একটি নিবন্ধে লিখেছেন যে, ২১০০ সালের মধ্যে ইউরোপের জনসংখ্যার প্রায় ২৫% মুসলিম জনসংখ্যা হওয়া "সম্ভাব্য" ছিল; জেনকিনস বলেছিলেন যে, এই পরিসংখ্যানটিতে ইউরোপের অভিবাসী খ্রিস্টানদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জন্মের হিসাব বিবেচনাইয়বিবেচনায় নেয়নি, তবে তিনি তাঁর পদ্ধতির বিবরণ দেননি।<ref>Philip Jenkins, "[http://deathandreligion.plamienok.sk/files/21-Demographics_Religion_and_the_Future_of_Europe.pdf Demographics, Religion, and the Future of Europe]", ''Orbis: A Journal of World Affairs'', vol. 50, no. 3, pp. 533, summer 2006</ref> ২০১০ সালে বার্কবেক, ইউনিভারসিটি অব লন্ডন এর রাজনীতির অধ্যাপক [[এরিক কাউফম্যান]] বলেছিলেন যে "আমাদের অনুমানের মধ্যে আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ উচ্চ অভিবাসনের দেশের (জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য) ১০-১৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা দেখছি।";<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://newhumanist.org.uk/articles/2267/battle-of-the-babies|শিরোনাম=Battle of the Babies - New Humanist}}</ref> তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ইসলামের সম্প্রসারণ হচ্ছে, ইসলাম গ্রহণের কারণে নয়, মূলত ধর্মটির "প্রাক-প্রসবকালীন" দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, যেখানে মুসলমানদের আরও সন্তান ধারণের প্রবণতা রয়েছে।<ref name="vancouversun.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vancouversun.com/news/staff-blogs/think-religion-is-declining-look-at-who-is-going-forth-and-multiplying|শিরোনাম=Think religion is in decline? Look at who is 'going forth and multiplying'|তারিখ=12 October 2014}}</ref> অন্যান্য বিশ্লেষকরা দাবি করা মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির যথাযথতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন যে, অনেক ইউরোপীয় দেশ যেসরকারী কোনওফরম ব্যক্তিরবা ধর্মকেআদমশুমারিতে সরকারীকোন রূপব্যক্তির বাধর্ম আদমশুমারিতেসম্পর্কে জিজ্ঞাসাজানতে করেচায় না, তাই সঠিক অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং যুক্তি দেন যে, [[মরক্কো]], [[নেদারল্যান্ডস]] এবং [[তুরস্ক|তুরস্কে]] মুসলিম উর্বরতার হার হ্রাস পেয়েছে। <ref>Mary Mederios Kent, ''[http://www.prb.org/Articles/2008/muslimsineurope.aspx?p=1 Do Muslims have more children than other women in western Europe?] ''</ref>
{| class="wikitable sortable" title="Table, Islam by country" cellspacing="4" style="font-size:100%;"
!দেশ
৫০২ ⟶ ৪৯৯ নং লাইন:
 
=== ধর্মীয়তা ===
ডয়েচে ভেলের মতে, মুসলিম দেশগুলো থেকে আগত অভিবাসীরা দৃঢ়ভাবে ধার্মিক থাকেন, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলমান রয়েছে। যুক্তরাজ্যে, ৬৪% "অত্যন্ত ধার্মিক", অস্ট্রিয়ায় ৪২%, ফ্রান্সে ৩৩% এবং সুইজারল্যান্ডে ২৬%। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dw.com/en/islam-shouldnt-culturally-shape-germany-alexander-dobrindt-claims/a-43335131|শিরোনাম='Islam shouldn't culturally shape Germany' - Alexander Dobrindt claims {{!}} DW {{!}} 11.04.2018|শেষাংশ=Welle (www.dw.com)|প্রথমাংশ=Deutsche|তারিখ=11 April 2018|ওয়েবসাইট=DW.COM|ভাষা=en-GB|সংগ্রহের-তারিখ=2019-10-13|উক্তি=Muslims from immigrant families maintain a strong religious commitment which continues across generations. Sixty-four percent of Muslims living in the UK describe themselves as highly religious. The share of devout Muslims stands at 42 percent in Austria, 39 percent in Germany, 33 percent in France and 26 percent in Switzerland.}}</ref>
 
