পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
বানান সংশোধন
১৯ নং লাইন:
এছাড়া ঐতিহাসিকভাবে [[পারস্য সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম|পারস্য সাম্রাজ্য]] ও [[নেস্তরবাদ|মধ্য এশিয়া]]তেও খ্রিস্টধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এখান থেকে পরবর্তীতে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াতে খ্রিস্টধর্মের প্রসার ঘটে।</ref> পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্ম পরিভাষাটি দিয়ে একটিমাত্র অভিন্ন ধর্ম-মৈত্রী বা ধর্ম-সম্প্রদায় নির্দেশ করা হয় না। পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্মের প্রধান প্রধান সংগঠনগুলি হল [[পূর্বদেশীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলী]], [[প্রাচ্যদেশীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলীসমূহ]], [[পূর্বদেশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীসমূহ]] (যেগুলি রোমের পোপরাজ্যের সাথে পুনরায় মৈত্রী স্থাপন করেছে কিন্তু এখনও পূর্বদেশীয় উপাসনাপদ্ধতি বজায় রেখেছে), [[প্রতিবাদী পূর্বদেশীয় খ্রিস্টান মণ্ডলীসমূহ]]<ref name="HämmerliMayer2016">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Hämmerli|প্রথমাংশ১=Maria|শেষাংশ২=Mayer|প্রথমাংশ২=Jean-François|শিরোনাম=Orthodox Identities in Western Europe: Migration, Settlement and Innovation|তারিখ=23 May 2016|প্রকাশক=Routledge|ভাষা=en|আইএসবিএন=9781317084914|পাতা=13}}</ref> (যেগুলি ধর্মতত্ত্বের নিরিখে প্রতিবাদী কিন্তু সাংস্কৃতিক রীতিনীতি অনুযায়ী পূর্বদেশীয় খ্রিস্টান) এবং ঐতিহাসিক [[পূর্বের মণ্ডলী]] থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায়সমূহ। পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্মের মণ্ডলীগুলি সাধারণত নিজেদেরকে "পূর্বদেশীয়" বলে নির্দেশ করে না, তবে [[পূর্বের আসিরীয় মণ্ডলী]] এবং [[পূর্বের প্রাচীন মণ্ডলী]] এর ব্যতিক্রম।
 
ঐতিহাসিকভাবে '''পূর্বদেশীয় মণ্ডলী''' পরিভাষাটি রোমের পবিত্র পোপরাজ্যকেন্দ্রিক [[লাতিন মণ্ডলী]] বা পশ্চিমা মণ্ডলীর সাথে (যেটি লাতিন উপাসনাপদ্ধতি ব্যবহার করে) পার্থক্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখানে "পশ্চিমা" ও "পূর্বদেশীয়" পরিভাষাগুলি খ্রিস্টধর্মের ভৌগোলিক বিভাজন থেকে উদ্ভূত হয়, যা মূলত [[গ্রিক পূর্বদেশ এবং লাতিন পাশ্চাত্য|গ্রিক বা হেল্লেনীয় পূর্বদেশ এবং লাতিন পাশ্চাত্যের]] মধ্যবর্তী সাংস্কৃতিক বিভাজন এবং ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে [[পশ্চিমা রোমান সাম্রাজ্য]] ও পূর্বদেশীয় [[বাইজেন্টীয় সাম্রাজ্য|বাইজেন্টীয় রোমান সাম্রাজ্য]] - এই দুইয়ের মধ্যকার রাজনৈতিক বিভাজনের একটি প্রতিচ্ছবি। ১৬শ শতকের প্রতিবাদী সংস্কারের পর থেকে "পশ্চিমা খ্রিস্টধর্ম" বলতে কেবলমাত্র লাতিন মণ্ডলীকেই নয়, বরং [[প্রতিবাদী মতবাদ]] এবং [[স্বাধীন ক্যাথলিকবাদ]]কেও বোঝায়, এবং পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্ম বলতে এগুলির বাইরে অবস্থিত সমস্ত খ্রিস্টান ধর্মসম্প্রদায়কে বোঝায়।<ref name="CSSR1976">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম= Bulletin for the Study of Religion, Volumes 9-12|বছর= 1978|প্রকাশক= Council on the Study of Religion|ভাষা= en|পাতা= 29|উক্তি= Since Eastern Christianity is difficult to define, or even to describe, the subject parameters of the proposed works will be somewhat open-ended.}}</ref> এখানে উল্লেখ্য যে পূর্বদেশীয় কিছু মণ্ডলীর নিজেদের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ও ধর্মতাত্ত্বিক সম্পর্ক বিদ্যমান, তার পরিবর্তে পশ্চিমা মণ্ডলীর সাথে তাদের ঐরূপ সম্পর্ক আরও বেশীবেশি ঘনিষ্ঠ।
 
বর্তমানে পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে বৃহৎ মণ্ডলীটির নাম হল [[পূর্বদেশীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলী]]। একারণে প্রায়শই পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্মকে অনেক সময় "সনাতনপন্থী খ্রিস্টধর্ম" নামে ডাকা হয়ে থাকে। তবে সঠিকভাবে বলতে গেলে বেশীরভাগ খ্রিস্টান ধর্মসম্প্রদায়, তা সে পশ্চিমা বা পূর্বদেশীয় যাই হোক না কেন, নিজেদেরকে "সনাতনপন্থী" (অর্থাৎ "সঠিক বিশ্বাসের অনুসারী") ও "ক্যাথলিক" বা "বিশ্বজনীন" বিবেচনা করে এবং তারা সবাই ৩২৫ খ্রিস্টাব্দে নিকায়েয়ার সম্মেলনে তালিকাভুক্ত [[খ্রিস্টান মণ্ডলীর চারটি চিহ্ন]] গ্রহণ করেছে, যেগুলি হল "এক, পবিত্র, বিশ্বজনীন ও খ্রিস্টের বারোশিষ্যভিত্তিক" ({{lang-gr|μία, ἁγία, καθολικὴ καὶ ἀποστολικὴ ἐκκλησία}})।{{NoteTag|এই ঐক্যমূলক বা বিশ্বজনীন খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাসের সারমর্মটি বর্তমানে [[রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলী]] ([[লাতিন মণ্ডলী]] ও [[পূর্বদেশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীসমূহ]] উভয় ক্ষেত্রেই), [[পূর্বদেশীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলী]], [[প্রাচ্যদেশীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলীসমূহ]], [[পূর্বের আসিরীয় মণ্ডলী]], [[মোরাভীয় মণ্ডলী]], [[লুথেরান মণ্ডলী]]সমূহ, [[মেথডবাদী মণ্ডলী]]সমূহ, [[ইঙ্গ মৈত্রী]], [[সংস্কারকৃত মণ্ডলী]]সমূহ এবং অন্যান্য খ্রিস্টধর্মসম্প্রদায়সমূহের উপাসনাপদ্ধতিতে আবৃত্তি করা হয়।<ref>