ইসলামের প্রাথমিক যুগে সামাজিক পরিবর্তন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: নতুন পুনর্নির্দেশনা পুনর্বহালকৃত ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
ইসলামের অধীনে প্রাথমিক সামাজিক পরিবর্তন-এ করা পুনর্নির্দেশ সরানো হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্নির্দেশ সরানো হয়েছে হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
১ নং লাইন:
৬১০ থেকে ৬৬১ সালের মধ্যে [[মুহাম্মাদের জীবনের ঘটনাপঞ্জি|মুহাম্মদের]] সময়কালসহ এবং ও [[খুলাফায়ে রাশেদীন|খোলাফায়ে]] রাশেদীনের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর চারজন পরবর্তী উত্তরসূরীর সময় ইসলামের অধীনে অনেকগুলো সামাজিক পরিবর্তন ঘটেছিল।
#পুনর্নির্দেশ [[ইসলামের অধীনে প্রাথমিক সামাজিক পরিবর্তন]] {{একটি পুনর্নির্দেশ}}
 
অনেক ঐতিহাসিক বলেছেন যে সামাজিক সুরক্ষা, পারিবারিক কাঠামো, দাসত্ব এবং নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে সংঘটিত পরিবর্তনগুলো আরবের বিদ্যমান সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছিল ।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780429305993-2|শিরোনাম=Shi'ism, Resistance, and Revolution|শেষাংশ=Lewis|প্রথমাংশ=Bernard|তারিখ=2019-05-28|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=21–30|আইএসবিএন=978-0-429-30599-3}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/20553486|শিরোনাম=An Eaglais Anallód|শেষাংশ=Snodaigh|প্রথমাংশ=P. Ó|শেষাংশ২=Watt|প্রথমাংশ২=John|তারিখ=1974|সাময়িকী=Comhar|খণ্ড=33|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=20|doi=10.2307/20553486|issn=0010-2369}}</ref><ref>Robinson (2004) p.21</ref><ref>Esposito (1998), p. 98</ref><ref>"Ak̲h̲lāḳ", ''Encyclopaedia of Islam Online''</ref><ref name=":1">Nancy Gallagher, Encyclopedia of Women & Islamic Cultures, Infanticide and Abandonment of Female Children</ref> উদাহরণস্বরূপ, বার্নার্ড লুইসের মতে, ইসলাম "প্রথম অভিজাতদের সুবিধাভোগের সমালোচনা করেছে, শ্রেণিবিভাজনকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং মেধাভিত্তিক জীবিকার পথ উন্মোচন করার পন্থা গ্রহণ করেছে"।<ref name=":0" /> অন্যান্য পণ্ডিতরা লীলা আহমেদের সাথে একমত নন যে, ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে প্রমাণিত যে প্রাক-ইসলামিক আরবে ইতিমধ্যেই নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে অনেকগুলি একই ধরনের প্রগতিশীল রীতিনীতি ছিল যার জন্য লুইসের মতো পন্ডিতগণ ইসলামকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন।<ref name=":5">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1086/494271|শিরোনাম=Women and the Advent of Islam|শেষাংশ=Ahmed|প্রথমাংশ=Leila|তারিখ=1986-07-XX|সাময়িকী=Signs: Journal of Women in Culture and Society|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=665–691|doi=10.1086/494271|issn=0097-9740}}</ref> <code><nowiki>{{কাজ চলছে}}</nowiki></code>
 
= ইসলামের আগমন =
বার্নার্ড লুইস বিশ্বাস করেন যে ইসলামের আগমন একটি বিপ্লব ছিল যা আংশিকভাবে সফল হয়েছিল নতুন ধর্ম এবং মুসলমানরা যে বহু পুরানো সমাজগুলো দখল করেছিল তার মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার কারণে। তিনি মনে করেন, এই জাতীয় উত্তেজনার ক্ষেত্র ইসলামী মতবাদের সমতাবাদী প্রকৃতির পরিণতি ছিল। ইসলাম "প্রথম অভিজাতদের সুবিধাভোগের সমালোচনা করেছে, শ্রেণিবিভাজনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মেধাভিত্তিক জীবিকার পথ উন্মোচন করার পন্থা গ্রহণ করেছে"। লুইস অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে ইসলামে সাম্যতা শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক স্বাধীন পুরুষ মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, তবে এটি "গ্রেকো-রোমান এবং প্রাচীন ইরানীয় উভয় বিশ্বের রীতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করেছিল"।<ref name=":0" />
 