২০০৫ সালের ইউনিভার্সিটি-লিব্রে ডি ব্রাক্সেলিসের একটি সমীক্ষায় অনুমান করা হয় যে, [[বেলজিয়ামে ইসলাম|বেলজিয়ামের মুসলিম জনসংখ্যার]] প্রায় ১০% "অনুশীলনকারী মুসলিম" রয়েছেন।<ref name="USDEP">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://2001-2009.state.gov/g/drl/rls/irf/2006/71371.htm|শিরোনাম=US State Department, International Religious Freedom Report 2006, Belgium|তারিখ=2 October 2005|প্রকাশক=State.gov|সংগ্রহের-তারিখ=8 June 2012}}</ref> ২০০৯ সালে, এক সমীক্ষা অনুসারে নেদারল্যান্ডসের মাত্র ২৪% মুসলমান সপ্তাহে একবার মসজিদে অংশ নিয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cbs.nl/nl-nl/publicatie/2009/31/religie-aan-het-begin-van-de-21ste-eeuw|শিরোনাম=Religie aan het begin van de 21ste eeuw|শেষাংশ=CBS|ওয়েবসাইট=www.cbs.nl|ভাষা=nl-NL|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170202234607/https://www.cbs.nl/nl-nl/publicatie/2009/31/religie-aan-het-begin-van-de-21ste-eeuw|আর্কাইভের-তারিখ=2017-02-02|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=2017-04-16}}</ref> ২০০৪ সালের একই জরিপ অনুসারে, তারা দেখতে পেয়েছিল যে ডাচ মুসলমানদের বিশেষত দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদের জীবনে ইসলামের গুরুত্ব হ্রাস পাচ্ছে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, যাদের সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে কেবলমাত্র ৩৩% [[ফরাসী মুসলমানরা|ফরাসী মুসলমান]] বলেছিলেন যে, তারা ধার্মিক বিশ্বাসী। সেই চিত্রটি অক্টোবর ২০১০-এ আইএনইডি/আইএনএসইই সমীক্ষায় প্রাপ্ত হিসাবে একই।<ref name="plus.lefigaro.fr">Michael Cosgrove, [http://plus.lefigaro.fr/note/how-does-france-count-its-muslim-population-20110407-435643 ''How does France count its Muslim population?''] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20171010074044/http://plus.lefigaro.fr/note/how-does-france-count-its-muslim-population-20110407-435643 |date=১০ অক্টোবর ২০১৭ }}</ref>
৫১৭ ⟶ ৫১৪ নং লাইন:
=== ইসলামি পোশাক ===
{{main|ইউরোপে ইসলামি পোশাক}}
২০১৮ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, বেশিরভাগ ইউরোপীয়রা মুখমণ্ডল আবৃতকারী ওড়নার উপর বিধিনিষেধের পক্ষে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.pewresearch.org/fact-tank/2018/09/17/most-western-europeans-favor-at-least-some-restrictions-on-muslim-womens-religious-clothing/|শিরোনাম=Most Western Europeans favor restrictions on Muslim women's religious clothing {{!}} Pew Research Center|কর্ম=Pew Research Center|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-30|ভাষা=en-US}}</ref> পশ্চিম ইউরোপে প্রতি ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন মুখমণ্ডল আবৃতকারী ওড়না নিষিদ্ধ করার পক্ষে বলে অনুমান করা হয়। রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবীদের বিপরীতে, লোকেরা ইসলামিক পোশাককে ধর্মীয় প্রতীকের প্রতিনিধিত্ব করাকে বোঝে না বরং ইসলামবাদ রূপে একটি দমনমূলক মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করাকে বোঝে; যা পরিবার, সমাজ এবং রাজনীতিতে এর প্রভাবকে প্রসারিত করতে চায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bazonline.ch/news/standard/die-zwangsjacke-namens-burka/story/15893262|শিরোনাম=Die Zwangsjacke namens Burka|কর্ম=baz.ch/|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-30}}</ref>
 
