নিকোলা টেসলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪৯ নং লাইন:
১৮৯৩ সালে, তিনি তার ডিভাইসগুলির মাধ্যমে ওয়্যারলেস যোগাযোগের সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। টেসলা তার অসমাপ্ত ওয়্যারডেনক্লাইফ টাওয়ার প্রকল্পে, আন্তঃমহাদেশীয় ওয়্যারলেস যোগাযোগ এবং পাওয়ার ট্রান্সমিটারে তার চিন্তাগুলোকে বাস্তবে রুপান্তর করতে চেয়েছিলেন, তবে তার কাজ শেষ হবার আগেই প্রকল্পের তহবিল শেষ হয়ে যায়।
 
[[ওয়ার্ডেনক্লাইফের]] পরে, টেসলা ১৯১০ এবং ১৯২০ এর দশকে বিভিন্ন আবিষ্কারের জন্য একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করেন এবং বিভিন্ন মাত্রার সাফল্য পান। তার উপার্জিত অর্থের বেশিরভাগ গবেষণা কাজে ব্যয় করে, শেষজীবনে [[নিউ ইয়র্ক (অঙ্গরাজ্য)|নিউইয়র্কের]] বিভিন্ন হোটেলে দিনযাপন করতেন তিনি এবং মরণোত্তর তার অনেক হোটেল বিল বকেয়া ছিল। ১৯৪৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে মারা যান।
 
মৃত্যুর পর টেসলার অনেক গবেষণা ১৯৬০ সালের আগ পর্যন্ত রহস্যময়ি থেকে যায়। ১৯৬০ সালে জেনারেল কনফারেন্স অন ওয়েট এন্ড মেসারস টেসলার সম্মানে [[চৌম্বকীয়]] প্রবাহের ঘনত্বের এসআই ইউনিটটির নামকরণ টেসলা করে। ১৯৯০ এর দশক থেকে টেসলার জনপ্রিয়তা পুনরায় বাড়তে থাকে।
 
=== শুরুর জীবন ===
নিকোলা টেসলা ১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই স্মিলিয়ান (বর্তমান ক্রোয়েশিয়া) নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নাম মিলুতিন টেসলা (১৮১৯–১৮৭৯) পেশায় একজন ধর্মযাজক ছিলেন, আর মা ছিলেন ডুকা টেসলা (১৮২২-১৮৯২)। ডুকা টেসলার বাবা যিনি নিজেও [[ধর্মযাজক]] ছিলেন, বাসার জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি বানাতে এবং সার্বিয়ান [[মহাকাব্য]] মুখস্ত রাখতে পারদর্শী ছিলেন।
 
টেসলার মা ডুকা কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি। তবে টেসলা মনে করেন, তিনি তার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি তার মায়ের কাছ থেকে বংশগতভাবে ও তার মায়ের পরিচর্যা ও প্রভাবে পেয়েছেন। টেসলার পূর্বপুরুষরাপূর্ব পুরুষরা ছিলেন [[পশ্চিম সাইবেরিয়ান]], মন্তিনিগ্রর এলাকার।
 
টেসলা তার বাবা মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ। তার তিন বোন মিল্কা, আঞ্জেলিনা, মারিকা আর ভাই ডানে, যিনি এক ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় মারা যায় যখন টেসলার বয়স ৫ বছর। টেসলা ১৮৬১ সালে সিমিলজানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান, যেখানে তিনি [[জার্মানি|জার্মান]], [[গণিত]] আর [[ধর্ম]] শেখেন। ১৮৬২ সালে তার পরিবার গোসপিক এ যায়, যেখানে তার বাবা ধর্মযাজক হিসেবে কাজ করত। টেসলা তার প্রাথমিক শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা শেষ করেন। ১৮৭০ সালে তিনি উত্তরের কারলোভাকে যান উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। সেখানে জার্মান ভাষায় শিক্ষা দেয়া হতো।
 
টেসলা পরবর্তীতে জানান তিনি একজন পদার্থবিজ্ঞানের[[পদার্থ]] বিজ্ঞানের অধ্যাপকের দারাদ্বারা তড়িৎ প্রদর্শনীতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। টেসলা বলেন, এসব রহস্যময় ঘটনাগুলোর প্রদর্শনীই তাকে বিদুৎ এর মত এই অসাধারন শক্তি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলেছিল। টেসলা মনেমনেমনে মনে ক্যালকুলাসের যেসব সমাধান করতে পারতেন, তা দেখে তার শিক্ষকদের মনে সন্দেহ আর বিশ্বয়বিশ্ময় সৃষ্টি করেছিল। ১৮৭৩ সালে তিনি তার ৪ বছরের বিদ্যালয় মাত্র ৩ বছরে শেষ করেন।
 
১৮৭৪ সালে তিনি অস্ট্রিয়-হাঙ্গেরির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি শিকারি পর্বত অন্বেষণ করেন। তিনি বলতেন, প্রকৃতি তাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী করেছে। তিনি টোমিনগাজ এ থাকাকালীন অনেক বই পড়েন। পরে তিনি বলেন যে, [[মার্ক টোয়েইন|মার্ক টোয়েন]] এরসাথে কাজ করায় তার প্রাথমিক অসুস্থতা দূর হয়েছিলো। ১৮৭৫ সালে নিকোলা টেসলা অস্ট্রিয়ার গারাজে সেনাবাহিনীর একটি বৃত্তি লাভ করেন।
 
