পরিগাণনিক স্তরচিত্রণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
বানান সংশোধন
১৫ নং লাইন:
পরিগাণনিক স্তরচিত্রগ্রাহক যন্ত্রগুলিতে একটি আবর্তনশীল [[রঞ্জনরশ্মি নল]] ব্যবহার করা হয় এবং রোগীকে ঘিরে থাকা বৃত্তাকার খাঁচাটিতে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ধরনের নিরূপক যন্ত্র (Detector ডিটেক্টর) বসানো থাকে যেগুলি দেহের ভেতরের বিভিন্ন কলাতে রঞ্জনরশ্মির তনুভবন (X-ray attenuation) পরিমাপ করে। একধিক ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে গৃহীত বহুগুণিত রঞ্জনরশ্মি পরিমাপগুলি এরপর একটি পরিগণক যন্ত্র তথা কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং সেখানে পুনর্গঠনমূলক নির্দেশক্রম (অ্যালগোরিদম) প্রয়োগ করে একটি দেহের প্রস্থচ্ছেদের স্তরচিত্র (ফালি ফালি করে কাটা অসদ্‌ চিত্র) প্রস্তুত করা হয়। যেসব রোগীর দেহে ধাতব প্রোথিত বস্তু বা হৃৎস্পন্দনরক্ষক (পেসমেকার) থাকে, [[চৌম্বকীয় অনুনাদ স্তরচিত্রণ]] (এমআরআই) পদ্ধতিতে তাদের রোগনির্ণয় করা বারণ, কিন্তু পরিগাণনিক স্তরচিত্রণ সম্ভব।
 
১৯৭০-এর দশকে উদ্ভাবিত পরিগাণনিক স্তরচিত্রণ একটি বহুমুখী, বিবিধ ব্যবহারোপযোগী চিত্রণ কৌশল হিসেবে বর্তমানে সুপ্রতিষ্ঠিত। যদিও এই কৌশলটি মূলত রোগনির্ণয়ভিত্তিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বেশীবেশি ব্যবহৃত হয়, এটিকে প্রাণহীন বস্তুর চিত্রণেও ব্যবহার করা হতে পারে।
 
"পরিগণক যন্ত্রের (কম্পিউটারের) সহায়তায় স্তরচিত্রণ উদ্ভাবনের জন্য" ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী [[অ্যালান এম. করম্যাক]] এবং ব্রিটিশ তড়িৎ প্রকৌশলী [[গডফ্রি এন. হাউন্সফিল্ড]]কে যৌথভাবে [[চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার]] প্রদান করা হয়। <ref>{{Cite web|url=https://www.nobelprize.org/prizes/medicine/1979/summary/|title=The Nobel Prize in Physiology or Medicine 1979|website=NobelPrize.org|language=en-US|access-date=2019-08-10}}</ref>