উইকিপিডিয়া:খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট: স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করেছে
ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
Tip-bd (আলোচনা | অবদান)
প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, রচনাশৈলী, বিষয়শ্রেণী, বানান সংশোধন
১ নং লাইন:
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->উদ্যোক্তা কোনো ব্যক্তি হলেও প্রকৃত অর্থে প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করতে দক্ষ জনশক্তি অপরিহার্য। কারণ মানুষই একমাত্র প্রাণি যাকে ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত, জন্ম হতে মৃত্যু অবধি একে অপরের উপর নির্ভর করে চলতে হয়।
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->
 
একটি সংগঠন বা সংস্থা যখন ধীরে ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে তখন কাজের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে মানব বলয় তৈরি হয়। কিন্তু প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিতে 'One Man Show’ নীতি দেখতে অভ্যস্থ ও পছন্দ করি; তাই প্রায় সর্বত্র ব্যক্তি পূজার চর্চা হয়। নায়ক খোঁজার প্রবণতার ফলে প্রতিষ্ঠান, সমাজ, এমনকি রাজনৈতিক পরিমন্ডলও ব্যক্তি বা পরিবারতন্ত্রের বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে; তা হতে মুক্ত হওয়া কঠিন।
 
এ ধরনের একছত্র ক্ষমতায় ও মানুষের সীমাহীন চাহিদা মনের অজান্তেই প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যক্তি বা পরিবারের সম্পদের ন্যায় কুক্ষিগত করার প্রবণতা তৈরি হয়। এভাবেই সমষ্টি, গোষ্ঠী, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পায়। এভাবেই প্রতিষ্ঠানসমূহের বিভিন্ন স্তরে স্তরে নানা অজুহাতে একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে ব্যক্তি স্বার্থের কাছে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ জিম্মি হয়ে পড়ে, যৌথ প্রচেষ্টার স্বপ্নের ফসল অংকুরে বিনষ্ট হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি অধিকাংশের মন হতে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা কর্পুরের মত হাওয়ায় উড়ে যায়, কর্মীরা অনেকটা প্রাণহীন যন্ত্রমানবে রূপান্তরিত হয়। তখনই বেশির ভাগ সংগঠন স্থায়ী রূপে বিকশিত হবার পূর্বেই ব্যক্তি স্বার্থের দ্বন্দ্বে মুখ থুবরে পড়ে। অনাদরে অবহেলায় সে সকল প্রতিষ্ঠানের ভৌত সম্পদই শুধু পড়ে থাকে। 'The Man behind the machine’. মানুষের দ্বারা সৃষ্ট, মানুষের কল্যাণে গঠিত, মানুষের জন্যই প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের সেই প্রগতি ও উন্নয়নের চাকা সচল আর অচল হয়।
 
সামাজিক বা উন্নয়ন সংগঠন সার্বজনীনতা হারালে সেটি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হতে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। তাইতো এখন সামাজিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ দুরূহ হয়ে পড়ছে। সামাজিক বা উন্নয়ন সংস্থার মালিক জনগণ ও রাষ্ট্র। তাই প্রতিষ্ঠানগুলির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সঠিক পথে পরিচালনার দিশা দেওয়া সচেতন জনতা এবং রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।
 
তাই আসুন, দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে তুলে সমষ্টিক কল্যাণে লিপ্ত হতে অভ্যস্থ করি। তবেই সকল উদ্যোক্তা সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে। ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কের বিষয়টি গুলিয়ে না ফেলে ব্যক্তির ভুল বা অপরাধের দায়ে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত না করি, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় বস্তু টিউমারের ন্যায় ব্যক্তি স্বার্থকে ছেটে ফেলি। সমাজ, পরিবেশ ও মানব কল্যাণে নিবেদিত সার্বজনীন প্রতিষ্ঠানগুলিকে মুক্ত বিহঙ্গের মত ডানা মেলে বিকশিত হবার সুযোগ উন্মোচন করি।
 
কোনো ব্যক্তির কিছু ভুল হলে শুধুমাত্র তা দিয়েই মানুষটিকে মূল্যায়ন করে একে অপরের চরিত্র হরণের নগ্ন খেলাকে না বলি। অভিভাবকদের উল্টো চলা নীতির কারণে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে নেতিবাচক বিষয়গুলি সহজে সংক্রামিত ও ইতিবাচক বিষয়গুলি ধীরে ধীরে সঞ্চালিত হয়। বিধায় স্পর্শকাতর বিষয়সমূহ নিয়ে কথা-বার্তা, চাল-চলন ও লিখুনীতে সাবধানী হওয়া জরুরী।
 
সংগঠন, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সমূহের মাঝে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবশ্যই ইতিবাচক প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু নেতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে না বলি। একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পারে অসাধ্যকে সাধন করতে-