মহিষাসুর (হিন্দু পুরাণ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৬ নং লাইন:
}}
 
'''মহিষাসুর''' বা '''হুদুর দুর্গা''' ({{lang-sa|असुर}}) [[হিন্দু পুরাণ|হিন্দু পুরাণে]] বর্ণিত একটি চরিত্র। <ref>Wash Edward Hale (1999), Ásura in Early Vedic Religion, Motilal Barnarsidass, {{আইএসবিএন|978-8120800618}}, pages 2-6</ref> বিভিন্ন প্রাচীন হিন্দু কাহিনীতে মহিষাসুরকে অপদেবতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। [[রম্ভ]] নামক অসুর মহাদেবকে তপস্যায় প্রীত করে তার নিকট ত্রিলোকবিজয়ী পুত্রবর প্রার্থনা করায় মহাদেব তাকে সেই বর প্রদান করেন।
রম্ভ এই বরলাভ করে অসুররাজ্যে ফেরার পথে এক মহিষরূপী অপ্সরা কে দেখে কামার্ত হন। কামার্ত রম্ভ ওই মহিষীকে হরণ করে বনের মধ্যে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হন। মৈথুনের পরে ওই অপ্সরাকে বিবাহ করে রম্ভাসুর। বিবাহের পর পুনরায় তারা মৈথুনে আবদ্ধ হলে মহিষীর পিতা মহিষের রূপ ধারণ করে মিলনরত রম্ভকে বধ করেন। তার মৃত্যুর পর [[যক্ষ|যক্ষরা]] তার মরদেহ চিতায় স্থাপন করে। তার স্ত্রী শোকাহত মহিষী [[সতীদাহ|সহমরনের]] উদ্দেশ্যে চিতায় আরোহণ করেন। চিতায় অগ্নিসংযোগ করলে চিৎকার করে ওঠে মহিষী অপ্সরা। তখন তার গর্ভ থেকে নিষ্ক্রান্ত হয় তার মহিষরূপ ও রম্ভের মিলনজাত সন্তান, অর্ধ মহিষ অর্ধ মানব মহিষাসুর। তখন রম্ভ পুত্রস্নেহবশতঃ চিতা থেকে উত্থিত হয়। নব উত্থিত রম্ভের নাম হয় [[রক্তবীজ]] <ref>হাবিবুর রহমান প্রনীত ‘যার যা ধর্ম’ পৃ্ষ্ঠা ২৯৫</ref> শিব বরপ্রভাবে মিলনকালেই গর্ভসঞ্চার হয়েছিল মহিষীর। তার পশুরূপের সাথে মিলনের ফলে জ্বলন্ত চিতা থেকে জন্মায় অর্ধ মহিষ অর্ধ মানবরূপী মহিষাসুর। কিছুকাল পরেই অপ্সরীর সাথে যৌনসঙ্গমের ফলে জন্মায় অপর পুত্র রক্তবীজ।বর প্রভাবে জন্মগ্রহণ করে মহিষাসুর অতীব দুর্দান্ত হয়ে উঠে এবং দেবগণকে দূরীভূত করে স্বর্গরাজ্য অধিকার করে। বিতাড়িত দেবগণ শম্ভু ও বিষ্ণুর নিকট তাদের দুঃখের কাহিনী নিবেদন করলে কাত্যায়ন কন্যা রুপী মহামায়া পার্বতী নিজ তেজ দান করে দেবতাদের দেবতারা তাদের তেজ হতে কায়া মূর্তি চণ্ডীর আবির্ভার হয়। দেবী চন্ডী যুদ্ধ করে এই অসুরকে নিহত করেন। [[সাঁওতাল]]িরা মহিষাসুরকে [[হুদুড় দুর্গা]] নামে পূজা করে থাকে।
 
==তথ্যসূত্র==