অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
বানান সংশোধন; কসমেটিক পরিবর্তন
১৮ নং লাইন:
একটি অঞ্চলের নিজস্ব প্রকৃতি রয়েছে, যা স্থানান্তর করা যায় না। এর প্রথম প্রকৃতিটি হচ্ছে এর প্রাকৃতিক পরিবেশ (ভূগঠন, জলবায়ু, মৃত্তিকা স্তর ইত্যাদি)। এর দ্বিতীয় প্রকৃতিটি হচ্ছে ভৌত উপাদানগুলোর যৌগ, যা অতীতে মানুষ নির্মাণ করেছিলো। তৃতীয় প্রকৃতি হচ্ছে এর সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গ, যা নবাগতদের দ্বারা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব নয়।
 
অঞ্চলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে প্রখ্যাত ভূগোলবিদ ‍পিটার হ্যাগেট (Peter. Haggett: 1975) বলেন, “অঞ্চল হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের এমন একটি এলাকা যার প্রাকৃতিক কিংবা মানব সৃষ্ট বৈশিষ্ট্য চারপাশের অন্যান্য এলাকা থেকে ভিন্ন।” এ প্রসঙ্গে ডেভিট গ্রিগ (David B. Grigg: 1934)-বলেন, “অঞ্চল হলো এমন একটি এলাকা যা অন্য একটি এলাকা থেকে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে স্বতন্ত্র। এ স্বাতন্ত্রতা একক বা একাধিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।” এছাড়া, ইভা জিআর.টেইলর (Eva G.R. Taylor: 1879-1966)-এর মতে, “সমরূপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সামান্য বিস্তৃত ভূপৃষ্ঠের একটি একক এলাকাকে অঞ্চল বলা হয়। অঞ্চলগুলো প্রকৃতিগতভাবে একই ধরনের এবং এগুলোর মধ্যে সামাজিক ঐক্য রয়েছে।” রিবার্ট এস. প্লেট (Ribert S. Platt: 1891-1964)-বলেন, “অঞ্চল হচ্ছে এমন একটি ভৌগোলিক এলাকা, যার নির্ধারিত ভূখণ্ড রয়েছে এবং সে এলাকার অধিবাসীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী অঞ্চলটি গড়ে ওঠেছে।” <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভূগোল চিন্তার বিকাশ|শেষাংশ=দত্ত|প্রথমাংশ=কুন্তলা লাহড়ী|বছর=২০০২|প্রকাশক=ওয়ার্ল্ড প্রেস|অবস্থান=কলকাতা, ভারত|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
== প্রাকৃতিক অঞ্চল ==
'''প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল''' (Natural resource regions) : প্রাকৃতিক সম্পদ প্রায়শ সহজে চিহ্নিতকরণযোগ্য অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল প্রাকৃতিক ভূগোল বা পারিবেশিক ভূগোলের বিষয়বস্তু হতে পারে, কিন্তু এতে মানবীয় ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোলেরও জোড়ালো উপাদান রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি কয়লা অঞ্চল হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক বা ভূরূপতাত্তি¡ক অঞ্চল, কিন্তু এর উন্নয়ন এবং উত্তোলন একে একটি অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চলে পরিণত করতে পারে।
 
== ঐতিহাসিক অঞ্চল ==
'''ঐতিহাসিক অঞ্চল''' (Historical regions) :  ঐতিহাসিক ভূগোলের ক্ষেত্রটিতে কোনো স্থান বা অঞ্চলের সাথে মানুষের ইতিহাস জড়িত থাকায়, অথবা সময়ের সাথে সাথে স্থান ও অঞ্চলগুলো কীভাবে পরিবর্তীত হয় তা সমীক্ষা করার জন্য এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐতিহাসিক ভূগোলবিদ ডি.ডব্লিউ. মেইনিং (D. W. Meinig) তার `The Shaping of America: A Geographical Perspective on 500 Years of History' নামক পুস্তকে অনেকগুলো ঐতিহাসিক অঞ্চলের বর্ণান দিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমেরিকার প্রাথমিক উপনিবেশ স্থাপনের জন্য যেসব ইউরোপীয়রা প্রচেষ্টা করেছিলো, তাদের উৎস অঞ্চল শনাক্তকরণ করতে যেয়ে তিনি উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের আটলান্টিক উপকূলের প্রটেস্টাইন ধর্মালম্বি অধ্যুষিত অঞ্চলকে চিহ্নিত এবং সেগুলোর বর্ণনা করেছেন। এ অঞ্চলগুলোর মধ্যে কতকগুলো উপাঞ্চল রয়েছে, যেমন- ‘ওয়েস্টার্ন চ্যানেল কমিউনিটি’ যার রয়েছে আরও কতিপয় উপ-উপাঞ্চল, যেমন- কর্নওয়েল, ডেভন, সমরসেট, ডরসেট প্রভৃতি।
 
