বড়লেখা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.59.177.74 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 5029172 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৭২ নং লাইন:
 
== ভাষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা ==
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] এ অঞ্চলের ভাষা হলেও মূলত বড়লেখা উপজেলার ভাষা হলো [[সিলেটি ভাষা]] বা সিলেটি উপভাষা। তবে কেউ কেউ সিলেটি ভাষার মধ্যেও এতদএই অঞ্চলের ভাষাকে ''বড়লেখী ভাষা'' বলে স্বতন্ত্র পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশের সাধারণ ভাষার মতোও এই ভাষায় ধর্মীয় প্রভাব লক্ষ্যণীয়, যেমন: মুসলমানরা 'পানি' বললেও হিন্দুরা বলেন 'জল', মুসলমানরা 'নাস্তা' বললেও হিন্দুরা বলেন 'জলখাবার', মুসলমানরা 'গোসল'-কে 'নাওয়া' বললেও হিন্দুরা বলেন 'নিহান' ইত্যাদি।<ref name="বড়লেখা"/> যদিও আধুনিক প্রজন্মে এর অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।
 
নিচে বাংলা ভাষার সাথে সিলেটি ও অন্যান্য উপজাতীয় ভাষার পারস্পরিক তুলনা উদ্ধৃত হলো<ref name="বড়লেখা"/>:
১১৯ নং লাইন:
=== উপজাতি ===
==== মণিপুরি ====
মণিপুরি বা মৈতেই সম্প্রদায় [[মঙ্গোলীয় মহাজাতি]] গোষ্ঠীয় তিব্বত-ব্রহ্ম শাখার অন্তর্গত কুকিচিন পরিবারভুক্ত একটি জাতি। মনিপুরিরা নিজেদের মধ্যে পরিচয় আদান-প্রদানে নিজেদেরকে মৈতেই বলে পরিচয় দেয়। মনিপুরি সম্প্রদায়ে তিনটি গোত্র রয়েছে: মৈতেই, বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈতেই পাঙ্গাল। এদের মধ্যে বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈতেই [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মে]] বিশ্বাসী ও গৌড়িয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ভুক্ত। মৈতেই পাঙ্গালরা [[ইসলাম ধর্ম|ইসলাম ধর্মে]] বিশ্বাসী। তিন গোত্রে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। মণিপুরিদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ''[[মৈতৈ মণিপুরী ভাষা|মণিপুরি ভাষা]]'' বলেই খ্যাত এবং এই ভাষা প্রায় ৩৪০০ বছরের পুরোন।পুরোনো। মণিপুরি ভাষায় লেখার জন্য রয়েছে নিজস্ব বর্ণলিপি। ভাষাতাত্ত্বিকদের অভিমত এই বর্ণলিপির উদ্ভব হয়েছে [[ব্রাহ্মী লিপি]] থেকে। এই লিপির প্রতিটা বর্ণের নামকরণ করা হয়েছে মানবদেহের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নামানুসারে: যেমন, বাংলা 'ক' বর্ণের মণিপুরি প্রতিবর্ণ 'কোক' (অর্থ মাথা), বাংলা ম বর্ণের মণিপুরি প্রতিবর্ণ 'মীং' (চোখ) ইত্যাদি।<ref name="বড়লেখা"/>
==== খাসিয়া ====
বড়লেখা উপজেলার মাধব পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আরেকটি আদিবাসী সম্প্রদায় হলো [[খাসিয়া]]। খাসিয়ারাও মঙ্গোলীয় মহাজাতি গোষ্ঠীর। খাসিয়ারা "পুঞ্জি"ভিত্তিক বাসস্থান গড়ে তোলে। সাধারণত ১০-১৫টি বা ততোধিক পরিবার মিলে একেকটি পুঞ্জি বা গ্রাম গঠিত হয়। প্রত্যেক খাসিয়া পুঞ্জি একেকজন নির্বাহী প্রধান কর্তৃক পরিচালিত হয়, খাসিয়া সম্প্রদায়ে এরকম নির্বাহীকে ''মন্ত্রী'' বলা হয়।<ref name="বড়লেখা"/>
১২৬ নং লাইন:
 
== শিক্ষা ==
বড়লেখা উপজেলার অধীনে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরী শিক্ষাকেন্দ্র। বড়লেখায় অবস্থিত 'নারী শিক্ষা একাডেমী' এতদএই অঞ্চলের নারী শিক্ষার অন্যতম পথিকৃৎ। এছাড়া [[বড়লেখা ডিগ্রী কলেজ]] এতদএই অঞ্চলের ডিগ্রী শিক্ষার্থীদের অন্যতম বিদ্যাপিঠ।
 
'''বড়লেখা উপজেলার শিক্ষালয়ের উপাত্ত'''<ref name="বড়লেখা"/>'''(উপাত্তসমূহ ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী):'''<br />
১৪৪ নং লাইন:
== দর্শনীয় স্থান ==
=== প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ===
উপজেলার [[দাসের বাজার ইউনিয়ন|দাসের বাজার]] ইউনিয়নে লঘাটি গ্রামে অবস্থিত "[[খাজা মসজিদ|খোজা মসজিদ]]"/"খাজা মসজিদ" ষোড়শ শতকের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।<ref name="bbs2011">[http://203.112.218.65:8008/WebTestApplication/userfiles/Image/District%20Statistics/Moulvibazar.pdf জেলা পরিসংখ্যান: মৌলভীবাজার (২০১১)], বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রকাশকাল: ডিসেম্বর ২০১৩।</ref><ref name="BP"/>
 
=== ভ্রমণ আকর্ষণ ===
১৫৯ নং লাইন:
* [[ড. মোহাম্মদ আতাউল করিম]], শিক্ষক ও বিজ্ঞানী
* [[দ্বিজেন শর্মা]], শিক্ষক, লেখক ও প্রকৃতিবিদ
* [[সিরাজুল ইসলাম]],সাবেক সংসদ,মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, বড়লেখার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। রাজনীতিবিদ।
* [[এবাদুর রহমান চৌধুরী]], রাজনীতিবিদ
* [[শাহাব উদ্দিন]], রাজনীতিবিদ
১৬৮ নং লাইন:
 
== গণমাধ্যমে উপস্থাপন ==
বড়লেখা উপজেলা এককভাবে বিভিন্ন সময়, আর নানা শিল্পকেন্দ্রীকশিল্পকেন্দ্রিক উপস্থাপনায় অসংখ্যবার গণমাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের [[ফেব্রুয়ারি]] মাসে [[বাংলাদেশ টেলিভিশন|বাংলাদেশ টেলিভিশনে]], [[এ. মাসুদ চৌধুরী পিটু|এ. মাসুদ চৌধুরী পিটুর]] পরিচালনায় প্রচারিত হয় ''মাধবকুণ্ডের কলধ্বনি'' নামক ৩০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র।<ref name="বড়লেখা"/> এছাড়া দেশের দর্শনীয় স্থান ও জলপ্রপাতের আলোচনায় বারংবার উপজেলার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত উঠে আসে।
 
== বিবিধ ==