তিনি প্রথম বছর কোন ক্লাস বাদ দেননি এবং সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ৯ টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি সাইবেরিয়ান একটি সংস্কৃতি ক্লাব এ যোগদান করেন। তার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের কাছ হতে তার বাবার কাছে একটি চিঠি যায়। সেখানে লিখা ছিল, আপনার ছেলে মেধাতালিকায় প্রথম। টেসলা বলেন যে, তিনি রবিবার এবং ছুটির দিন ছাড়া অন্য সব দিন ভোর ৩ টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে কঠোর পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা পেতেন।
৬৮ নং লাইন:
১৮৭৯ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর তার প্রফেসার এর কাছ থেকে তার বাবার চিঠি পান। সেখানে লিখা ছিল অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে টেসলা মারা যেতে পারে। যদি টেসলা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তবে তাকে যেন বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়। সেই সময় ২য় বর্ষে থাকাকালীন তিনি তার শিক্ষক গ্রামে ডাইনামো দারা প্রভাবিত হন। তিনি ২য় বর্ষের পর তার বৃত্তি হারান কারণ তিনি জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ৩য় বর্ষে তিনি ভর্তি, সুবিধাসহ সকল সুবিধা হারান।এরপর তিনি সব ছেড়ে তার পরিবার এর কাছে ফিরে যান। তিনি বলেছিলেন, তার আবেগ আগে ও পরে সব সমান ছিল।
 
পরবর্তীতে তিনি আমারিকাতে বিলিয়ার্ড খেলায় বেশ সুনাম অর্জন করেন। যখন পরীক্ষা চলে আসে তখন তিনি পরীক্ষার জন্য তৈরি ছিলেন না। তিনি পড়ালেখা করতে অস্বীকার করেন। তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বর্ষে কোন নম্বর পাননি। ১৮৭৮ সালে তিনি তার পরিবারের সাথে সব কিছু গোপন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। এরপর তিনি মারিবর চলে যান। যেখানে তিনি মাসে মাত্র ৬০ ফ্লরিন এর জন্য কাজ করতে থাকেন। তিনি তার সময় রাস্তার মানুষের সাথে কার্ড খেলে পার করতেন। ১৮৭৯ সালে তার বাবা মালটিন মারিবর যান তাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সেই তিনি রোগে ভুগছিলেন।
১৮৭৮ সালে তিনি তার পরিবারের সাথে সব কিছু গোপন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। এরপর তিনি মারিবর চলে যান। যেখানে তিনি মাসে মাত্র ৬০ ফ্লরিন এর জন্য কাজ করতে থাকেন। তিনি তার সময় রাস্তার মানুষের সাথে কার্ড খেলে পার করতেন। ১৮৭৯ সালে তার বাবা মালটিন মারিবর যান তাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সেই তিনি রোগে ভুগছিলেন।
 
১৮৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি গোসপিক ফিরে আসেন। ১৮৭৯ সালের ১৭ এপ্রিল তার বাবা মারা যান। তখন তিনি গোসপিক বিশ্ববিদ্যালয় এর সবচাইতে বয়স্ক ছাত্র।
১৩৩ ⟶ ১৩২ নং লাইন:
১৮৯৯ সালের ১৭ মে টেসলা কলোরাডোতে চলে আসেন সেখানে তিনি উচ্চ ভোল্টেজ ও উচ্চ স্পন্দন এর পরিক্ষা করেন।তার গবেষণার ছিল ফুতাডে এবং কিওলার কাছে।তিনি এই জায়গাটি পছন্দ করেছিলেন কারণ সেখানে পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ শক্তির বণ্টনের ধাপগুলোর কাজ করা সহজ ছিল এবং সেখানে কাজের জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হত না।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তারবিহীন টেলিযোগাযোগ এর পরীক্ষা করছেন যার সংকেত প্যারিসের পিকের চূড়া থেকে সংগ্রহ করা হয়।
 
১৮৯৯ সালের ১৫ জুনে তিনি কলোরাডো স্প্রিং এর পরীক্ষা শুরু করেন।তিনিকরেন। তিনি প্রাথমিক আগুনের স্ফুলিঙ্গ ৫ ইঞ্চি পরিমাপ করেন এবং এটি খুব পুরু , গোলমালপূর্ণ শব্দ ছিল। টেসলা বায়ুমণ্ডলীয় তড়িৎ এর অনুসন্ধান করেন। তার গ্রাহক যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি আলোর সংকেত পর্যবেক্ষণ করেন।তিনি স্থির তরঙ্গও প্রথম লক্ষ্য করেন।বিশাল দূরত্ব এবং প্রকৃতিতে আলোর ঝলকানি দেখে টেসলা বলেন যে, পৃথিবীর প্রতিধ্বনি স্পন্দন রয়েছে।
 
তিনি কৃএিম বজ্রপাত তৈরি করেছিলেন (চার্জবিহীন এবং মিলিয়ন ভোল্ট,১৩৫ ফুট উপরে)।তাই বজ্রপাতের শব্দ ১৫ মাইল দূরে ক্রিপল কিক কলোরাডোতে ও শোনা যায়।মানুষ রাস্তায় হাটার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখেছিল। এই স্ফুলিঙ্গ যখন পানির পাইপে প্রবেশ করেছিল তখন থেকে কিছু কমে যেতে থাকে।সুইচ বন্ধ করার পরেও সেখানকার বাতিগুলো জ্বলছিল।মানুষ তাদের ধাতুর জুতার মধ্যে শক পাওয়ার পায় এবং স্থিতিশীল হয়ে পরে।সেখানকার প্রজাপতিগুলোর মধ্যেও তড়িৎ প্রবাহ শুরু হয় এবং পাখায় আগুন ধরে যায়।