বার্নার্ড লুইস মুহাম্মদের সাফল্যের তাৎপর্য সম্পর্কে লিখেছেন:<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/2850889|শিরোনাম=The Arabs in History. Bernard Lewis|শেষাংশ=Hitti|প্রথমাংশ=Philip K.|তারিখ=1951-07|সাময়িকী=Speculum|খণ্ড=26|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=522–522|doi=10.2307/2850889|issn=0038-7134}}</ref>
 
তিনি বেশ কিছু অসাধারণ অর্জন করেছিলেন। পশ্চিম আরবের পৌত্তলিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি একটি নতুন ধর্ম নিয়ে এসেছিলেন যা এর একেশ্বরবাদ এবং এর নৈতিক মতবাদের মধ্য দিয়ে পৌত্তলিকতার চেয়ে অপ্রত্যাশিত উঁচু স্তরে দাঁড়িয়েছিল। তিনি সেই ধর্মকে প্রচারের মাধ্যমে এমনভাবে উন্মোচিত করেছিলেন যা শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে অগণিত লক্ষ লক্ষ বিশ্বাসীকে চিন্তা ও মননের পাথেয় হিসেবে অনুসরণ করতে হবে। তবে তিনি এর চেয়ে আরও বেশি কাজ করেছিলেন; তিনি একটি সম্প্রদায় এবং একটি সুসংগঠিত ও সশস্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার শক্তি ও প্রতিপত্তি তাকে আরবের একটি প্রভাবশালী কেন্দ্রে পরিণত করেছিল।
 
= মদীনা সংবিধান =
মদিনার সংবিধান, মদিনার সনদ হিসাবেও পরিচিত যা ৬২২ সালে মুহাম্মদ দ্বারা খসড়া করা হয়েছিল। এটি মূলত মুহাম্মদ এবং ইয়াথ্রিবের (পরে মদীনা নামে পরিচিত) সমস্ত উল্লেখযোগ্য উপজাতি এবং মুসলিম, ইহুদী এবং পৌত্তলিক সকল পরিবারের সকলের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছিল।<ref>See:
 
Firestone (1999) p. 118;
 
"Muhammad", ''Encyclopaedia of Islam Online''
 
</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/cbo9781107323773.005|শিরোনাম=The Holy City of Medina|তারিখ=1920-12-31|প্রকাশক=Cambridge University Press|পাতাসমূহ=42–64|আইএসবিএন=978-1-107-32377-3}}</ref> মদিনার আউজ (বনু আউস) এবং বনু খাজরাজের গোত্রগুলোর মধ্যে তিক্ত আন্তঃগোত্রীয় লড়াইয়ের অবসান ঘটানোর সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে দলিলটি তৈরি করা হয়েছিল। ফলে এটি মদীনার মুসলিম, ইহুদি এবং পৌত্তলিক সম্প্রদায়কে একটি সম্প্রদায়-উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত করে তাদের জন্য বহুবিধ অধিকার এবং দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0041977x00057761|শিরোনাম=The Sunnah Jāmi'ah, pacts with the Yathrib Jews, and the Taḥrīm of Yathrib: analysis and translation of the documents comprised in the so-called ‘Constitution of Medina’|শেষাংশ=Serjeant|প্রথমাংশ=R. B.|তারিখ=1978-02-XX|সাময়িকী=Bulletin of the School of Oriental and African Studies|খণ্ড=41|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=1–42|doi=10.1017/s0041977x00057761|issn=0041-977X}}</ref>
 
