বালাকোট যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
১৮৩১ সালের ৬ মে [[মানশেরা জেলা|মানশেরা জেলার]] [[বালাকোট|বালাকোটে]] মহারাজা রঞ্জিত সিং ও [[সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী]] বাহিনীর মধ্যে '''বালাকোটের যুদ্ধ''' হয়। ব্রেলভি শিখদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন এবং বালাকোটে একটি শিবির স্থাপন করেছিলেন। [[শাহ ইসমাইল দেহলভী|শাহ ইসমাইল দেহলভি]] এবং ৬০০ উপজাতির সাথে তিনি ভোরে শিখদের আক্রমণ করেন। যুদ্ধ টিকবে সারাদিন। শিখ সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত [[সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী|সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভীর]] শিরশ্ছেদ করে এবং তার শত শত অনুসারীকে হত্যা করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Saiyid Ahmad Shahid : his life and mission|শেষাংশ=Mohiuddin.|প্রথমাংশ=Ahmad,|তারিখ=1980|প্রকাশক=Academy of Islamic Research and Publications|পাতাসমূহ=২৭|oclc=611066777}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=7_nPfLOj6MUC&pg=PA54|শিরোনাম=Historical Dictionary of Islam|শেষাংশ=Adamec|প্রথমাংশ=Ludwig W.|তারিখ=2009-05-11|প্রকাশক=Scarecrow Press|পাতাসমূহ=৫৪|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-8108-6303-3}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=y7VVWhi9jGIC&pg=PA58|শিরোনাম=Partisans of Allah: Jihad in South Asia|শেষাংশ=Jalal|প্রথমাংশ=Ayesha|তারিখ=2009-06-30|প্রকাশক=Harvard University Press|পাতাসমূহ=৫৮|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-674-03907-0}}</ref>{{infobox military conflict
{{infobox military conflict
|conflict =বালাকোট যুদ্ধ
|partof = [[আফগান-শিখ যুদ্ধ]]
৩৩ নং লাইন:
|campaignbox =
}}
 
১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের মাধ্যমে ইংরেজ বণিকরা এ অঞ্চলে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজদণ্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের উপর এক জোরজবরদস্তি মূলক আধিপত্যবাদী শাসন কায়েম করে। একদিকে এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, অন্যদিকে স্বয়ং মুসলিম সমাজের ইসলামী জীবনাচরণে দীর্ঘকাল যাবৎ বিপুল অনৈসলামিক আক্বীদা-বিশ্বাসের শক্ত অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই এ অঞ্চলে এক সর্বব্যাপী সংস্কারমূলক বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছিল। সেই অনাগত বিপ্লবের হাতছানিই যেন ঊনবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে সাইয়েদ আহমাদ শহীদের ‘তরীকায়ে মুহাম্মাদিয়া’ আন্দোলনের হাত ধরে উপমহাদেশের শিরক-বিদ‘আতী জঞ্জালের অন্ধকার গহ্বরে তাওহীদী নবপ্রভাতের সূচনা ঘটায়। এই আন্দোলনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ঘটে যায় '''বালাকোট যুদ্ধ''' । ১৮৩১ সালের ৬ মে সংঘটিত ঐতিহাসিক এই বালাকোট যুদ্ধ একদিকে যেমন ছিল এই সংস্কারবাদী আন্দোলনের জন্য চরম বিপর্যয়ের, অপরদিকে বিদেশী বেনিয়াদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য উপমহাদেশের বুকে পরিচালিত সর্বপ্রথম সুসংঘবদ্ধ রণডঙ্কা।<ref name="ref2">{{বই উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.icsbook.info/1987/shibir | শিরোনাম=চেতনার বালাকোট | লেখক=শেখ জেবুল আমীন দুলাল | অবস্থান=ঢাকা | সংগ্রহের-তারিখ=৫ মে ২০১৫ | আর্কাইভের-তারিখ=১৭ এপ্রিল ২০১৫ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150417032633/http://www.icsbook.info/1987/shibir | ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref><ref name="ref1">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://archive.is/cOyoK | শিরোনাম=বালাকোটের বিপর্যয় ও কারণ | লেখক=ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিক | সাময়িকী=[[দৈনিক নয়া দিগন্ত]] | বছর=2014}}</ref>
 
