হরেকৃষ্ণ কোঙার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
স্পেস
২৩ নং লাইন:
==প্রথম জীবন==
হরেকৃষ্ণ কোঙার তার পরিবারের প্রথম সন্তান ছিলেন। তিনি বর্ধমান জেলার কোমড়গড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং অল্প বয়সেই পড়াশোনার জন্য বর্ধমানের মেমারি শহরে চলে আসেন।
 
==রাজনৈতিক জীবন==
১৯৩০ সালেই হরেকৃষ্ণ কোঙার আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন এবং তাঁর জন্য ৬ মাস কারাবন্দীও ছিলেন। ১৯৩২ সালে [[বঙ্গবাসী কলেজে]] পড়াকালীন তিনি বিভিন্ন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। ১৯৩৩ সালেমাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ৬ বছরের জন্য আন্দামানের সেলুলোর জেলে পাঠিয়ে দেয়।<ref name="sansad" /><ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Nirbachito Rochona Sonkolon Harekrishna Konar|প্রকাশক=National Book Agency|বছর=1978|অবস্থান=Kolkata|পাতাসমূহ=7}}</ref>
২৯ ⟶ ৩০ নং লাইন:
 
জেল থেকে মুক্তি পাবার পর তার সাথে কমিউনিস্ট নেতা [[মুজাফফর আহমেদ]]এর সাথে পরিচয় হয়। তখনই তিনি [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]]র সদস্য হন।<ref name="sansad">Sansad Bangla Charitbhidhan, p. 622, {{ISBN|81-85626-65-0}}</ref><ref name=":0" />
 
==ব্রিটিশ ভারতে কর্মকাণ্ড==
হরেকৃষ্ণ কোঙার প্রথমে হাওড়া ও কলকাতায় শ্রমিকদের মধ্যে কাজ শুরু করেন। কিছুমাস পর [[বিনয় চৌধুরী]] তাঁকে বর্ধমান জেলায় নিয়ে আসেন এবং সেখানে তিনি কৃষকদের মাঝে কাজ শুরু করেন। ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সরকার হরেকৃষ্ণ কোঙারের আসানসোল এবং বার্নপুরে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং পরে সমগ্র বর্ধমান জেলায় ঢোকার উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবুও তিনি আত্মগোপন করে বর্ধমান জেলায় কাজ চালিয়ে যান।<ref name=":0" />
 
১৯৪৪ সালে বিনয় কোঙার পুনরায় গ্রেফতার হন। এবং এবারে তার বর্ধমান জেলা ছেড়ে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। দ্বিতীয় ক্যানেল ট্যাক্স আন্দোলন ১৯৪৬-৪৭ এবং অজয় নদ দম আন্দোলন ১৯৪৩-৪৪ এ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
 
==স্বাধীন ভারতে কর্মকাণ্ড==
১৯৪৮ সালে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]] যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন বিনয় কোঙারকে আবার গ্রেফতার করা হয়। ছাড়া পাবার পর তিনি আবার আত্মগোপন করেন এবং ১৯৫২ পর্যন্ত আত্মগোপন করেই কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫৩ এর খাদ্য আন্দোলন এবং ১৯৫৭এর আইন অমান্য আন্দোলনেও বিনয় কোঙারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং দুবারই তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৬২ সালে [[ভারত-চীন যুদ্ধ]] চলাকালীন ভারতীয় সুরক্ষা আইনে বিনয় কোঙারকে আবার গ্রেফতার করা হয় এবং ঐ আইনে তাকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তাঁকে জেলে রাখা হয়।<ref name=":2">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Nirbachito Rochona Sonkolon Harekrishna Konar|প্রকাশক=National Book Agency|বছর=1978|অবস্থান=Kolkata|পাতাসমূহ=8}}</ref>
৩৮ ⟶ ৪১ নং লাইন:
১৯৬৪ সালে মতপার্থক্যের জেরে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]] ভেঙে নতুন দল [[সিপিআই(এম)]] তৈরি হয়। বিনয় কোঙার এই নতুন তৈরি [[সিপিআই(এম)]] দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
১৯৫৭ থেকেই তিনি [[সিপিআই]] পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৪ থেকে আমৃত্যু হরেকৃষ্ণ কোঙার নতুন তৈরি হওয়া [[সিপিআই(এম)]] দলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।<ref name=":2" /><ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2015-08-11|শিরোনাম=Present Stage of Peasant Movement|ইউআরএল=https://www.cpim.org/content/present-stage-peasant-movement|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-31|ওয়েবসাইট=Communist Party of India (Marxist)|ভাষা=en}}</ref>
 
