আলবার্ট আইনস্টাইন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tip-bd (আলোচনা | অবদান)
→‎আইনস্টাইনের বিখ্যাত কিছু উক্তি: বৈচিত্র্যময় পৃথিবীর বিচিত্র মানুষ: আইনস্টাইন, অনুবাদ, বিষয়শ্রেণী, বানান সংশোধন, ট্যাগ যোগ/
৩৮৭ নং লাইন:
 
== আইনস্টাইনের বিখ্যাত কিছু উক্তি ==
* [[১৯৫২|১৯৫২ সালে]] আইনস্টাইনকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আহ্বান জানানো হলে, তিনি বলেন, {{উক্তি|আমি মনে করি রাজনীতির চেয়ে সমীকরণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, রাজনীতি লেখা হয় বর্তমানের খসড়া খাতায় আর সমীকরণ লেখা থাকে মহাকালের অজর গ্রন্থে।|}}ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষে সদ্য মুক্ত হওয়া স্বাধীন ইসরায়েল এর প্রথম রাষ্ট্রপতি, ডেভিড বেন গুরিয়ন, আলবার্ট আইনস্টাইন’কে বিজ্ঞান চর্চার অবাধ সুবিধাসহ রাষ্ট্রপতি হবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন! আইনস্টাইন বিনয়ের সাথে অসম্মতি যাপন করে বলেছিলেন; ‘রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই’ সবিনয়েই তিনি জানান; ‘বার্ধক্য ও অনভিজ্ঞতা এবং অপর্যাপ্ত দক্ষতা ইসরায়েলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে কাঁটা হবে দাঁড়াবে উন্নয়নের’ পাশাপাশি; রাজনীতির থেকে সমীকরণেই যে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাও জানান আইনস্টাইন! তবে রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরেও ইজরায়েলীদের, এতটুকু শ্রদ্ধা কমেনি তাঁর প্রতি বরং, এই মহানুভবতায় বেড়েছিল তাঁর জনপ্রিয়তা-
 
আরো নানাবিধ কারণে, বোধহয় ৬৬ বছর পরও দৈনন্দিন জীবনে অতি মেধাবী ও প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে প্রায়শই ‘আইনস্টাইন’ বলে সম্বোধন করা হয়। বৈচিত্র্যময় পৃথিবী বিচিত্র মানুষ আইনস্টাইনের জীবনের চমৎকার অংশের চুম্বক অংশও, বিশাল বিস্তৃত! তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষণে বৈচিত্র্যময় পারদ উঠানামায় ভরপুর! তাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু সাগর সম, শিশুকাল হতে আইনস্টাইন নিয়ে কৌতুহল সীমাহীন কিন্তু সারাজীবনেও তার কীর্তি পড়ে শেষ করতে পারিনি! তাই তাঁর জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তেমন কিছুই বুঝি না। তাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের হাতি দেখার মত বা বক পাখি বা দুধের রঙ বোঝানোর কল্প গল্পের মতোই হবে তাঁর বৈজ্ঞানিক আলোচনা! তাই সে দিকে না যায়! তবে ব্যতিক্রমধমী মানুষটির সামাজিক কর্মকাণ্ড, সমাজকর্মী হিসেবে আগ্রহ অসীম! মহা সাগর হতে যতোটুকু জল তুলতে পেরেছি, তার কিঞ্চিৎ অংশ উপস্থাপনের চেষ্টা মাত্র;
 
নানা বিস্ময়কর ঘটনার পটুশি, আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মান সাম্রাজ্যে ১৪ মার্চ ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন। আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক ভাবে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখেন। তাঁর বাবা মা এ ব্যাপারে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন, এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, 'এই স্যুপটা বড্ড গরম’! 'তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলো নি কেন?’ উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে তো সব ঠিকই ছিল। স্যুপ কখনো গরম ছিল না’
 