মদীনা সংবিধানের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে তবে সাধারণভাবে পণ্ডিতরা একমত হন যে, এটি হিজরি (৬২২) এর কিছু পরে লেখা হয়েছিল।<ref>Watt. ''Muhammad at Medina''. pp. 227-228 Watt argues that the initial agreement was shortly after the hijra and the document was amended at a later date specifically after the battle of Badr. Serjeant argues that the constitution is in fact 8 different treaties which can be dated according to events as they transpired in Medina with the first treaty being written shortly after Muhammad's arrival. R. B. Serjeant. "The Sunnah Jâmi'ah, Pacts with the Yathrib Jews, and the Tahrîm of Yathrib: Analysis and Translation of the Documents Comprised in the so called 'Constitution of Medina'." in ''The Life of Muhammad: The Formation of the Classical Islamic World'': Volume iv. Ed. Uri Rubin. Brookfield: Ashgate, 1998, p. 151 and see same article in BSOAS 41 (1978): 18 ff. See also Caetani. ''Annali dell'Islam, Volume I''. Milano: Hoepli, 1905, p. 393. Julius Wellhausen. ''Skizzen und Vorabeiten'', IV, Berlin: Reimer, 1889, p 82f who argue that the document is a single treaty agreed upon shortly after the hijra. Wellhausen argues that it belongs to the first year of Muhammad's residence in Medina, before the battle of Badr in 2/624. Wellhausen bases this judgement on three considerations; first Muhammad is very diffident about his own position, he accepts the pagan tribes within the ''Ummah'', and maintains the Jewish clans as clients of the Ansars see Wellhausen, Excursus, p. 158. Even Moshe Gil a skeptic of Islamic history argues that it was written within 5 months of Muhammad's arrival in Medina. Moshe Gil. "The Constitution of Medina: A Reconsideration." ''Israel Oriental Studies'' 4 (1974): p. 45</ref> এর মধ্য দিয়েই কার্যকরীভাবে প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংবিধান জনসাধারণের সুরক্ষা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, পবিত্র স্থান হিসাবে মদিনার ভূমিকা (সব ধরনের অস্ত্র সহিংসতাকে নিষিদ্ধ করে), নারীদের সুরক্ষা, মদিনার অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ গোত্রীয় সম্পর্ক, সংঘাতের সময় জনগণের উপযোগী কর ব্যবস্থা, বহিরাগত রাজনৈতিক জোটসমূহের স্থিতিমাপক, ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিতের ব্যবস্থা, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিচার ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রিত রক্তপণ প্রদান (পরিবার বা গোত্রের মধ্যে লেক্স টালিওনিসের বা প্রতিশোধমূলক আইন বা সমশাস্তি বিধির পরিবর্তে একজন ব্যক্তিকে হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদেয় অর্থ) ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
 
 
= সামাজিক পরিবর্তন =
'''প্রথা'''
 
জন এস্পোসিতো মুহাম্মদকে এমন এক সংস্কারক হিসাবে দেখেন যিনি কন্যাশিশু হত্যা, দরিদ্রদের শোষণ, সুদ, হত্যা, মিথ্যা চুক্তি, পরকীয়া, ব্যভিচার এবং চুরির মতো পৌত্তলিক আরবের প্রচলিত প্রথাসমূহের নিন্দা করেছিলেন।<ref name=":3">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/3511692|শিরোনাম=Islam: The Straight Path|শেষাংশ=Swatos|প্রথমাংশ=William H.|শেষাংশ২=Esposito|প্রথমাংশ২=John L.|তারিখ=1991-06-XX|সাময়িকী=Review of Religious Research|খণ্ড=32|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=379|doi=10.2307/3511692|issn=0034-673X}}</ref> তিনি বলেন, " প্রত্যেক ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে গোত্রীয় রীতিনীতিভিত্তিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধ নয় বরং এক ঐশ্বরিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধ, এ বিষয়ের প্রতি মুহাম্মদের গুরুত্বারোপ তৎকালীন আরব সমাজের মূল ভিত্তি কাঁপিয়ে দিয়েছিল ... মুহাম্মদ ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের এক সুদূরপ্রসারী কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি, ব্যবসায়িক চুক্তি এবং অনুশীলন, পুরুষ-মহিলা এবং পারিবারিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছিল"।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48450951|শিরোনাম=Unholy war : terror in the name of Islam|শেষাংশ=Esposito|প্রথমাংশ=John L.|তারিখ=2002|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=0-19-515435-5|oclc=48450951}}</ref> এস্পোসিতো মনে করেন, কুরআনের সংস্কারগুলো "বিধি বা নৈতিক নির্দেশনা সম্পন্ন যা বিদ্যমান প্রথা বা রীতিনীতিসমূহকে নিষিদ্ধ বা প্রতিস্থাপনের পরিবর্তে সীমাবদ্ধ করেছে বা পুনরায় সংজ্ঞায়ন করেছে।" তিনি দাসত্ব এবং নারীদের মর্যাদাকে দুটি উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
 