== বালাকোট পরিচিতি ==
৪৩ ⟶ ৪১ নং লাইন:
[[সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী|সাইয়েদ আহমাদ শহীদ]] জন্মগ্রহণ করেন ২৯ই নভেম্বর ১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের অযোধ্যা জেলায় একটি সুপ্রসিদ্ধ বংশে। তার বংশতালিকা চতুর্থ খলীফা আলী -এর সাথে মিলিত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে পরিচালিত স্বাধীনতা সঙগ্রামের প্রথম সংঘবদ্ধ প্রয়াস ছিল ‘জিহাদ আন্দোলন’। যা সম্ভব হয়েছিল সৈয়দ আহমাদ ব্রেলভীর মত একজন দৃঢ়চিত্ত বিপ্লবী পুরুষ এবং তার নেতৃত্বাধীন একদল কর্মী বাহিনীর মাধ্যমে। এজন্য ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তার নামটি প্রাতঃস্বরণীয় হয়ে আছে।
 
== বালাকোট যুদ্ধের পটভূমি ও ইতিহাস ==
১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের মাধ্যমে ইংরেজ বণিকরা এ অঞ্চলে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজদণ্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং স্থানীয় অধিবাসীদের উপর এক জোরজবরদস্তি মূলক আধিপত্যবাদী শাসন কায়েম করে। একদিকে এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, অন্যদিকে স্বয়ং মুসলিম সমাজের ইসলামী জীবনাচরণে দীর্ঘকাল যাবৎ বিপুল অনৈসলামিক আক্বীদা-বিশ্বাসের শক্ত অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই এ অঞ্চলে এক সর্বব্যাপী সংস্কারমূলক বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছিল। সেই অনাগত বিপ্লবের হাতছানিই যেন ঊনবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে সাইয়েদ আহমাদ শহীদের ‘তরীকায়ে মুহাম্মাদিয়া’ আন্দোলনের হাত ধরে উপমহাদেশের শিরক-বিদ‘আতী জঞ্জালের অন্ধকার গহ্বরে তাওহীদী নবপ্রভাতের সূচনা ঘটায়।<ref>{{বাংলাপিডিয়া উদ্ধৃতি|অধ্যায়=তরিকাহ-ই-মুহম্মদিয়া|লেখক=মঞ্জুর আহসান}}</ref> এই আন্দোলনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ঘটে যায় '''বালাকোট যুদ্ধ''' । ১৮৩১ সালের ৬ মে সংঘটিত ঐতিহাসিক এই বালাকোট যুদ্ধ একদিকে যেমন ছিল এই সংস্কারবাদী আন্দোলনের জন্য চরম বিপর্যয়ের, অপরদিকে বিদেশী বেনিয়াদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য উপমহাদেশের বুকে পরিচালিত সর্বপ্রথম সুসংঘবদ্ধ রণডঙ্কা।<ref name="ref2">{{বই উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.icsbook.info/1987/shibir | শিরোনাম=চেতনার বালাকোট | লেখক=শেখ জেবুল আমীন দুলাল | অবস্থান=ঢাকা | সংগ্রহের-তারিখ=৫ মে ২০১৫ | আর্কাইভের-তারিখ=১৭ এপ্রিল ২০১৫ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150417032633/http://www.icsbook.info/1987/shibir |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ এপ্রিল ২০১৫|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=৫ মে ২০১৫}}</ref><ref name="ref1">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://archive.is/cOyoK | শিরোনাম=বালাকোটের বিপর্যয় ও কারণ | লেখক=ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিক | বছর=2014|সাময়িকী=[[দৈনিক নয়া দিগন্ত]] | বছর=2014}}</ref>
 
