বাংলাদেশে ধর্মবিশ্বাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Laise islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Laise islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৮ নং লাইন:
 
মূল নিবন্ধঃ
 
ইসলাম ধর্ম
 
বাংলাদেশে ইসলাম
২০১১ সালে বাংলাদেশে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৪৬ মিলিয়ন,যা দেশের জনসংখ্যার ৯০%। তাই বাংলাদেশ সংবিধানে ইসলামকে রাষ্টীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহওম মুসলিম অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশ। মুসলমানরা দেশের প্রধান সম্প্রদায় এবং তারা বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের ৮৮ ভাগ বাঙালি মুসলমান এবং ২ ভাগ বিহারি মুসলমান।এই দেশের অধিকাংশ মুসলমান সুন্নি, তথাপি একটি ছোট অংশ জুড়ে আছে শিয়া সম্প্রদায়। শিয়াদের অধিকাংশই শহরে বাস করে। শিয়া ধর্মালম্বীরা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাতি হুসাইন ইবনে আলী এর শহীদ হওয়ার দিনটিকে গভীর শোকের সাথে স্বরণ করে। মুসলমানরা ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, মুহররম, মিলাদ উন নবী, শব -ই- বরাত ও চাদ রাত সারা দেশে উদযাপন করে। বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের মুসলমানদের বৃহত্তম ও উল্লেখযোগ্য সমাবেশ। বাংলা অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায় অর্থাৎ (বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ) ভারতের প্রভাবশালী ইসলামি ধারা থেকে স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়। বাংলাদেশের মুসলমানদের ইসলামের প্রতি সাধারণ ব্যাক্তিগত অঙ্গীকার সত্বেও ইসলামি রীতিনীতি পালন সামাজিক অবস্থান, স্থানীয় ও ব্যাক্তিগত বিবেচনা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। গ্রামাঞ্চলে কিছু বিশ্বাস এবং অনুশীলন উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে যা থেকে ভিন্ন এবং প্রায়ই গোড়া ইসলামের সাথে দ্বন্দ্ব করে।
 
হিন্দু ধর্মঃ
হিন্দু ধর্ম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহওম ধর্ম। এদেশের ১২.৭৩ মিলিয়ন মানুষ হিন্দু (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় হিন্দু জনবহুল দেশ। দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও উওর -পূর্বাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণসহ বাংলাদেশের সকল অঞ্চলে হিন্দুদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দুধর্ম প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রচলিত হিন্দু ধর্মের রীতিনীতির সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে মিলে যায়। যার সাথে বাংলাদেশ ভারত বিভাগের আগ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ ছিল। দুর্গাপূজা, রথযাত্রা ও হিন্দু উৎসব বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম জুড়ে উৎযাপন করা হয়।
 
খ্রিষ্ট ধর্মঃ
 
খ্রিষ্টীয় ষোড়শ থেকে সপ্তাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পর্তুগিজ ব্যাবসায়ী ও মিশনারিদের মাধ্যমে খ্রিস্টধর্ম বাংলাদেশে আসে। খ্রিস্টানরা মোট জনসংখ্যার মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.৪ শতাংশ এবং বেশিরভাগ একটি শহুরে সম্প্রদায়। রোমান ক্যাথলিক ধর্ম বাঙালী খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রধান, অন্যদিকে বাকিরা বেশিরভাগই ব্যাপটিস্ট এবং অন্যান্য। গারো, সাওতাল, ওরাও, চাকমা, খাসি,লুশেই, বাওম ইত্যাদি কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মের অল্প সংখ্যক অনুসারী রয়েছে।
 
বৌদ্ধ ধর্মঃ
 
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ০.৬% জুড়ে আছে বৌদ্ধধর্মালম্বী জনগোষ্ঠী। প্রাচীন তত্ত্ব্য মতে, বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চল ছিল এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের মূল কেন্দ্র। দর্শন ও স্থাপত্য সহ বৌদ্ধধর্ম সভ্যতা বাংলা থেকে তিব্বত, দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করে। কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ স্থাপত্য, আংকোর ওয়াট মন্দির এবং বরোবুদুর বিহার যেমন বাংলাদেশের প্রাচীন মঠ সোমপুর বিহার। যদিও এটা এখন মুসলিম দেশ, বৌদ্ধ জাতি ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ছোট কোন খেলোয়াড় নয়। বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মের অধিকাংশ অনুসারী চট্টগ্রাম বিভাগে বাস করে। এখানে বাংলাভাষী বড়ুয়ারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী যারা প্রায় একচেটিয়া ভাবে চট্টগ্রাম এলাকায় কেন্দ্রীভূত এবং একইসাথে বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে যেমন কুমিল্লা ময়মনসিংহ,রংপুর, সিলেট জেলায় বাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৌদ্ধদের অধিকাংশ চাকমা, মারমা, খুমি,বাওম,চক,কুকি,মুরাং,তানচাঙ্গিয়া এবং খিয়াং উপজাতির অন্তর্ভুক্ত, যারা প্রাচীন সময় থেকে বৌদ্ধধর্মের চর্চা করে আসছে। অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায় যারা অ্যানিমিজম চর্চা করে,তাদের কিছু বৌদ্ধ ধর্মের অধীনে এসেছে। এই অঞ্চলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠান বৌদ্ধধর্ম ও প্রাচীন অ্যানিমিস্টিক বিশ্বাসের সমন্বয়। বৌদ্ধ পূর্ণিমা বাঙালি বৌদ্ধ ও বৌদ্ধ উভয় উপজাতির মধ্যে সর্বাধিক পালিত হয়।
 
শিখ ধর্মঃ
 
বাংলাদেশের প্রায় ১০০০০০ মানুষ এই ধর্ম মেনে চলে।এই ধর্মের উপস্থিতি ১৫০৬-০৭ সালে গুরু নানকের মাধ্যমে হয় এবং গুরু নানক ফিরে গেলে তার অনুসারীরা ধর্ম প্রচারের জন্য রয়ে যায় । যখন কিছু বাঙালি এই ধর্ম বিশ্বাস গ্রহণ করে ,তখন একটি শিখ সম্প্রদায়ের জন্ম হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত থেকে ১০০০০ শিখ এলে এই সম্প্রদায় বৃহত্তর হয়ে উঠে। এই শিখ সম্প্রদায় দেশে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ টি গুরুদ্বার রয়েছে,তাদের মধ্যে ৭টি সুপরিচিত। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে নানকশাহী গুরুদ্বার।এটি ১৮৩০ সালে নির্মিত দেশের প্রাচীনতম গুরুদ্বার
 
৩০ ⟶ ৩৬ নং লাইন:
 
"জনসংখ্যা ও আবাসন আদমশুমারি - ২০১১: ইউনিয়ন পরিসংখ্যান" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ 2014. পি। xiii। 3 সেপ্টেম্বর 2017 এ মূল থেকে সংরক্ষণাগার (পিডিএফ)) 17 এপ্রিল 2015 পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
"রাষ্ট্রধর্ম"। bdlaws.minlaw.gov.bd। 17 জুলাই 2015 পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
"সরকারী আদমশুমারির ফলাফল ২০১১ পৃষ্ঠা xiii"
ওয়েবেব্যাক মেশিনে ডেটা সংরক্ষণাগারটি 4 সেপ্টেম্বর 2011। আদমশুমারি - বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো