ঝলকারি বাঈ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
(সংশোধন) |
|||
২৮ নং লাইন:
লর্ড ডালহৌসির ভারতের রাজ্যে শাসন চালানোর নীতি চলতেই থাকে। রানী লক্ষ্মী বাঈ এর কোনো সন্তান না থাকায় তিনি একজন একজন দত্তক পুত্র সন্তান নেন। ব্রিটিশরা নিঃসন্তান রানী লক্ষ্মী বাঈকে দত্তক পুত্র নেওয়া অনুমতি দেয় নি। কেননা তিনি এমনটা করে রাজ্যকে নিজের অধীনে করতে চাইছিলেন। ব্রিটিশদের এই বিরোধিতায় রানীর পুরো সৈন্যবাহিনী, সেনা নায়ক ও ঝাঁসির প্রজামন্দল আত্মসমর্পণ না করে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলার পরিকল্পনা করেন। এপ্রিল ১৮৫৭ সালে, রানী লক্ষ্মী বাঈ ঝাঁসির রাজমহলের ভিতরে সৈন্য তৈরি করেন। ইংরেজরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের পরিকল্পনাকে নিস্ফল করে দেয়। রানীর সেনা নায়কের মধ্যে একজন দুলহেরাব নামক ধোঁকা দেয় ও গুপ্ত দ্বার ইংরেজ সেনাদের জন্য খুলে দেয়। যখন রাজমহলের পতন নিশ্চিত হয়, তখন রানীর সেনাপতি ও ঝলকারী বাঈ কিছু সৈন্য নিয়ে রাজমহল ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে বলেন। রানী তার ঘোড়া নিয়ে ও কিছু বিশ্বাস যোগ্য সৈনিক নিয়ে ঝাঁসির রাজমহল থেকে দূরে চলে যান।
ঝলকারী বাঈ এর স্বামী পুরন কোলী রাজমহলের রক্ষা করতে গিয়ে ইংরেজদের হাতে শহীদ হন। ঝলকারী বাঈ স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়েও ইংরেজদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা করেন। ঝলকারী বাঈ, রানী লক্ষ্মী বাঈ এর মতো বস্ত্র পরে ঝাঁসির সেনা কামান নিজের দায়িত্বে নেন। তার পর রাজমহল থেকে বেরিয়ে ব্রিটিশ জেনারেলের শিবিরে দেখা করার জন্য রওনা দেয়। ব্রিটিশ শিবিরে পৌঁছতেই তিনি চিৎকার করে বলেন আমি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে চাই। জেনারেল ও তার সৈনিক খুবই আনন্দিত যে, তারা শুধু ঝাঁসিই অধিকার করে নি। এখন জীবিত রানীও তাদের অধীনে। জেনারেল ঝলকারীকে রানী ভেবে ছিলেন। তখন জেনারেল বলল বলো তোমার সাথে কি করা
তারপর জানা যায় রানী লক্ষ্মী বাঈ এর ছদ্মবেশে নিজের শেষ সময় পর্যন্ত ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। দিনটি ছিল ৪ এপ্রিল ১৮৫৭ সাল, যুদ্ধের সময় এক গোলার আঘাতে ঝলকারী যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে যান, সেই আঘাতের পর তিনি আর কখনোই উঠেনি। এমনই বীরাঙ্গনা ছিল ঝলকারী বাঈ।
|