তৎকালীন পেশোয়ারের সুলতান মুহাম্মাদ খাতেনের ষড়যন্ত্রে ইসলামী হুকুমতের ক্বাযী, তহসিলদারসহ বহু কর্মচারীর গণহত্যার ঘটনায় সাইয়েদ আহমাদ অত্যন্ত মর্মাহত হন এবং তিনি দ্বিতীয় দফা হিজরত করার মানসে কাশ্মীর অভিমুখে যাত্রা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। [[সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী|সাইয়েদ আহমাদ শহীদ]] যে পাঞ্জতার নামক স্থানে অবস্থানরত মুজাহিদ গোত্র ত্যাগ করেন এবং হাযারা জেলার উচ্চভূমির দিকে গমন করেন, তার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হয়ে সেখানে কেন্দ্র স্থাপন করে উপমহাদেশকে অমুসলিম ও বিদেশীদের দখল হতে মুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হবার প্রস্তুতি গ্রহণে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান ছিল এই বালাকোট, সেকারণ এখানেই সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। অবশ্য প্রথম দিকে প্রধান সামরিক ঘাঁটি রাওয়ালপিণ্ডিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। [[সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী|সাইয়েদ আহমাদ শহীদ]] তার দীর্ঘ চার বছরের পাঞ্জতার ঘাঁটি ছেড়ে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময়টি ছিল ডিসেম্বরের বরফঢাকা শীতকাল। সাইয়্যিদ আহমাদ কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে যে এলাকাটি ত্যাগ করেছিলেন শিখরা শীঘ্রই সে এলাকাটি দখল করে তথাকার জনগণের ওপর নির্যাতন করল। এ সময় কাশ্মীর গমনের পথে বিভিন্ন এলাকার খান ও সামন্তগণ যেমন- মুজাফ্ফরাবাদের শাসনকর্তা যবরদস্ত খান, খুড়া অঞ্চলের সামন্ত নাজা খান, দেরাবা অঞ্চলের সামন্ত মানসুর খান ও গাঢ়ী অঞ্চলের সামন্ত হাবীবুল¬াহ খান প্রমুখ সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভীর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলেন। সাইয়েদ আহমাদ এই আবেদনে সাড়া দিয়ে যবরদস্ত খানের সাহায্যার্থে মৌলবী খায়রুদ্দীন শেরকুটীর নেতৃত্বে একদল মুহাজিদ মুযাফ্ফরবাদে প্রেরণ করলেন। এদিকে শিখ সেনাপতি রনজিৎ সিংহ-এর পুত্র শেরসিংহ বিরাট বাহিনী নিয়ে নখলী নামক স্থানে পৌঁছে যায়। ফলে সাইয়েদ আহমাদ উক্ত বাহিনী কোন দিকে অগ্রসর হয় তার গতিপথ নির্ণয় করে পরবর্তী করণীয় স্থির করাকে সমীচীন মনে করলেন। এ সময় তিনি মূল গন্তব্য কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হওয়ার নিমিত্তে শের সিং-এর বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত না হয়ে এগিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তা তিনি করেননি। কারণ হাযারাবেলাতে অবস্থানকারী সাইয়েদ আহমাদ-এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সম্পৃক্ত খানদের শিখ সেনারা অত্যাচারের শিকার বানাত। তাই তিনি তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত হাযারাতেই থেকে গেলেন। পরে যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, শের সিংহ ভূগাড়মুঙ্গ গিরিপথ আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে, তখন তিনি নিজে রাজদারওয়ান নামক স্থান হতে সারচুল নামক স্থানে পৌঁছান এবং শাহ ইসমাঈল শহীদকে বালাকোট পাঠিয়ে দিলেন। তারপর যখন তিনি জানলেন যে, শের সিং বালাকোট আক্রমণ করতে পারে তখন তিনি ভুগাড়মুঙ্গের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নিজেই বালাকোটে চলে গেলেন। আর সেই সময় শের সিং-এর বাহিনী কুনহার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত সোহাল নাজাফ খান গ্রামের সম্মুখে ময়দান নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে।
 
৭০ নং লাইন:
 
== প্রামাণ্য গ্রন্থপঞ্জী ==
* আবুল হাসান নাদভী, ''সীরাতে সাইয়েদ আহমাদ শহীদ।শহীদ''।
* ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, ''আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ'' (পিএইচ.ডি. থিথিস)।
* ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ।
* আই, এইচ কুরেশী, ''উপমহাদেশের রাজনীতিতে আলেম সমাজ''; (ঢাকা, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ : ২০০৫)।
* মুহাম্মাদ মিঞা, ওলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাযী।
* ড. মুহিব্বুল্ল্যাহ সিদ্দীকী, প্রবন্ধ : ''বালাকোটের মর্মান্তিক শিক্ষা'' : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন পত্রিকা, এপ্রিল-জুন ২০০৭, পৃ: ৩৩।
*[http://www.icsbook.info/1987/shibir চেতনার বালাকোট - শেখ জেবুল আমীন দুলাল] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20150417032633/http://www.icsbook.info/1987/shibir |date=১৭ এপ্রিল ২০১৫ }}
 
৮৪ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:ইতিহাস]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন]]