কিছু পণ্ডিতের মতে, মুহম্মদের শিশু হত্যার নিন্দা করাই তৎকালে নারীর মর্যাদা বাড়াতে তাঁর প্রয়াসের মূল দিক ছিল।<ref name=":1" /> কুরআনে এ প্রথার সম্বোধনে একটি উল্লেখযোগ্য আয়াতে বলা হয়েছে: "যখন সূর্য নিষ্প্রভ হবে, যখন নক্ষত্ররাজি খসে পড়বে, পর্বতসমূহকে যখন চলমান করা হবে, যখন পূর্ণগর্ভা উষ্ট্রী উপেক্ষিত হবে, যখন বন্য পশুগুলো একত্রিত হবে, যখন সমুদ্রগুলোকে উদ্বেলিত করা হবে, যখন আত্মারা মিলিত হবে, যখন জীবন্ত প্রোথিতা কন্যা (মাওদাতু) কে জিজ্ঞাসা করা হবে, কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল, যখন আমলনামা উন্মোচিত হবে ..."[কুরআন ৮১: ১],<ref name=":1" /> যদিও একটি হাদিস<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/09596419408721028|শিরোনাম=Varieties of pronouncement stories in Sahih Muslim: A gospel genre in the hadith literature|শেষাংশ=Robinson|প্রথমাংশ=Neal|তারিখ=1994-01-XX|সাময়িকী=Islam and Christian–Muslim Relations|খণ্ড=5|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=123–146|doi=10.1080/09596419408721028|issn=0959-6410}}</ref> বিশেষ প্রক্রিয়ার জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সাথে বিষয়টিকে সংযুক্ত করেছে।
 
এই সময়কালে লিঙ্গভিত্তিক হত্যার প্রকৃত ব্যাপকতা কতটুকু ছিল সে বিষয়টি অনিশ্চিত। ডোনা লি বোভেন এনসাইক্লোপিডিয়া অফ কুরআনে লিখেছেন, "প্রাক-ইসলামী আরবদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শব্দ 'ওয়াদ' খুব সাধারণভাবেই ছিল,"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/1875-3922_q3_eqsim_00221|শিরোনাম=Infanticide|ওয়েবসাইট=Encyclopaedia of the Qurʾān|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-17}}</ref> কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন যে এটি একসময় প্রচলিত ছিল, তবে ইসলামের আগমনের সময় এর অনেকখানি পতন হয়েছিল,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/0277-5395(82)90028-0|শিরোনাম=A study of Islamic herstory: Or how did we ever get into this mess?|শেষাংশ=al-Hibri|প্রথমাংশ=Azizah|তারিখ=1982-01-XX|সাময়িকী=Women's Studies International Forum|খণ্ড=5|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=207–219|doi=10.1016/0277-5395(82)90028-0|issn=0277-5395}}</ref> আবার অনেকে মনে করেন, ইসলামের আগে এবং পরে একেবারে নিঃস্ব পরিবারগুলোতে জন্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসাবে এর অনেকটা নিয়মিত ব্যবহার ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0020743800033377|শিরোনাম=Some Observations on Infanticide In Medieval Muslim Society|শেষাংশ=Giladi|প্রথমাংশ=Avner|তারিখ=1990-05-XX|সাময়িকী=International Journal of Middle East Studies|খণ্ড=22|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=185–200|doi=10.1017/s0020743800033377|issn=0020-7438}}</ref>
 
যদিও মুসলমান এবং পাশ্চাত্যের অনেক লেখকের বর্ণনায় প্রাক-ইসলামী আরবে নিয়মিতভাবে কন্যাশিশু হত্যার রীতি ছিল এই বিশ্বাস খুব সাধারণভাবেই লক্ষ্যণীয়, তবে কিছু কিছু বিদ্যমান সূত্রমতে এই প্রথার কথা উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে ইসলামের আগে । ইয়েমেনের প্রায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি শিলালিপিতে এই প্রথা নিষিদ্ধে উল্লেখ পাওয়া যায় যা প্রাক ইসলামী যুগে এ সংক্রান্ত একমাত্র নজির। যদিও সেই সময়কাল সম্পর্কেও তথ্যের অভাব রয়েছে তাই নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2143/mus.100.1.2011442|শিরোনাম=Some Remarks on MAFRAY/Qutra I|শেষাংশ=HALLOUN|প্রথমাংশ=M.|তারিখ=1987-01-01|সাময়িকী=Le Muséon|খণ্ড=100|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=177–180|doi=10.2143/mus.100.1.2011442|issn=0771-6494}}</ref> সহিহ্ মুসলিম এর সূত্রগুলোতে এমন কিছু ব্যক্তির নাম রয়েছে যারা শিশু হত্যার ক্ষেত্রে অংশ নেওয়া, পর্যবেক্ষণ করা বা হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে জড়িত ছিলেন, যেমন [[আসমা বিনতে আব] বর্ণিত একটি হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী জায়েদ ইবনে আমরের কথা জানা যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/j.ctvvnd6q.10|শিরোনাম=Hadith, Piety, and Law|প্রকাশক=Lockwood Press|পাতাসমূহ=61–88|আইএসবিএন=978-1-937040-50-5}}</ref>
 
