উইকিপিডিয়া:খেলাঘর ৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট: স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করেছে
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
Tip-bd (আলোচনা | অবদান)
কেউ কি নিরাপদ!, বানান সংশোধন, রচনাশৈলী
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
১ নং লাইন:
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->
চোরের মত গায়ে তেল মেখে কার্য সম্পাদন করতে চাই প্রায় সকলে, ধরা পড়লে একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নির্বিঘ্নে পিচ্ছিল কেটে নিরাপদ দূরত্বে আছি ভেবে নির্বিকার তামাশা দেখি অথবা অতি উৎসাহি সাংবাদিক বনে নির্বিচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল করতে ছড়িয়ে দিই। অনেকে আবার সর্ববিষয়ে বিজ্ঞের ন্যায় তা নিয়ে মাতামাতি করে, এটা এখন একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যারা এর সাথে তাল মিলাতে পারছেনা তারা এযুগে অচল মাল ফুটো পয়সা! তাইতো প্রতিনিয়ত তাদের কোনঠাসা হয়ে পিছে বেড়া ঠেকার উপক্রম, তাদের কি করার আছে?
 
আমরা নাকি অনেক সচেতন হয়েছি কিন্তু ঢাকা শহরে অহরহ দেখছি মটর বাইক চালকের পিছে বসা ফেন্সি হেলমেট পরা কোনো রমণী। সামনে ট্যাংকির উপর বসা অবুঝ নিষ্পাপ ফুলের মত শিশু, তার মাথায় নেই কোনো হেলমেট সামনে ধরার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা। দেশের সর্বত্র নির্বিচারে মাতৃবৃক্ষ নিধন চলছে তার বদলে বামন আকৃতির বৃক্ষ শোভা পাচ্ছে সৌখিন্যতার ছোঁয়াই। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বায়ু ও শব্দ দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে; তাইতো ঋতু তার বৈচিত্র্য হারাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত খরা-শীত, বজ্রপাত, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও ভূমিকম্প নিত্যসঙ্গি হয়ে এই সুন্দর ধরণী ক্রমন্বয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। ‘জেনে শুনে বিষ করেছি পান’ গান এখন বাস্তব হয়ে অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে চলেছি অবলীলায়। দেখলাম জীবন বাজি রেখে স্বামীকে বাঁচানোর তাগিদ আয়শার, সে এখন প্রধান আসামির কাঠগড়ায়!
 
সমস্ত শিক্ষার্থীদের উপর ইচ্ছামত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক গবেষণা চলছেই, এই ধারা প্রায়ই সর্বত্র। স্বৈরশাসকের সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজিকে হঠাৎ গুরুত্বহীন করার ফল ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এখন তা বহন করে চলছি.., প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিনিপিগের মত টিকা দেবার কষ্টের স্মৃতি এখনো তাড়া করে ফেরে..। আধুনিক এই যুগে পদ্মা সেতুতে মাথা লাগার গুজবে কত মানুষের মাথা কাটা পড়ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। একজন সিংগেল মাদার তাসলিমা বেগম তার শিশুর জন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির খোঁজ নিতে যেয়ে ছেলে ধরার নামে গণপিটুনিতে মৃত্যুৃ..এই জাতির একজন হিসাবে সৃষ্টিকর্তার সামনে মাথানত করে বলতে ইচ্ছা করে আমার শিরচ্ছেদ করো, নিশ্চয় এই অনুভূতি অনেকের..
 
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উদ্বেগজনক হারে মরছে অসহায় মানুষ। ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে বিত্তবান ও ক্ষমতাশালী অনেকেই অফিস ও বাসা পরিবর্তন করছেন। নিরুপায় হয়ে সাধারণ মানুষ ভাগ্যের উপর জীবন সপে দিচ্ছে ফলশ্রুতিতে সচেতন হবার বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র., এই সব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও বিজ্ঞ ও সমালোচকদের অভাব নেই, তবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা মানুষের বড্ড অভাব এখন সকলে ঘরে বসে বাঘ-সিংহ মারতে অভ্যস্ত। তাই সর্বত্রই শর্টকাটে কিছু প্রাপ্তির লোভে মানুষ উর্ধশ্বাসে দৌঁড়াচ্ছে গায়ে তেল মেখে আর সুযোগ সন্ধানীরা কোমরে তেলের বোতল নিয়ে নীরবে সুবিধা মতো সময়ে অকাতরে তা বিলাচ্ছে। তেল চকচকে মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
 
তাই দেশ এখন ‘তৈল মর্দন’ সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে পরেছে । কাজের মানুষগুলি মাউথ ক্যাডারদের চাপে ক্রমান্বয়ে কোনঠাসা হয়ে পিছে বেড়া ঠেকার উপক্রম। সরকারি কর্মকর্তাদের ‘সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম অপরাধ নয়’ বা ‘স্প্রিডমানি’ গ্রহণে বা অবৈধ বিত্তবানদের কালো টাকা সাদা করতে ঢালাওভাবে যখন বৈধতা দেওয়া হচ্ছে সেখানে সর্ব সাধারণের কি বা করার থাকে ? সততার পরীক্ষা দিতে দিতে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে অনেক সময় প্রাতিষ্ঠানিক কারণে ‘মাঝে মাঝে মনে হয় চুনিলাল হয়ে যায়..’ ।অভিজ্ঞতায় বলে, অবৈধ পথে উর্পাজিত অর্থ অবৈধ পথে চলে যায় আর মাঝে কিছু তথাকথিত শিক্ষিত তেল চকচকে চোরের আর্বিভাব হয়। এখন ‘দুষ্টের পালন সৃষ্টের দমন’ টুর্নামেন্ট চলছে প্রায় সর্বত্র..রথ চলেছে উল্টো পথে জনগণের কি করার আছে?