১২ বছর বয়সে আইনস্টাইন হঠাৎ বেশ ধার্মিক হয়ে উঠেছিলেন। স্রষ্টার গুণকীর্তণ করে বিভিন্ন গান ও পঙক্তি আয়ত্ত করেছিলেন স্কুলে কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়ার পর থেকে তার ধর্মীয় চেতনা কমে যেতে থাকে। কারণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সাথে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধ লেগে যাচ্ছিলো। আর বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো ছিল নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত, এহেন অবস্থায় তৎকালীন ইহুদি নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায়তনের কর্তৃপক্ষ তার উপর বিশেষ সন্তুষ্ট ছিল না। মায়ের আগ্রহে মাত্র ছয় বছর বয়সে আইনস্টাইন বেহালা হাতে নেন। বেহালা বাজানো খুব একটা পছন্দ করেন নি তিনি, তাই তখন তা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি মোৎসার্টের বেহালার সুরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি এ সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিজে নিজে তৈরি করে অন্যদের দেখাতেন। এ সময় থেকেই গণিতের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ও মেধার পরিচয় পাওয়া যায়।
 
তার পিতা একটি তড়িৎরাসায়নিক কারখানা পরিচালনা করতেন। আইনস্টাইনের বয়স যখন ১৫ তখন তার বাবা প্রতিনিয়ত ব্যবসায় ক্ষতির শিকার হতে থাকেন। ১৮৯৪ সালে হেরমান এবং জ্যাকবের কোম্পানি মিউনিখ শহরে বৈদ্যুতিক আলো সরবরাহের একটি চুক্তি হেরে যায় কারণ তাদের সরঞ্জামগুলিকে একমুখী বিদ্যুতের (ডিসি) মানদণ্ড থেকে আরও দক্ষ পরিবর্তী বিদ্যুতের (এসি) মানদণ্ডে রূপান্তর করার জন্য তাদের কাছে যথেষ্ট মূলধন ছিল না। এই ক্ষতির কারণে তারা মিউনিখের কারখানা বিক্রি করতে বাধ্য হন।
 
অগত্যা হেরমান সপরিবারে ইতালির মিলানে পাড়ি জমান। সেখানে এক আত্মীয়ের সাথে কাজ শুরু করেন। মিলানের পর কয়েক মাস তারা পাভিয়া’তে থাকেন। তার বাবা পড়াশোনার জন্য তাকে মিউনিখে একটি বোর্ডিং হাউজে রেখে গিয়েছিলেন। তার বাবা চেয়েছিলেন ছেলে তড়িৎ প্রকৌশলী হবে, কিন্তু তিনি বিশুদ্ধ জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। সে সময়েই আইনস্টাইন জীবনের প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র লিখেন যার নাম ‘চৌম্বক ক্ষেত্রে ইথারের অবস্থা সংক্রান্ত অনুসন্ধান’ (The Investigation of the State of Aether in Magnetic Fields).
 
পরবর্তীতে, আইনস্টাইন ১৮৯৫ সালে সুইজারল্যান্ডে চলে আসেন এবং পরের বছর জার্মান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতে বিশেষায়িত হওয়ায় ১৯০০ সালে জ্যুরিখের ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুল থেকে একাডেমিক শিক্ষা ডিপ্লোমা অর্জন করেন। পরের বছর তিনি সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন, যা তিনি আর ত্যাগ করেননি। প্রাথমিক পর্যায়ে কাজের জন্য সংগ্রাম করতে হলেও ১৯০২ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত বার্নের সুইজারল্যান্ডীয় পেটেন্ট অফিসে পেটেন্ট পরীক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
 
আইনস্টাইনের এক সহকর্মী, একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। আইনস্টাইন তখন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নিজের নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন?’
 
তিনি তখনও পড়াশোনা ও কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। স্নাতক হবার পর আইনস্টাইন শিক্ষকতার কোন চাকরি খুঁজে পাননি। চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে তাকে কোথাও নিয়োগ দেওয়া হয়নি! অনেক সময়; লবণ-চিনি পার্থক্য করা দুরূহ হয়! তেমনি মানুষ চেনা বড় দায়! তবে স্বাদ গ্রহণে লবণ-চিনি ও বিপদ-আপদে মানুষ চেনা যায়! দুই বছর ঘোরাঘুরির পর তার প্রাক্তন এক সহপাঠীর বাবা তাকে বার্নে ফেডারেল অফিস ফর ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি নামক একটি পেটেন্ট অফিসে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। তার চাকরি ছিল সহকারী পরীক্ষকের। ১৯০৬ সালে পেটেন্ট অফিস আইনস্টাইনকে টেকনিক্যাল পরীক্ষকের পদে উন্নীত করে ১৯০৮ সালে বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর, তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িচ্চুম্বকত্ব এবং আপেক্ষিকতা নীতির উপর একটি বক্তৃতা দেওয়ার পরে আলফ্রেড ক্লাইনার তাকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে সদ্য নির্মিত প্রোফেসর পদের জন্য অনুষদে সুপারিশ করেছিলেন। আইনস্টাইন ১৯০৯ সালে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
 
একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কী করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম!’
 