=== সম্মান রক্ষার্থে হত্যা ===
অ-পিয়ার পর্যালোচিত ''মিডল ইস্ট কোয়াটারলি'' জার্নালে প্রকাশিত মনো-বিশেষজ্ঞ ফিলিস চেসলারের ১৯৮৯-২০০৯-এ ইউরোপে ৬৭ টি সম্মান রক্ষার্থে হত্যার তদন্তের গবেষণা অনুসারে, ইউরোপে ৬৯% সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অপরাধী মুসলমান ছিল এবং ৬৮% মানুষ মারা যাওয়ার আগে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।<ref name="HonrKillings">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.meforum.org/2646/worldwide-trends-in-honor-killings|শিরোনাম=Worldwide Trends in Honor Killings|শেষাংশ=Chesler|প্রথমাংশ=Phyllis|তারিখ=2010-03-01|ভাষা=en}}</ref> তার সমীক্ষায় দেখা গেছে, হিজাব পরতে অস্বীকার করার কারণে বা যথাযথভাবে না পরার কারণে পশ্চিমা বিশ্ব এবং অন্য কোথাও মুসলিম মেয়ে ও মহিলাদের হত্যা করা হয়। ইউরোপে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার ন্যায্যতার ৭১% হল একজন মুসলিম মহিলার অগ্রহণযোগ্য "পশ্চিমীকরণ" এর অভিযোগ।
 
=== ইসলামবাদ ===
 
=== ইসলামিক মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ===
উইজেনশ্যাফটসেন্ট্রাম বার্লিন ফোর সোজিয়ালফোরসচং (ডব্লিউজেডবি) দ্বারা পরিচালিত ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ইউরোপের মুসলমানদের মধ্যে [[ইসলামি মৌলবাদ]] ব্যাপক ছিল। এই সমীক্ষায় তুরস্কের অভিবাসীদের মধ্যে ছয়টি ইউরোপীয় দেশ: [[জার্মানি]], [[ফ্রান্স]], [[নেদারল্যান্ডস]], [[বেলজিয়াম]], [[অস্ট্রিয়া]] এবং [[সুইডেন|সুইডেনে]] একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। প্রথম চারটি দেশে মরক্কোর অভিবাসীদেরও সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়েছিল।<ref name="fundamentalism">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bibliothek.wzb.eu/pdf/2014/vi14-101.pdf|শিরোনাম=Religious fundamentalism and out-group hostility among Muslims and Christians in Western Europe|শেষাংশ=Koopmans|প্রথমাংশ=Ruud|তারিখ=March 2014|প্রকাশক=WZB Berlin Social Science Center|পাতাসমূহ=7, 11, 15|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150108011413/https://bibliothek.wzb.eu/pdf/2014/vi14-101.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=8 January 2015}}</ref> মৌলবাদকে এই হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল: এই বিশ্বাস যে অতীতেঅতীতের নির্ধারিত অনন্ত ও পরিবর্তনঅযোগ্য নিয়মে বিশ্বাসীদের ফিরে আসা উচিত; এই বিধিগুলি কেবল একটি ব্যাখ্যার অনুমতি দেয় এবং সমস্ত বিশ্বাসীর জন্য বাধ্যতামূলক; এবং ধর্মনিরপেক্ষ আইনগুলির চেয়ে ধর্মীয় বিধিগুলির অগ্রাধিকার রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই তৃতীয়াংশ মুসলমান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে, নাগরিক আইনের চেয়ে ধর্মীয় বিধি-ব্যবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তিন চতুর্থাংশ ইসলামে ধর্মীয় বহুত্ববাদকে প্রত্যাখ্যান করে।করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.wzb.eu/en/press-release/islamic-fundamentalism-is-widely-spread|শিরোনাম=Islamic fundamentalism is widely spread|তারিখ=December 9, 2013|প্রকাশক=Wissenschaftszentrum Berlin für Sozialforschung}}</ref> উত্তরদাতাদের মধ্যে, ৪৪% তিনটির সবগুলো বিবৃতিতে সম্মত হয়েছে। প্রায় ৬০% উত্তর দিয়েছিল যে, মুসলমানদের ইসলামের মূলে ফিরে আসা উচিত, ৭৫% মনে করেছিলেন যে কুরআনের একটিমাত্র ব্যাখ্যা হওয়া সম্ভব।
 