 
'''সামাজিক নিরাপত্তা'''
 
উইলিয়াম মন্টগোমেরি ওয়াট বলছেন, মুহাম্মদ একজন সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারক ছিলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে মুহাম্মদ "সামাজিক সুরক্ষার একটি নতুন ব্যবস্থা এবং একটি নতুন পারিবারিক কাঠামো তৈরি করেছিলেন যা পূর্ববর্তী অবস্থার তুলনায় বিরাট উন্নয়ন ছিল। যাযাবর নৈতিকতার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম যা ছিল তাকে গ্রহণ করে এবং স্থায়ী সম্প্রদায়ের জন্য তার আত্মীকরণ করে তিনি বিবিধ বর্ণের মানুষের জীবনাচরণের জন্য একটি ধর্মীয় এবং সামাজিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।"<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/157006062x00102|শিরোনাম=W. Montgomery Watt: Muhammad. Prophet and Statesman. Oxford 1961. IX, 260 pp. 25 sh|শেষাংশ=Schimmel|প্রথমাংশ=Annemarie|তারিখ=1962|সাময়িকী=Die Welt des Islams|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=62–68|doi=10.1163/157006062x00102|issn=0043-2539}}</ref>
 
 
'''দাসত্ব'''
 
কুরআনে দাসপ্রথা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অসংখ্যবার উল্লেখ রয়েছে ([কুরআন ২: ১8৮], [কুরআন ১ 16:7575], [কুরআন ৩০:২৮]), তবে এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। লুইস বলেছেন যে ইসলাম প্রাচীন দাসত্বের ক্ষেত্রে দুটি বড় পরিবর্তন এনেছিল যা সুদূরপ্রসারী প্রভাব তৈরি করেছিল। "এর মধ্যে একটি হল স্বাধীনতার অনুমান; অন্যটি দৃঢ়ভাবে নির্ধাারিত পরিস্থিতি ব্যতীত মুক্ত ব্যক্তিদের দাসত্বের উপর নিষেধাজ্ঞা," লুইস আরও বলেছেন, আরবে ক্রীতদাসদের অবস্থান "ব্যাপক উন্নত" হয়েছিল। আরবের দাস "শুধুমাত্র ভূমিদাস রইল না বরং কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয়, সামাজিক মর্যাদা এবং কিছু আপাত-আইনী অধিকার বিশিষ্ট মানুষ হিসেবে স্বীকৃত হল।" <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/acprof:oso/9780195053265.003.0001|শিরোনাম=Race and Slavery in the Middle East|শেষাংশ=LEWIS|প্রথমাংশ=BERNARD|তারিখ=1992-06-18|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=3–15|আইএসবিএন=978-0-19-505326-5}}</ref>
 
লুইস বলেছেন, মুসলিম ভূমি দাসদের একটি নির্দিষ্ট আইনী মর্যাদা ছিল সেই সাথে কিছু বিধিনিষেধও ছিল এবং তাদের মালিকদেরও অধিকার ছিল যা প্রাচীন বিশ্বের দাসত্বের ক্ষেত্রে বড় উন্নতি ছিল। এই সংস্কারগুলোর জন্যই ইসলামী সাম্রাজ্যের দাসত্বের প্রথা " উত্তরাধিকার সূত্রে রোম এবং বাইজান্টিয়াম থেকে প্রাপ্ত ব্যাপক উন্নতির প্রতিনিধিত্ব করেছিল।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/acprof:oso/9780195053265.003.0001|শিরোনাম=Race and Slavery in the Middle East|শেষাংশ=LEWIS|প্রথমাংশ=BERNARD|তারিখ=1992-06-18|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=3–15|আইএসবিএন=978-0-19-505326-5}}</ref>
 