১৯৩০ সালে আমেরিকার উদ্দেশে বার্লিন ত্যাগ করেন আইনস্টাইন। বার্লিন রেলস্টেশনে পৌঁছেই স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। যা হোক, একসময় খুঁজে পেলেন তাঁকে। তারপরই টিকিট জোড়া হারিয়ে বসলেন। শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল তাও, আর এভাবেই শুরু হলো তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা যাত্রা।
 
আর একবার আইনস্টাইন আমেরিকায় গিয়েছেন, সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরল। একজন জিজ্ঞাসা করলো, আজকাল মেয়েরা কেন আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে এত আলোচনা করছে? আইনস্টাইন হাসতে হাসতে বললেন, ‘মেয়েরা সব সময়ই নতুন কিছু পছন্দ করে। এই বছরের নতুন জিনিস হলো আপেক্ষিক তত্ত্ব’
 
আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের পর তিনি যখন বিতর্কিত, সত্যি কথা বলতে কি; বিজ্ঞানী-অবিজ্ঞানী কারোর মগজের অ্যান্টেনাই ব্যাপারটা 'ক্যাচ' করতে পারছিল না। উনিশ শতকের প্রথম ভাগে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আইনস্টাইনের উদ্ভাবিত 'থিওরি অফ রিলেটিভিটি' এই তত্ত্বটি বোঝাতে তাঁকে তখন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ছুটতে হত। তিঁনি বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উদ্ভাবিত তত্ত্বটি বোঝাতে লেকচার দিতে যেতেন। প্রায় সব সেমিনারে তিনি একই ধরনের আলোচনা করতেন। একবার এমনই এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত হয়েছেন, লেকচার দেবার জন্য, তখনো বিখ্যাত হয়ে ওঠেন নাই, তাই উনাকে তেমন কেউ চিনতেন না! পথিমধ্যে তাঁর ড্রাইভার করে বসে, এক আজব আবদার ‘স্যার, আপনার লেকচারগুলো শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। আজ একদিনের জন্য আমি আইনস্টাইন সেজে সেমিনারে বক্তব্য দিতে চাই’ মজার মানুষ আইনস্টাইনেরও কথাটা খুব মনে ধরল, তিনি এক কথায় রাজি! দেখাই যাক না, ব্যাপারটা কী হয়!
 
ড্রাইভার আইনস্টাইন সেজে অনুষ্ঠানে গেল বক্তব্য দিতে আর স্বয়ং আইনস্টাইন দর্শক সারিতে বসে রইলেন আইনস্টাইনেরই ড্রাইভার হয়ে! তখন মিডিয়ার এত দৌরাত্ম ছিল না। তাই ব্যপারটা কেউ বুঝতে পারল না। আইনস্টাইনরুপী ড্রাইভার মঞ্চে চমৎকার বক্তব্য রাখল। দর্শক সারিতে বসে মুগ্ধ আইনস্টাইন বার বার হাত তালি দিতে লাগলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত একজন আইনস্টাইনের ড্রাইভারের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনার বক্তব্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে কিন্তু কি জানেন, আমি এই অমুক বিষয়গুলো একদম বুঝতে পারিনি। আপনি কি অনুগ্রহ করে আমাকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেবেন?’ আইনস্টাইনের ড্রাইভার বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিল, 'ওহ! এই ব্যাপার? এই সহজ ব্যাপারটা তো আমার ড্রাইভারই বুঝিয়ে দিতে পারবে। চলুন তার কাছেই যাই'
 
১৯৩৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকাকালীন সময়ে এডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় আসে। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আমেরিকাতেই তিঁনি থিতু হোন এবং ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি জার্মান পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচী সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং আমেরিকাকেও একই ধরনের গবেষণা শুরুর তাগিদ দেন। তাঁর এই চিঠির মাধ্যমেই ম্যানহাটন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়।
 