আমেরিকার ঐতিহাসিক অঞ্চল বর্ণনা করতে যেয়ে মেইনিং নিউফাউন্ডল্যান্ড ও নিউ ইংল্যান্ড উপকূলের গ্রান্ড ব্যাঙ্কসহ মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৎস্যচারণের কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি আমেরিকার ইতিহাস বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রচলিত অঞ্চল, যেমন- ‘নিউ ফ্রান্স’, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ’, ‘মিডল কলোনিস’ ইত্যাদি বর্জন করেন। এর পরিবর্তে তিনি লেখেন “পৃথক উপনিবেশ এলাকা”, সম্ভবত এগুলোর নামকরণ কলোনি স্থাপনের পরে করা হয়েছিলো। এসব অঞ্চল অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সীমানার সাথে যুক্ত ছিলো না। মেইনিং তার লেখায় “গ্রেটার নিউ ইংল্যান্ড” এবং এর প্রধান উপাঞ্চল “প্লেমাউথ”, “নিউ হ্যাভেন উপকূল” (লং আইল্যান্ডের অংশসহ), “রোড আইল্যান্ড”, “ম্যাসাচোসেট বে”, “কানেকটিকাট উপত্যকা” ইত্যাদি ঐতিহাসিক অঞ্চল সম্পর্কিত বর্ণনা তুলে ধরেছেন।
 
== পর্যটন অঞ্চল ==
'''পর্যটন অঞ্চল''' (Tourism region) : [[পর্যটন]] অঞ্চল এক ধরনের ভৌগোলিক অঞ্চল। অঞ্চলগুলো সচরাচর সরকারীসরকারি সংস্থা বা পর্যটন ব্যুরো কর্তৃক সাধারণ সাংস্কৃতিক বা পারিবেশিক বৈশিষ্ট্যসম্বলিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে থাকে। এ অঞ্চলগুলো প্রায়শ ভৌগোলিক, ভূতপূর্ব বা বর্তমান প্রশাসনিক অঞ্চল, বা পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় হয় এমনভাবে নামকরণ করা হয়ে থাকে। কখনো কখনো এলাকার গুণগত মানবৃদ্ধির জন্য স্মৃতি জাগানিয়া এবং দর্শনার্থীদের পর্যটনের অভিজ্ঞতা লাভে আগ্রহী করে তুলে এরূপ নাম রাখা হয়। দেশ, রাজ্য, প্রদেশ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক অঞ্চল প্রায়শ পর্যটকদের আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়ে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য ব্যাপক প্রয়াস চালিয়ে থাকে।
 
== প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল ==
'''প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল''' (Natural resource regions) : প্রাকৃতিক সম্পদ প্রায়শ সহজে চিহ্নিতকরণযোগ্য অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল প্রাকৃতিক ভূগোল বা পারিবেশিক ভূগোলের বিষয়বস্তু হতে পারে, কিন্তু এতে মানবীয় ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোলেরও জোড়ালো উপাদান রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি কয়লা অঞ্চল হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক বা ভূরূপতাত্তি¡ক অঞ্চল, কিন্তু এর উন্নয়ন এবং উত্তোলন একে একটি অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চলে পরিণত করতে পারে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চলের উদাহরণ হচ্ছে তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র, বড়বড়ো পুকুরিয়া কয়লা ক্ষেত্র ইত্যাদি।
 
== ধর্মীয় অঞ্চল ==
৪১ নং লাইন:
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ৩২টি রোমান যাজকীয় প্রদেশে বিভক্ত। লুথারিয়ান চার্চ মিসৌরি যাজকসভা ৩৩টি ভৌগোলিক জেলায় বিভক্ত, যেগুলো আবার অনেকগুলো আঞ্চলিক সংঘে উপবিভক্ত।
 
== রাজনৈতিক অঞ্চল ==
মানুষ মাত্রই কোন না কোন রূপ রাজনৈতিক এলাকা বা অঞ্চলে বাস করে।রাজনৈতিক পরিচিতি বা অস্তিত্ব রয়েছে ভূপৃষ্ঠের এমন অংশবিশেষকে রাজনৈতিক অঞ্চল বলে।<br>রাজনৈতিক অঞ্চলের বৈশিষ্টসমূহঃ '''১.অবস্থান, ২.অভিগম্যতা, ৩.আয়তন, ৪.আকৃতি, ৫.সীমানা'''
 
'''রাজনৈতিক অঞ্চল''' (Political regions) : রাজনৈতিক ভূগোলের ক্ষেত্রে অঞ্চলগুলো রাজনৈতিক এককের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, যেমন- সার্বভৌম রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের ক্ষুদ্র এককসমূহ, যেমন- প্রশাসনিক অঞ্চল, প্রদেশসমূহ, অঙ্গরাজ্যসমূহ, জেলা, উপজেলা, শহর, পৌরসভা ইত্যাদি এবং নির্দিষ্ট অঞ্চল নিয়ে গঠিত বহুজাতিক গ্রুপ যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ এশিয়এশীয় জাতিসমূহের সংঘ, ন্যাটো, অনির্ধারিত অঞ্চল, যেমন- তৃতীয় বিশ্ব, পশ্চিম ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ইত্যাদি।
 