যদিও কুরআনে দাসত্ব প্রতিষ্ঠার এবং প্রতিবেশী সংস্কৃতিগুলোর দাসত্বের মধ্যে অনেকগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে তবে কুরআনের দাসত্বের কিছু অনন্য নতুন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইতিহাস ও ধর্মীয় স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জোনাথন ব্রোকপ্পের মতে, দাসমুক্তির জন্য ভিক্ষা প্রদানের ধারণাটি কুরআনে অনন্য (আয়াতগুলোর ঐতিহ্যগত ব্যাখ্যা অনুমান করে [কুরআন ২: ১৭৭] এবং [কুরআন ৯:৬০ ]। একইভাবে, কিছু পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দাস মুক্ত করার রীতিও কুরআন দ্বারা প্রবর্তিত বলে মনে হয়।<ref name=":2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/1875-3922_q3_eqsim_00393|শিরোনাম=Slaves and Slavery|ওয়েবসাইট=Encyclopaedia of the Qurʾān|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-17}}</ref> ব্রোকপ্প যোগ করেছেন: "অন্যান্য সংস্কৃতিগুলো কোন দাসের ক্ষতি করার জন্য একজন কর্তার অধিকারকে সীমাবদ্ধ করে তবে খুব কমই তাদের দাসের সাথে সদয় আচরণ করার পরামর্শ দেয় এবং সমাজের অন্যান্য দুর্বল সদস্যদের মতো একই শ্রেণিতে দাসদের রেখে তাদেরও সকল সুরক্ষার দাবিদার এ ধরনের বাণীও কুরআনের বাইরে অন্য কোথাও জানা যায় না। তাই কুরআনের অনন্য অবদানটি হচ্ছে, সমাজে দাসের স্থান এবং দাসের প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতার উপর জোর দেওয়া, এটি সম্ভবত সে সময়ে দাসত্ব সম্পর্কিত সবচেয়ে প্রগতিশীল আইন।<ref name=":2" />
 
 
'''নারী অধিকার'''
 
নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ইসলামের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য অনেক লেখক প্রাক-ইসলামিক আরবে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং তাদের অনুসন্ধানগুলো বিভিন্ন রকম।<ref name=":4">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/50401046|শিরোনাম=Islam : critical concepts in sociology|তারিখ=2003|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=London|অন্যান্য=Bryan S. Turner|আইএসবিএন=0-415-12347-X|oclc=50401046}}</ref> কিছু লেখক প্রায়শই মুহাম্মদের প্রথম বিবাহ এবং মুহাম্মদের পিতামাতার বিবাহকে এবং মক্কায় নারী প্রতিমা পূজা করার মতো অন্যান্য বিষয়গুলোকে উল্লেখ করে যুক্তি দেখিয়েছেন যে ইসলামের আগে নারীরা আরও বেশি স্বাধীন ছিল।<ref name=":4" /> বিপরীতে অন্যান্য লেখকগণ কন্যা শিশু হত্যাকাণ্ড, সীমাহীন বহুবিবাহ, পিতৃগোত্রীয় বিবাহ এবং অন্যান্য প্রথা উল্লেখ করে প্রাক-ইসলামিক আরবে নারীদের অবস্থান নিম্নমানের ছিল বলে যুক্তি দিয়েছেন।<ref name=":4" />
 
ভ্যালেন্টাইন মোগাদাম একটি মার্কসবাদী তাত্ত্বিক কাঠামো থেকে নারীদের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে নারীর অবস্থান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইসলামের অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তে নাগরিকীকরণ, শিল্পায়ন, মেরুকরণ এবং রাষ্ট্র পরিচালকদের রাজনৈতিক প্রবক্তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। মোগাদাম মনে করেন, অন্যান্য বিশ্ব ধর্ম বিশেষত হিন্দু ধর্ম, খ্রিস্টান এবং ইহুদী ধর্মের তুলনায় ইসলাম বেশি বা কম পুরুষতান্ত্রিক নয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1525/ae.1995.22.4.02a01200|শিরোনাম=Modernizing Women: Gender and Social Change in the Middle East.
VALENTINE M. MOGHADAM. Women and Change in the Developing World. MARY H. MORAN, ed|শেষাংশ=WIKAN|প্রথমাংশ=UNNI|তারিখ=1995-11-XX|সাময়িকী=American Ethnologist|খণ্ড=22|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=1078–1079|doi=10.1525/ae.1995.22.4.02a01200|issn=0094-0496}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0026318400030108|শিরোনাম=Modernizing Women: Gender and Social Change in the Middle East, by Valentine M. Moghadam. (Women and Change in the Developing World) 311 pages, photos, tables, notes, bibliography, index. Boulder, CO: Lynne Rienner Publishers, 1993. $17.95 (Paper) ISBN 1-55587-354-5|শেষাংশ=Friedl|প্রথমাংশ=Erika|তারিখ=1994-12-XX|সাময়িকী=Middle East Studies Association Bulletin|খণ্ড=28|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=250–251|doi=10.1017/s0026318400030108|issn=0026-3184}}</ref>
 