উপসংহারটি ছিল এই যে, খ্রিস্টান নাগরিকদের তুলনায় ইউরোপীয় মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় মৌলবাদ অনেক বেশি প্রচলিত। উপলব্ধ বৈষম্য ধর্মীয় মৌলবাদের একটি প্রান্তিক ভবিষ্যদ্বাণী।<ref name="fundamentalism">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bibliothek.wzb.eu/pdf/2014/vi14-101.pdf|শিরোনাম=Religious fundamentalism and out-group hostility among Muslims and Christians in Western Europe|শেষাংশ=Koopmans|প্রথমাংশ=Ruud|তারিখ=March 2014|প্রকাশক=WZB Berlin Social Science Center|পাতাসমূহ=7, 11, 15|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150108011413/https://bibliothek.wzb.eu/pdf/2014/vi14-101.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=8 January 2015}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true" id="CITEREFKoopmans2014">Koopmans, Ruud (March 2014). </cite></ref> পশ্চিমা সরকারগুলি পরিচয়ের উৎস হিসেবে ইসলামের প্রতি সহজাত বিরোধিতা করছে এমন ধারণা কিছু ইউরোপীয় মুসলমানের মধ্যে রয়েছে। তবে একটি সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, আইএসআইএসের উত্থানের পরে এই ধারণাটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, বিশেষত যুবসমাজ এবং উচ্চ শিক্ষিত ইউরোপীয় মুসলমানদের মধ্যে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Perception of Western governments' hostility to Islam among European Muslims before and after ISIS: the important roles of residential segregation and education|শেষাংশ=Hekmatpour|প্রথমাংশ=Peyman|শেষাংশ২=Burns|প্রথমাংশ২=Thomas J.|বছর=2019|পাতাসমূহ=2133–2165|ভাষা=en|doi=10.1111/1468-4446.12673|issn=1468-4446|pmid=31004347}}</ref> দেশগুলির মধ্যে পার্থক্য "প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় মৌলবাদ" কে অস্বীকার করে, যেখানে মৌলবাদকে মুসলমানদের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার অভাবের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা হয়। এর পরিবর্তে, এটি পাওয়া গেল যে, বেলজিয়ামে সাধারণভাবে মুসলমান এবং অভিবাসীদের প্রতি তুলনামূলক উদার নীতি রয়েছে, সে তুলনায় তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্তরের মৌলবাদও ছিল। সীমাবদ্ধ নীতি রয়েছে যেমন ফ্রান্স এবং জার্মানিতে মৌলবাদের নিম্ন স্তর ছিল।
৫৩৩ ⟶ ৫৩০ নং লাইন:
=== মুসলমানদের প্রতি মনোভাব ===
 {{Islamophobia}}
ইউরোপের বিভিন্ন অংশে মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়।{{bar box|title=মুসলিমদেরমুসলমানদের প্রতিকূল মতামত, ২০১৯<ref>{{cite news |title=European Public Opinion Three Decades After the Fall of Communism — 6. Minority groups |url=https://www.pewresearch.org/global/2019/10/14/minority-groups/ |work=Pew Research Center |date=14 October 2019}}</ref>|titlebar=#ddd|left1='''দেশ'''|right1='''শতকরা হার'''|width=400px|bars={{bar percent|[[স্লোভাকিয়া]]|peru|77}}
{{bar percent|[[পোল্যান্ড]]|peru|66}}
{{bar percent|[[চেক প্রজাতন্ত্র]]|peru|64}}
৫৫০ ⟶ ৫৪৭ নং লাইন:
২০০৩ সালে ''সোসিয়াল এন কালচারেল প্ল্যানবুরোর'' বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ডাচদের অর্ধেক জনগোষ্ঠী এবং অর্ধেক মরোক্কান ও তুর্কি সংখ্যালঘুরা জানিয়েছিল যে, পাশ্চাত্য জীবনযাত্রা মুসলমানদের সাথে মিলিত হতে পারে না।<ref name=":12">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.scp.nl/Publicaties/Alle_publicaties/Publicaties_2005/Jaarrapport_Integratie_2005|শিরোনাম=Jaarrapport Integratie 2005 - SCP Summary|ওয়েবসাইট=www.scp.nl|পাতাসমূহ=1–2|ভাষা=nl|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-15|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৮-০৯-১৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180916022710/https://www.scp.nl/Publicaties/Alle_publicaties/Publicaties_2005/Jaarrapport_Integratie_2005|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>
 
