মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Itsardar (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
Itsardar (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
১ নং লাইন:
'''মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে একটি এবং সুন্দরবনের একমাত্র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বিকাশমান পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনাময় সাতক্ষীরা |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/tourism/news/bd/672771.details |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০২০ |কর্ম=banglanews24.com |তারিখ=৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> এটি [[খুলনা বিভাগ|খুলনা বিভাগের]] অন্তর্গত [[সাতক্ষীরা জেলা|সাতক্ষীরা জেলার]] [[শ্যামনগর উপজেলা|শ্যামনগর উপজেলায়]] অবস্থিত। মান্দাবাড়িয়া সৈকত বাংলাদেশে এমনকি দেশের বাইরেও খুব বেশি পরিচিত নয়। [[সয়া-হাড়িভাঙ্গা নদী|হাড়িভাঙ্গা নদীর]] তীরে মান্দারবাড়িয়া বনের তীরে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুন্দর সৈকতটি অবস্থিত। এই সৈকতের উল্টোদিকে সুন্দরবন রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://traveleratiq.com/destinations/mandar-bariya-sea-beach-satkhira-bangladesh|শিরোনাম=Mandar Bariya Sea Beach, Satkhira, Bangladesh|ভাষা=en}}</ref>
 
==কিভাবে যাবেন==
সাতক্ষীরার বাস ধরে [[সাতক্ষীরা]]/[[শ্যামনগর]] যেতে হবে। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা সদর থেকে বুড়িগোয়ালীনি ৭০ কিলোমিটার। সহজে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুরস্থ নৌঘাট থেকে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্টিমার বোটে করে শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়ে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে। স্টিমার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৬/৭ ঘণ্টা। স্পিড বোট যোগে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর থেকে মান্দারবাড়িয়া পৌঁছাতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
 
==কি দেখবেন==
সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌঘাট থেকে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার। এই ৭৫/৮০ কিলোমিটার পথের পুরাটাই সুন্দরবনের বুক চিরে যাওয়া বিভিন্ন নদীর মাঝ দিয়ে যেতে হবে এবং নদীর জলরাশির গর্জন নেশা ধরিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট।
 
নীলডুমুর ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে খোলপেটুয়া - [[কপোতাক্]]ষ নদের সঙ্গমস্থলের পাশ কাটিয়ে কলাগাছিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, মালঞ্চ নদী হয়ে পৌঁছতে হবে মান্দারবাড়িয়ায়। এই যাত্রাপথ পাওয়া যাবে আরো বিশাল নদী যার উভয় পাশেই দেখা যাবে চিরহরিৎ সুন্দরবন। সবুজের রাজ্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দিবে। সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান, গোলপাতা, সিংড়া, হেতাল, খলসী, গেওয়া গাছের সম্মিলনে এখানে ঘটেছে সবুজের মিলনমেলা। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টের শ্বাসমূল আর সেখানে হরিণসহ নানা প্রাণীর ছুটে চলা আপনাকে বিমোহিত করে রাখবে। নয়ন ভরে দেখার মত সে দৃশ্য। পানকৌড়ি আর বালিহাসের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে পৌছে যাবেন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।
 
প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ছবির মত সুন্দর, অসম্ভব ভালোলাগার আচ্ছন্নতায় মুগ্ধ করে দিবে। কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, ইনানী, সেন্টমার্টিন সহ বঙ্গপোসাগরের যেকোন সৈকত থেকে মান্দারবাড়িয়া দিবে ভিন্ন স্বাদ দেখেছেন। সুন্দরবন এখানে সমুদ্রের সাথে মিশে গড়ে তুলেছে এক অনন্য বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য্য লীলাভূমি এবং এই কারনেই মান্দারবাড়িয়া অন্য সৈকতগুলো থেকে একেবারেই আলাদা, অপূর্ব সৌন্দর্য ঘেরা এক জায়গা। পিছনে বাঘের ভয় আর সামনে অসম্ভব ভালোলাগার হাতছানি দেয়া সমুদ্র, বিস্তীর্ণ সৈকত, সবুজ রহস্যে ঘেরা বন। পর্যটকেরা এখানে নির্জন সৈকতে নিজেকে নষ্টালজিয়ার জালে জড়িয়ে খুঁজে পাবেন ভিন্ন এক অনুভূতি। সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের ছাপ সে সম্মোহনকে আরও বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুন।
 
==কোথায় থাকবেন==
থাকার জন্যে সাতক্ষীরা অথবা শ্যামনগরের কোন আবাসিক হোটেল বেছে নিতে পারেন।
 
 
==বিস্তারিত==
মান্দারবাড়িয়া, সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত [[বঙ্গোপসাগরের|বঙ্গোপসাগর]] তীরভূমি জুড়ে এক নয়নাভিরাম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত।সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌ-ঘাট থেকে এর Arial দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিঃমিঃ।একদিকে সুন্দরবন অপরদিকে বঙ্গোপসাগরের মায়াবী জলরাশির অবিশ্রান্ত গর্জন যে কোন মানুষকেই দেবে অনির্বচনীয় আনন্দ।মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির অপরূপা সুন্দরবন ও উত্তাল বঙ্গোপসাগরের এক রূপসী কন্যা-যা এখনও কিছুটা অনাবিস্কৃত এবং অস্পর্শিত।এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।[[UNESCO]] ঘোষিত [[world Heritage Site]] হিসেবে সুন্দরবন সপ্তম প্রাকৃতিক আশ্চর্যের তালিকাভুক্ত।
 
==তথ্যসূত্র==