মজিদ খাদদুরি লিখেছেন, আরবে প্রাক-ইসলামিক আইনী মর্যাদা অনুযায়ী নারীদের কার্যত কোনও অধিকার ছিল না, যেখানে শরিয়া (ইসলামী আইন) নারীদের বেশ কয়েকটি অধিকার প্রদান করেছিল।<ref name=":6">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/839669|শিরোনাম=Marriage in Islamic Law: The Modernist Viewpoints|শেষাংশ=Khadduri|প্রথমাংশ=Majid|তারিখ=1978|সাময়িকী=The American Journal of Comparative Law|খণ্ড=26|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=213|doi=10.2307/839669|issn=0002-919X}}</ref> জন এস্পোসিতো বলেছেন, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং উত্তরাধিকার সংস্কারগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।<ref name=":3" /> কারেন আর্মস্ট্রংয়ের মতে, পশ্চিমে এবং অন্যান্য অনেক সংস্কৃতিই আছে যেখান বহু শতাব্দী পরেও নারীদের উত্তরাধিকার এবং বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়নি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/56057973|শিরোনাম=Encyclopedia of religion|তারিখ=2005|প্রকাশক=Macmillan Reference USA|অবস্থান=Detroit|পাতাসমূহ=৬২২৪ ; The Quran gave women rights of inheritance and divorce centuries before women in other cultures, including the West, were accorded such legal statu|অন্যান্য=Lindsay Jones, Mircea Eliade, Charles J. Adams|আইএসবিএন=0-02-865733-0|oclc=56057973|সংস্করণ=2nd ed}}</ref> অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ইসলামে বলা হয়েছে, আরবে নারীদের মর্যাদার সাধারণ উন্নয়নে কন্যা শিশু হত্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং নারীর পূর্ণ ব্যক্তিত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।<ref name=":7">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/acref/9780195125580.001.0001|শিরোনাম=The Oxford Dictionary of Islam|তারিখ=2003-01-01|doi=10.1093/acref/9780195125580.001.0001}}</ref> গারহার্ড এন্ড্রেস বলেছেন: "এই সামাজিক ব্যবস্থা ... বিবাহ, পরিবার এবং উত্তরাধিকারের একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল; যা নারীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং পাশাপাশি তার এবং তার বাচ্চাদেরও সামাজিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছিল। আইনত নিয়ন্ত্রিত বহু বিবাহ পূর্বের বিবিধ সম্ভাব্য এবং বিদ্যমান শিথিল ব্যবস্থার ওপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি ছিল; ব্যভিচারের জন্য কঠোর শাস্তি প্রদানে সহায়ক হিসেবে একমাত্র এই বিধানের মাধ্যমেই পরিবার যা যে কোনও আবাসিক সমাজের মূল ভিত্তি, তাকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর স্থাপন করা যেত।"<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0035869x0014170x|শিরোনাম=An introduction to Islam. BY Gerhard Endress, translated by Carole Hillenbrand. pp. ix, 294, 6 maps. Edinburgh, Edinburgh University Press, 1988. £29.50 (paper £9.50).|শেষাংশ=Morgan|প্রথমাংশ=D. O.|তারিখ=1988-04-XX|সাময়িকী=Journal of the Royal Asiatic Society of Great Britain & Ireland|খণ্ড=120|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=395–396|doi=10.1017/s0035869x0014170x|issn=0035-869X}}</ref>
 
তবে লীলা আহমেদ দাবি করেন, প্রাক-ইসলামিক মক্কায় নারীদের ব্যবসায়ের মালিকানা, একক নারী হিসাবে কাজ করা এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার ইত্যাদির একাধিক সূত্র রয়েছে। মুহাম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজার স্বাধীনতা এবং আর্থিক সাফল্য সম্মন্ধে লীলা আহমেদ এও যুক্তি দেন যে, "তার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, তার বিবাহের সূচনা এবং এমনকি বিবাহের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করার জন্য একজন পুরুষ অভিভাবকের বাধ্যবাধকতাহীন পরিস্থিতি (যেমনটি ইসলামের প্রয়োজন হয়)" নিজের থেকে বহু বছর কনিষ্ঠ এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুহম্মদের একমাত্র স্ত্রী হয়ে থাকা এ সবকিছুই কিন্তু প্রাক-ইসলামী যুগেই ঘটেছিল। তবে তিনি আরো বলেন, ইসলাম নিজে নারীর অধিকার হ্রাস করেনি বরং এটি ছিল সাসানিয়ান ইরাকের পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি যেখানে ইসলামী আইন প্রথম প্রণীত হয়েছিল যা নারী মর্যাদাকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিল।"<ref name=":5" />
 
