উইকিপিডিয়া:খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট: স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করেছে
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
Tip-bd (আলোচনা | অবদান)
কামিনী ফুল, সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, রচনাশৈলী, অনুবাদ, বানান সংশোধন, বিষয়বস্তু যোগ, চিত্র
১ নং লাইন:
{{খেলাঘর}}
{{খেলাঘর}}[[চিত্র:বাঙলার কামিনী ফুল.jpg|থাম্ব|কামিনী ফুল]]<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->
‘জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি, দুটি যদি জোটে, অর্ধেকে তার ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী..’ বাঙালি অনেক ক্ষেত্রেই কথাটা পালন করে। তাইতো প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি ষড়ঋতুর বাংলার পথে-প্রান্তরে নানা বুনো ফুলের সমারোহ থাকতেও, সৌন্দর্য পিপাসুদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ফুল গাছ শোভা পায়। সন্ধ্যামালতী প্রকৃতিতে সন্ধ্যার বার্তা নিয়ে হাজির হয়। এক সময় রাতের ফুল নিয়ে ছিল নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা! ছাতিম ফুলের তীব্র গন্ধ নিয়ে ছিল নানা ভৌতিক কল্পকাহিনী! এখনো অনেকের বিশ্বাস; হাসনা হেনা ফুলের সুগন্ধে সাপ আসে কিন্তু সাপের শ্রবণ, ঘ্রাণ ও দৃষ্টি শক্তি অত্যন্ত দুর্বল ! গন্ধরাজের মন মাতানো হাওয়া। শিউলি ফুলের নানা ব্যবহার। বকুল ফুলের মালা। রাতের রানী নাইট কুইন অনেকের ছিল স্বপ্নের মতো, যা এখন প্রযুক্তির কল্যানে হরহামেশাই দেখা যায়-
 
মূল প্রসঙ্গে আসা যাক; রাতে ফোঁটা ফুলের মধ্যে কামিনীর সৌরভ অন্যরকম! তাইতো কত কবি শিল্পী সাহিত্যেক কামিনী ফুল নিয়ে কত কিছু রচনা করেছেন, তার কোন ইয়ত্তা নেই। এই লেখাটা হয়তো, সেই মহাসাগরে এক অঞ্জলি জল-
 
এক সময়; চিরহরিৎ কামিনীর পাতা ছাড়া অমর একুশের মালা তৈরি কল্পনা করা যেত না। করোনাকালে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কিছুটা হলেও কম, তাইতো স্বরূপে কামিনী! ফুলে ফুলে পাতা দেখা দায়! মনে হয়; তারা ভরা আকাশের কিছু অংশ ভর করেছে, এইড কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে! রাতের আধারে মিটিমিটি করে জ্বলে কামিনী, নিজের আলো না থাকলেও, অনেকটা চাঁদের মতোই। তাকে ঘিরে জোনাকি পোকার উদ্দেশ্যহীন উড়াউড়ি! গোটা কামিনী গাছটিকে জীবন্ত ছায়াপথ মনে হয়! সকালে ঝরাফুলের পাঁপড়িতে, বিস্তৃত এলাকা সাদা কার্পেটে ঢাকা! রাতের কামিনী দিনের বেলাতেও স্বমহিমায়! ফুলে ফুলে টুনটুনি, মৌটুসী ও মৌমাছিদের আনাগোনায় মুখরিত পরিবেশ! মাঝে মাঝে কামিনীর কমলা ও লাল বর্ণের ফল অপরুপ রঙ ছড়ায়। প্রকৃতির এই অপরূপ রূপ বর্ণনা বা ক্যামেরায় ধারণ করা দুরহ! আধুনিক যুগেও প্রকৃতির কাছে সাহিত্য ও প্রযুক্তি ম্লান। তাই নিরর্থক সেই চেষ্টা না করে, বৃক্ষটির আদি ইতিহাস ও গুনাগুন সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক;
 
কামিনী দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, চীন ও অস্ট্রালেশিয়ার স্থানীয় ফুল। এটি দক্ষিণ মার্কিন অঞ্চলের দেশীভূত। কামিনী সাধারনত সাত মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় । কামিনী ছোট, ক্রান্তীয়, চিরহরিৎ গাছ বা গুল্ম। এই গুল্ম সারা বছর ধরে ফুল ফোঁটাতে পারে। এর পাতা চকচকে হয়ে থাকে। ফুল সধারণত প্রান্তিক, অল্প-কুসুমিত, ঘন এবং সুগন্ধি হয়ে থাকে। পাপড়ি সাদা বা ক্রিম রঙে আবৃত্ত থাকে । ফুল ১২-১৮ মিলিমিটার দীর্ঘ হয়। কামিনী বেদনানাশক হিসেবে ঐতিহ্যগত ঔষধ এবং কাঠের জন্য ব্যবহার করা হয়। কামিনীর পাতার অশোধিত ইথানলীয় সার, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য জ্বলনশীল ব্যথার নিরাময় হিসেবে কাজ করে।
 
কামিনীর বৈজ্ঞানিক নাম: Murraya paniculata, ইংরেজি: orange jasmine, orange jessamine, china box or mock orange. বা কমলা জুঁই নামেও পরিচিত! একধরনের ক্রান্তীয়, যা ছোট, সাদা, সুবাসিত ফুল জন্মদানের মাধ্যমে শোভাময় বৃক্ষ হিসেবে বর্ধিত হয়। কামিনী ঘনিষ্ঠভাবে লেবুবর্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কামিনীর লাল-কমলা আকারে ছোট ফল হয়, তবে কিছু প্রজাতি ফল উৎপাদন করে না। কামিনী বীজ দ্বারা প্রসারিত হয়। কামিনীর ফল কমলা থেকে লাল বর্ণের, এক ইঞ্চি পর্যন্ত আয়তাকার-ডিম্বাকার রসালো হয়। যা বিভিন্ন পাখির প্রিয়। পাখির মলত্যাগের প্রকৃতিক প্রক্রিয়ার বীজ হতে চারা অঙ্কুরিত হয়!
 
এইভাবে কামিনীর বিকাশ ঘটে কিন্তু আধুনিক যুগে কামিনীকে বিভিন্ন রূপে দেখা মেলে! মানুষের শৌখিনতার কোন শেষ নেই । তাই নির্বিচারে বৃক্ষ কুলের জিনের পরিবর্তন ঘটে চলেছে। এই ভাবেই হয়তো, বাঙালির পাঁচশত প্রজাতির ধানের মতোই হারিয়ে যাবে, আদি অকৃত্রিম প্রকৃতিক অনেক বৃক্ষ। তাই বৃক্ষপ্রেমীদের এখনই সচেতন হবার সময়..