[[পোল্যান্ড|পোলিশ]] সেন্টার ফর পাবলিক অপিনিওনঅপিনিয়ন রিসার্চের ২০১৫ সালের জরিপে দেখা গেছে যে, ৪৪% পোলিশ মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, মাত্র ২৩% তাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। তদুপরি, "মুসলমানরা তাদের নিজস্ব রীতিনীতি ও মূল্যবোধের অসহিষ্ণু।" (৬৪% একমত, ১২% দ্বিমত পোষণ করেছে), "পশ্চিমা ইউরোপীয় দেশগুলিতে বসবাসকারী মুসলমানরা সাধারণত রীতিনীতি এবং মূল্যবোধ অর্জন করে না যা সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যযুক্ত।" (৬৩% একমত, ১৪% দ্বিমত পোষণ করেছেন), "ইসলাম অন্য ধর্মের তুলনায় সহিংসতা উত্সাহিত করে।" (৫১% একমত, ২৪% দ্বিমত পোষণ করেছেন) এর মতো কথায় সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক একমত হয়েছেন।<ref name="2015 CBOS">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://cbos.pl/SPISKOM.POL/2015/K_037_15.PDF|শিরোনাম=Postawy wobec Islamu i Muzułmanów|তারিখ=March 2015|ওয়েবসাইট=Michał Feliksiak|প্রকাশক=CBOS|ভাষা=pl}}</ref>
 
চ্যাথাম হাউস এর ১০টি ইউরোপীয় দেশের ১০০০০ জনের ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গড়ে বেশিরভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অভিবাসনের বিরোধিতা করেছিল, বিশেষত অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামে বিরোধিতা সুস্পষ্ট হয়েছিল। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫৫% বিরোধিতা করেছিলেন, ২০% জনগণ কোনও মতামত দেননি এবং ২৫% [[মুসলিম বিশ্ব|মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ]] থেকে আরও অভিবাসন গ্রহণের পক্ষে ছিলেন। সমীক্ষার লেখকরা যুক্ত করেছেন যে, পোল্যান্ড ব্যতীত এই দেশগুলি পূর্ববর্তী বছরগুলিতে জিহাদি সন্ত্রাসবাদের আক্রমণে ভুগছিল বা তারা শরণার্থী সঙ্কটের কেন্দ্রে ছিল। তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে, ভোট নেওয়া বেশিরভাগ দেশে কট্টরপন্থী অধিকারের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.chathamhouse.org/expert/comment/what-do-europeans-think-about-muslim-immigration|শিরোনাম=What Do Europeans Think About Muslim Immigration?|কর্ম=Chatham House|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-28|ভাষা=en|উক্তি=With the exception of Poland, these countries have either been at the centre of the refugee crisis or experienced terrorist attacks in recent years.}}</ref>
৫৫৭ ⟶ ৫৫৪ নং লাইন:
 
=== কর্মসংস্থান ===
জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডের মুসলমানদের উপর ডব্লিউজেডবির এক তদন্তের রিপোর্ট অনুসারে, ইউরোপের মুসলমানদের সাধারণত বেকারত্বের মাত্রা বেশি থাকে; যা ভাষারভাষাগত দক্ষতার অভাব, আন্তঃজাতিগত সামাজিক বন্ধনের অভাব এবং লিঙ্গ ভূমিকার একটি ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই ঘটে থাকে, যেখানে মহিলারা বাড়ির বাইরে কাজ করতে পারেন না। বেকারত্বের কারণের একটি ছোট অংশ ছিল নিয়োগকর্তাদের বৈষম্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.wzb.eu/en/node/42814|শিরোনাম=Muslime auf dem Arbeitsmarkt {{!}} WZB|ওয়েবসাইট=www.wzb.eu|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2018-09-20}}</ref>
 
== আরো দেখুন ==