বেতাল পঞ্চবিংশতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা
১০ নং লাইন:
আবার একদিন রাজা বিক্রম বেতালকে ধরার জন্য জঙ্গলে আসে, এবার বেতাল একটি পিতাপুত্রের কাহিনী শোনায়। পিতাপুত্র একটি কোলাহলের মধ্যে রাণী এবং রাজকন্যাকে খুঁজে পায় এবং তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুত্র রাণীকে এবং পিতা রাজকন্যাকে বিয়ে করে ফেলে। পরে পুত্র-রাণীর একটি ছেলে সন্তান হয় এবং পিতা-রাজকন্যার একটি কন্যা সন্তান। গল্প শেষ হলে বেতাল বিক্রমকে জিজ্ঞেস করে যে নবজন্মা শিশুদুটির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কি হবে, বিক্রম এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা। অবশেষে বেতাল রাজা বিক্রমের সাথে যেতে রাজি হয়ে যায়।
 
যাওয়ার পথে বেতাল নিজের কাহিনী বলা শুরু করে। তার মাবাবার পুত্রসন্তান ছিলোনা, এক তান্ত্রিক তাদেরকে যমজ পুত্রসন্তান দান করবে জাদুর মাধ্যমে তবে তাদেরকে তার অধীনে লেখাপড়া শিখতে হবে বলে সে শর্ত দেয়। বেতাল সবকিছুই শেখে তবে প্রায়ই মার খায়। অপরদিকে তার ভ্রাতাকে প্রহার করা হয়না। বেতাল জেনে যায় যে তান্ত্রিকটি তার যমজ ভাইকে তার মাতাপিতার কাছে ফেরত দিয়ে তাকে জবেহ করবে কারণ সে নাকি সবজান্তা কুমার এবং বেতালকে বলি দিয়ে সে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে যার দ্বারা সে পুরো পৃথিবীকে শাসন করতে পারবে এবং সবসময় অমরণশীল থাকবে। বেতাল বিক্রমকে বলে যে তান্ত্রিকটি এখন তাকেও (বিক্রম) হত্যা করতে চায়, তাকে শিরচ্ছেদশিরশ্ছেদ করতে চায় কারণ সে দেবীদের সামনে মাথানত করেছে। তান্ত্রিক বেতালের আত্মাটাকেও বলি দিয়ে তার সেই পুরনো অভিলাষ চরিতার্থ করে ফেলবে। বেতাল বিক্রমে এসবকিছুর সমাধান বাতলে দেয় এবং বিক্রম পরে সে অনুযায়ী কাজ করে সফল হয়।
{{উইকিসংকলন|বেতালপঞ্চবিংশতি}}