আইনস্টাইন মিত্রবাহিনীকে সমর্থন করলেও পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। তখন তিনি সুইজারল্যান্ডের নাগরিক। যে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের শেষ জীবন কাটিয়েছেন আইনস্টাইন, সেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন! তিঁনি ১৯৩১ সালে আমেরিকা সফরে গিয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি হিংসার বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন আইনস্টাইন। মিথ্যা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ‘স্কটসবোরো বয়েজ’-এর পক্ষেও কথা বলেছিলেন। ওই একই বছরে অক্সফোর্ডে আয়োজিত একটি সেমিনারে ফ্যাসিবাদে মুণ্ডপাত করেন। তখন সদ্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে হিটলারের জার্মানি বাড়ছে ইহুদিদের হিংসার মাত্রা।
 
শুধু এখানেই শেষ নয়। ১৯৩২ সালে জেনেভা সম্মেলনে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরস্তকরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। আর আন্তর্জাতিক সেই সম্মেলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং তহবিল গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন আইনস্টাইন। এমনকি বিশ্বযুদ্ধের পর নিজের সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তিও দান করে যান জেরুসালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইহুদি বিদ্বেষের জন্য যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও জন্মভূমি জার্মানিতে ফেরেননি তিনি। পরে ব্রিটিশ দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেল সঙ্গে মিলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার রচনা করেন। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর এডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের, এক পার্টিতে আইনস্টাইনকে চিনতে না পেরে এক তরুণী প্রশ্ন করলেন, আপনি কী করেন? আইনস্টাইন উত্তর দিলেন, আমি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। তরুণী অবাক হয়ে বললেন, আপনি এখনও ছাত্র! আর আমি গত বছর পাশ করেছি!
 
অনেকের কাছে অংকের সমার্থক শব্দ হলো, আতঙ্ক! একবার ১৫ বছর বয়সী এক তরুণী আইনস্টাইনের কাছে সাহায্য চাইল। গণিত বিষয়ে তার বাড়ির কাজ বা হোম ওয়ার্ক সে সঠিকভাবে করতে পারছিল না! আইনস্টাইন ওই তরুণীকে বলেছিলেন, ‘গণিতের সমস্যা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করো না। তোমার কাছে গণিত যতটা কঠিন, আমার কাছে গণিত তার চেয়েও কঠিন।’
 
গুজব আছে; সুন্দরী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো আইনস্টাইনের প্রতি দুর্বল ছিলেন! তাই একদিন মনরো আইনস্টাইনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ‘চলুন না, আমরা বিয়ে করে ফেলি? তাহলে আমাদের সন্তানেরা হবে সৌন্দর্য ও জ্ঞানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। ওরা দেখতে হবে আমার মত আর বুদ্ধিতে আপনার মত’আইনস্টাইন তৎক্ষণাৎ বললেন, ‘আর যদি উল্টোটা হয়? দেখতে যদি হয় আমার মত আর বুদ্ধিতে আপনার মত?’
 
শিক্ষা জীবন শেষ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানে মেধাবী সহপাঠী মিলাভাকে সাথে। আইনস্টাইন এবং মিলেভার বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায় ও মিলেভাকেই তিনি পরবর্তীকালে বিয়ে করেন। তাদের সম্পর্কটি শুধুমাত্র আবেগকেন্দ্রিক ছিলনা, তাতে যথেষ্ট পরিমাণ বুদ্ধিবৃত্তিক অংশীদারত্বের উপাদান মিশে ছিল। তাই পরবর্তীকালে তিনি মিলেভা সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘মিলেভা এমন এক সৃষ্টি যে আমার সমান এবং আমার মতই শক্তিশালী ও স্বাধীন’ তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়। তাদের দুই সন্তানদের ডাক নাম রেখেছিলেন 'পজেটিভ' 'নেগেটিভ' বিপরীত কণা একে অপরের আকর্ষণ করে একসাথে থাকে বিধায়, এই চিন্তা করেছিলেন দুই পদার্থবিজ্ঞানী!
 
একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই। ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোনো কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন।
 
একদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রিন্সটনের ডিরেকটরের বাড়িতে ফোন এলো, 'দয়া করে যদি আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বরটা জানান!' ‘আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বর কাউকে জানানো হবে না’ কঠিন গলায় তা জানিয়ে ফোনটা নামিয়ে রাখলেন ডিরেকটর। খানিক পরে আবার ফোন বেজে উঠল। ওপাশ থেকে শোনা গেল, 'আমি আইনস্টাইন বলছি, বাড়ির নম্বর আর রাস্তা দুটোই ভুলে গিয়েছি। যদি দয়া করে বলে দেন'
 