==কৃষক আন্দোলনে ভূমিকা==
স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই হরেকৃষ্ণ কোঙার কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত বিনয় কোঙার [[সর্বভারতীয় কৃষক সভা]]র পশ্চিমবঙ্গ শাখা বাংলা প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ থেকে আমৃত্যু হরেকৃষ্ণ কোঙার সর্বভারতীয় কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।<ref name=":1" /><ref name=":3">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Nirbachito Rochona Sonkolon Harekrishna Konar|প্রকাশক=National Book Agency|বছর=1978|অবস্থান=Kolkata|পাতাসমূহ=9}}</ref><ref name="সুস্নাত">{{cite book |last=দাশ |first1=সুস্নাত |title=অবিভক্ত বাঙলার কৃষক সংগ্রাম: তেভাগা আন্দলোলনের আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিত-পর্যালোচনা-পুনর্বিচার |chapter=সংযোজন ২ |edition=প্রথম প্রকাশ |location=কলকাতা |publisher=নক্ষত্র প্রকাশন |date=জানুয়ারি ২০০২ |page=২৮৯}}</ref>
৪৪ ⟶ ৪৮ নং লাইন:
[[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]]র প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৬০ সালে হরেকৃষ্ণ কোঙার [[ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি]]র পার্টি কংগ্রেসে যোগ দেন। এই বছরেই তিনি কমিউনিস্ট শাসিত দেশ,[[চীন]] যান।
 
কৃষি, বন্য এবং প্ল্যানটেশন ওয়ার্কারদের আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিতে বিনয়হরেকৃষ্ণ কোঙার ১৯৭০ সালে [[সাইপ্রাস]]এর [[নিকোসিয়া]]তে, ১৯৭১ সালে [[ইতালি]]র [[রোম]], ১৯৭২ সালে [[চেকোস্লোভাকিয়া]]র [[প্রাগ]], এবং ১৯৭৩ সালে [[পূর্ব জার্মানি]]র [[বার্লিন]] শহরে যান।<ref name=":3" />
 
==পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কারে ভূমিকা==
পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কারে হরেকৃষ্ণ কোঙারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বর্গদারদের দখলে থাকা বেনামি জমি ভূমিহীন গরিব কৃষকদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হয়। সারাবাংলায় বর্গদারদের দখলে থাকা ১০ লক্ষ একর (৪০০০ বর্গকিমি) কৃষিজমি চিহ্নিত করা হয় এবং তা প্রায় ২৪লক্ষ ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিলি করা হয়।
গোটা প্রক্রিয়া সাফল্যের সাথে সম্পাদন করার ক্ষেত্রে হরেকৃষ্ণ কোঙার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।<ref name=":3" />
 
==নির্বাচন==
হরেকৃষ্ণ কোঙার ১৯৫৭, ১৯৬২, ১৯৬৭, ১৯৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমানের [[কালনা বিধানসভা]] কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
 
==মৃত্যু==
১৯৭৪ সালের ২৩শে জুলাই হরেকৃষ্ণ কোঙার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।<ref name=":3" /> তাঁর ভাই [[বিনয় কৃষ্ণ কোঙার""ও একজন [[সিপিআই(এম)]] নেতা।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}