তবে অন্যান্য সূত্রমতে জানা গেছে যে, প্রাক-ইসলামী আরবে প্রাক-ইসলামিক আরবে সাধারণ নারীদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত ছিল না বরং তা শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
 
 
'''বিবাহ'''
 
ইসলামী উৎস অনুসারে, প্রাক-ইসলামী ঐতিহ্যে বিবাহ বা বিবাহবিচ্ছেদ গ্রহণে পুরুষদের অধিকারের ক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ইসলামী আইন উপপত্নীর স্থলে একসাথে চারজন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকার অনুমোদন দিয়েছিল।[কুরআন ৪]<ref name=":3" /> প্রাক ইসলামী আইনে প্রশ্নাতীতভাবে পুরুষের প্রাধান্য স্বীকৃত বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে ইসলামে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছিল এবং নারীকে একজন আগ্রহী অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। 'উদাহরণস্বরূপ, যৌতুক, আগে পিতাকে কনে মূল্য হিসেবে প্রদান করা হত যা পরে স্ত্রীর আয়ত্তে থাকা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির অংশ হিসেবে এক ধরনের ব্যক্তিগত উপহারে পরিণত হয়'<ref name=":3" /><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/839669|শিরোনাম=Marriage in Islamic Law: The Modernist Viewpoints|শেষাংশ=Khadduri|প্রথমাংশ=Majid|তারিখ=1978|সাময়িকী=The American Journal of Comparative Law|খণ্ড=26|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=213|doi=10.2307/839669|issn=0002-919X}}</ref> ইসলামী আইন অনুসারে, বিবাহকে 'মর্যাদা' নয় বরং "চুক্তি" হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এই বিবাহ চুক্তির অপরিহার্য উপাদানগুলো ছিল পুরুষের প্রস্তাব উপস্থাপন, নারীর অনুমোদন এবং যৌতুক প্রদান সাপেক্ষে উভয়ের সম্মিলনের ব্যবস্থা। সক্রিয় সম্মতি বা নীরবতা দ্বারা নারীর সম্মতি অপরিহার্য ছিল।<ref name=":8">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.32505/al-bukhari.v3i2.1933|শিরোনাম=Rawi Khawarij dalam Sahih Al-Bukhari|শেষাংশ=Nur Shiddiq|প্রথমাংশ=Muhammad|তারিখ=2020-12-22|সাময়িকী=Al-Bukhari : Jurnal Ilmu Hadis|খণ্ড=3|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=149–170|doi=10.32505/al-bukhari.v3i2.1933|issn=2622-7606}}</ref> তাছাড়াও, কমপক্ষে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এই প্রস্তাব এবং অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি সংঘটিত করতে হতো।<ref name=":3" /><ref name=":6" /><ref name=":7" /> আল তিরমিযির সংগৃহীত একটি হাদীস অনুসারে, "এবং আমি আপনাকে নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করার আদেশ দিচ্ছি, কারণ তারা তো আপনার সঙ্গে আবদ্ধ যাদের উপর আপনার অন্য কোন ক্ষমতা নেই, যদিনা তারা প্রকাশ্যে নির্লজ্জ খারাপ আচরণ করে তবে। ... তারা যদি তা করে, তবে তাদের বিছানা ছেড়ে দিন এবং প্রহার করুন এমনভাবে যা ক্ষতিকারক নয় এবং যদি তারা আপনার কথা মান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধাচারণের কোন কারণ নেই। প্রকৃতপক্ষে আপনার নারীর উপর আপনার অধিকার আছে এবং আপনার নারীও আপনার উপর অধিকার রাখে। আপনার নারীদের উপর আপনার অধিকারের ক্ষেত্রে, তারা অবশ্যই আপনার গৃহে এমন কাউকে আহবান করবে না যাকে আপনি আপ্যায়নে অপছন্দ করবেন এবং এমন কাউকে প্রবেশও করতে দেবে না যাকে আপনি অপছন্দ করেন। আর আপনার ওপর তাদের অধিকার হল, আপনি তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন। তাদের পোশাক দিন এবং তাদের খাদ্য সরবরাহ করুন।"<ref name=":8" />
 
 
 
 
 
 
=== তথ্যসূত্র ===