মিলেভার সাথে সতের বছরের সংসার জীবন ভেঙ্গে যায়। খুবই সাধারণ মেয়ে চাচাতো বোন এলসা এর সাথে আইনস্টাইন সংসার জীবন শুরু করেন। ১৯১২ সাল থেকে লম্বা সম্পর্কের পর ১৯১৯ সালে আইনস্টাইন এলসা লভেন্থালকে বিয়ে করেন। তিনি জন্মের দিক থেকে আইনস্টাইনের প্রথম এবং পৈতৃকভাবেভাবে দ্বিতীয় চাচাতো বোন ছিলেন। এলসা মনে করতেন; ‘জেনারেল রিলেটিভিটি’ কোন জার্মান অফিসার পদ হবে! তাঁর স্ত্রীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘স্বামী সম্পর্কে কেমন ধারণা ,আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব কি আপনি বুঝতে পারেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘না, কিন্তু আমার স্বামীকে বুঝি। আমি জানি, তাঁকে বিশ্বাস করা যায়!’
 
আইনস্টাইন ভাবলেন, এলাসকে ‘থেওরি অফ রিলেটিভিটি’ বোঝাবেন। মর্মকথা অনেকটা এমন সুখের অনুভূতি ক্ষণিকের মনে হয় কিন্তু কষ্ট দুঃখের অল্প অনুভূতি অনেক মনে হয়। আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার আরো সহজ ব্যাখ্যায় বললেন, ‘যদি সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকি, মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, তোমার হাত একটা জ্বলন্ত চুলার উপর ধরে রাখো, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে! এটাই আপেক্ষিকতা’ আইনস্টাইন, এলাসকে বাস্তব উদাহরন দিতে রান্নাঘরে নিয়ে গেলেন! বুদ্ধিমতী এলাস শুরুতেই বললেন ‘তুমি আগে হাত দাও’
 
অন্য সব স্ত্রীদের মত কাজে যাওয়ার আগে আইনস্টাইনকে প্রায়ই ভালো পোশাক পরে যাওয়ার অনুরোধ করতেন তাঁর স্ত্রী। বেশির ভাগ সময়ই তিনি জবাব দিতেন, ‘আমি কেন এটা করব? সেখানে সবাই আমাকে চেনে।’ তারপর আইনস্টাইনের প্রথম বড় ধরনের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় যখন ঘনিয়ে এল, তখন আবার তাঁকে একটু ভালো কাপড়চোপড় পরে সেখানে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন তাঁর স্ত্রী। এবার তিনি জবাব দিলেন, ‘কেন আমি এটা করব? এলসা বলেছিলেন; ‘কারন সেখানে কেউই তোমাকে চেনে না!’ এলসা লভেন্থালকে ১৯৩৩ সালে এলসার হার্ট ও কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে এবং ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি মারা যান।
 
একবার বেলজিয়ামের রাণী আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁর দেশ সফরের জন্য, নির্দিষ্ট দিনে আইনস্টাইনকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবার জন্য রেলস্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর কিন্তু কোথায় কী? রেল স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। ফিরে চলল গাড়ির বহর রাজপ্রাসাদের দিকে। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। রাণী ব্যাপারটাতে লজ্জিত হলেন। সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থণা করে জানালেন যে, বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসার জন্য গাড়ি বহর রেলস্টেশনে গিয়েছিল কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন, 'আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি, আর পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি, যদি আপনার ঐ রাজকীয় গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখে নিতে পারতাম?’
 
ভবিষ্যতে কী আছে? আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে একবার জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কখনোই চিন্তা করি না। কারণ, এটা এমনিতেও তাড়াতাড়িই আসে-
 
আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উনি উনার মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাবে আমার কলমটা রেখে আসছি। মেয়ে অনেক বারন করা সত্ত্বেও উনি গেলেন। ৩০ মিনিটের কথা বলে যাওয়ার পর উনি যখন সেই সময়ের মধ্যে ফিরলেন না, তখন বিলম্ব না করে সবাই মিলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। ৭ দিন পর উনার মেয়ে যখন বাসায় এসে মাকে জিজ্ঞাস করলো ‘বাবা কোথায়’ তখন তার মা বলল ‘ওই যে গেল, এরপর আর আসে নি’
 