== সামরিক ব্যবহার ==
== ভৌগোলিক অঞ্চল ==
 
==সামরিক ব্যবহার==
সামরিক ক্ষেত্রে অঞ্চল হলো [[আর্মি গ্রুপ]] হতে বৃহৎ এবং [[থিয়েটার (যুদ্ধ)|আর্মি থিয়েটার]] হতে ক্ষুদ্রতর সামরিক [[ফরমেশন|ফরমেশনের]] সংক্ষেপ। এই ফরমেশনের পূর্ণ নাম হলো সামরিক অঞ্চল। একটি সামরিক অঞ্চল সাধারণত দুই থেকে পাঁচটি আর্মি গ্রুপ নিয়ে গঠিত। সামরিক অঞ্চলের আয়তন বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত ১ থেকে ৩ মিলিয়ন সৈন্যের সমন্নয়ে এটি গঠিত হয়। দুই বা ততোধিক সামরিক অঞ্চল দ্বারা একটি সামরিক থিয়েটার গঠিত হতে পারে। একটি সামরিক অঞ্চলের অধিনায়কত্ব করেন প্রধানত একজন পূর্ণাঙ্গ [[জেনারেল]] (ইউএস- চার তারা), একজন [[ফিল্ড মার্শাল]] বা [[জেনারেল অফ দ্য আর্মি]] (ইউএস- পাঁচ তারা), [[জেনারেলিসিমো]] (সোভিয়েত ইউনিয়ন) বা [[জেনারেল অফ দ্য আর্মিস]] (ইউএস-ছয় তারা) বা ছয় তারা জেনারেলের সমমর্যাদার একজন জেনারেল অফিসার (যেসকল রাষ্ট্রে এই মর্যাদার জেনারেল আছেন তাদের ক্ষেত্রে)। এই ফরমেশনের বিশাল আয়তনের জন্য এর ব্যবহার দূর্লভ। সামরিক অঞ্চলের কিছু উদাহরণ হলো [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] কালিন ইউরোপের পূর্ব. পশ্চিম ও দক্ষিণ (প্রধানত ইতালি) রনাঙ্গণ। এই ফরমেশনের (দেখুন [[সামরিক সংগঠন]] ও [[এপিপি-৬এ]])সামরিক মানচিত্র প্রতীক হলো ছয়টি "X"।
 
৭৫ ⟶ ৭৩ নং লাইন:
৫. সংস্কৃতি ও
 
৬. ভৌগোলিক অবয়ব (জলবায়ু, উদ্ভিজ্জ, উচ্চতা, ভূপ্রকৃতি ইত্যাদি)।
 
এক বা একাধিক সনাক্তকরণযোগ্য অবয়ব ব্যবহার করে একটি অঞ্চলকে অন্য অঞ্চল থেকে পৃথক করা যায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় ব্যবহার করে সৃষ্ট অঞ্চলগুলোর সীমানা তৈরি করা যায়। কোনো ভৌগোলিক অঞ্চল নির্ধারণের সময় যখন প্রাসঙ্গিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে জনগণের আয় বা ভাষা উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন অঞ্চলটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যও গুরুত্বপূর্ণ চলক হিসেবে বিবেচনা করতে হয়। নদনদী, পর্বতমালা, উপত্যকা এবং হ্রদগুলোর মতো প্রাকৃতিক সীমানা প্রায়শ কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের সীমানা নির্দেশ করে থাকে।
১২০ ⟶ ১১৮ নং লাইন:
'''২. কার্মিক সুসঙ্গতি''' (Functional Coherence) : কার্মিক অঞ্চলে যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, তাদের মধ্যে এক ধরনের সামঞ্জস্য বজায় থাকে। অর্থাৎ কোনো কর্মকাণ্ড অপর কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং সহায়ক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কর্মকাণ্ড একে অপরের পরিপূরক।
 
'''৩. ক্রমোচ্চতা সম্পর্ক''' (Hierarchial relationship) : পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কার্মিক অঞ্চলগুলো সাম্প্রতিক হয় বলে এদের মধ্যে একটি শ্রেণিক্রম (hierarchy) লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ  ক্রম এর আকারের ভিত্তিতে ক্রিয়ামূলক অঞ্চলগুলো ছোটছোটো থেকে বড়বড়ো একটি পর্যায় ক্রমিকধারা সৃষ্টি করে।
 
'''৪. আন্তঃসম্পর্ক''' (Inter-relation) : আন্তঃসম্পর্কযুক্ত (মিথষ্ক্রিয়া) কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ে একটি কার্মিক অঞ্চল গড়ে ওঠে। অর্র্থাৎ কার্মিক অঞ্চলের সীমানা মূলত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কর্মকাণ্ডের এলাকা নিয়ে গঠিত হয়। আবার বিভিন্ন কার্মিক অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক দেখা যায়। অন্যদিকে দেখা যায়, একটি অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গ্রন্থি সৃষ্টি হয় এবং ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হয়।
১৩৬ ⟶ ১৩৪ নং লাইন:
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:অঞ্চল| ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভূগোল]]
[[বিষয়শ্রেণী:আঞ্চলিক ভূগোল]]
[[বিষয়শ্রেণী:অঞ্চল]]