আইনস্টাইনের মেয়ে ল্যাবে তার বাবাকে খুঁজতে গিয়ে দেখ, তার বাবা একটা কলম নিয়ে বোর্ডের সামনে দাড়িয়ে কী জানি চিন্তা করছেন। মেয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, সে কী করছে! আইনস্টাইন অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে বললেন, 'মা তুমি চার্চে যাও, আমি এই কাজটা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে আসছি'
 
আলবার্ট আইনস্টাইনের কথিত গড লেটার লেখেছিলেন ১৯৫৪ সালে! আশা করা হচ্ছিলো যে নিউইয়র্কে নিলামে এটি হয়তো দেড় মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে পারে! নোবেল বিজয়ী এই বিজ্ঞানী ৭৪ বছর বয়সে তখন দেড় পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন জার্মান দার্শনিক এরিক গুটকাইন্ডের কাছে তার একটি কাজের জবাব হিসেবে কিন্তু এটাকেই এখন দেখা হচ্ছে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যকার বিতর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি হিসেবে। কারণ, আইনস্টাইনের মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে লেখা এই চিঠির মধ্যেই ছিলো ধর্ম ও দর্শন নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি। আর সে কারণেই নিলামে এটি আসলে বিক্রি হয়েছে প্রত্যাশার দ্বিগুণ দামে। এই চিঠিতে মাতৃভাষা জার্মান ভাষাতেই তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
 
আইনস্টাইন ৩০০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং ১৫০টির বেশি বিজ্ঞান-বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে ‘শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি ভোটের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সকলেই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এমন কত শত চমকপ্রদ ঘটনা আছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। আগামীতে কোনদিন সুযোগ পেলে বিস্তারিত লিখব!
 
আইনস্টাইন ১৮ এপ্রিল ১৯৫৫ উসকোখুসকো চুলে শয্যায় শুয়ে আছেন। চোখে মুখে মৃত্যুর ছাপ। নিউ জার্সির প্রিন্সটন হাসপাতালের কামরায় তখন উপস্থিত ডাক্তার-নার্স। এমন সময় মুখটা নড়ে উঠল ছিয়াত্তর বছর বয়সী আইনস্টাইনের, কিছু যেন বলার চেষ্টা করছেন তিনি কিন্তু কী বলছেন? বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম রহস্যের সামনে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছেন বিজ্ঞানের জগতের মহীরুহ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।
 
আইনস্টাইন বুঝতে পারলেন, মৃত্যু কড়া নাড়ছে, শেষ মুহূর্তে তাঁর মুখটা নড়ে উঠল। কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন। শেষ বক্তব্য? নার্স কানটা এগিয়ে নিয়ে এলেন আইনস্টাইনের মুখের সামনে। খুব আস্তে আস্তে কিছু কথা শোনা যাচ্ছে বটে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি। আইনস্টাইন হয়তো ঘোরের মধ্যে ফিরে গেছেন জন্মভূমি জার্মানির উলম শহরে, সেখানকার স্থানীয় জার্মান ভাষাতেই বলে উঠেছিলেন শেষ শব্দগুলি। আমেরিকান নার্সের কাছে সেই শব্দগুলি সম্পূর্ণ অপরিচিত। কাজেই হারিয়ে গেল সেই শেষ কথা। তারপরেই মারা যান আইনস্টাইন। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি! পরিবেশ-প্রতিবেশ না ধর্মের কথা! বিজ্ঞানের কথা! মানুষের কথা! নাকি পরমাণু বোমা নিয়ে আক্ষেপ! জানা যায়নি! জানা যাবে না কোনদিন…অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে তাঁর আত্মা কিন্তু বেঁচে আছে সারা পৃথিবীর মানুষের হৃদয়ে তার অমূল্য কর্মে। তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমদের ব্যতিক্রম, বৈচিত্র্যময় পৃথিবী বিচিত্র মানুষ…
* আইনস্টাইনকে এক তরুণ সংক্ষেপে আপেক্ষিক তত্ত্বটা কি বুঝিয়ে দিতে বললে তিনি বলেন, {{উক্তি| যখন একজন লোক কোনো সুন্দরীর সঙ্গে এক ঘণ্টা গল্প করে তখন তার মনে হয় সে যেন এক মিনিট বসে আছে। কিন্তু যখন তাকে কোনো গরম উনানের ধারে এক মিনিট দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, তার মনে হয় সে যেন এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে। এই হচ্ছে আপেক্ষিক তত্ত্ব। |}}