২০২১-এ বাংলাদেশে মোদী-বিরোধী বিক্ষোভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Meena Islam (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
২৩ নং লাইন:
| notes =
}}
২০২১ সালের মার্চের শেষ দিকে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী]] অনুষ্ঠানে [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী]] [[নরেন্দ্র মোদী]]র আগমনকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। অনেকেই এটিকে '''২১ এর মোদী-বিরোধী বিক্ষোভ''' বলে আখ্যায়িত করেছেন। [[২০০২ গুজরাত দাঙ্গা|গুজরাট সহিংসতা]], [[বাবরি মসজিদ]] ইস্যুর পাশাপাশি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতন এবং [[হিন্দুত্ব|হিন্দুবাদী]] দৃৃষ্টিভঙ্গির জন্য মোদীকে অভিযুক্ত করে নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে আসছিল [[হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ|হেফাজতে ইসলাম]] ও এর সমর্থক গোষ্ঠীরা। শুক্রবার ২৬ মার্চ, ২০২১ তারিখে বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় পৌছান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঢাকায় আগমন উপলক্ষ্যে সেদিন জুমার নামাজের পর [[বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ]] প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতা দেখা দেয় যা পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পরে।
আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করছিল তখনই মূল সংঘাতটি শুরু হয়। এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যেই সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনার পর দেশের বেশ কিছু জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পরে। [[অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]] ২৬ মার্চ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিবাদকারীদের উপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের সমালোচনা করে "সমাবেশ করার স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান জানাতে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের রক্ষ করতে" আহবান জানায়।<ref>{{
== প্রেক্ষাপট ==
৫২ নং লাইন:
* হেফাজত কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে ৫ জন নিহত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে শনিবার আরও ৫ জনের মৃত্যু |ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-56546878 |ওয়েবসাইট=বিবিসি বাংলা |সংগ্রহের-তারিখ=২৭ মার্চ ২০২১ |ভাষা=bn}}</ref>
* মোদী-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা ফরিদপুরের ভাঙ্গার পুলিশ থানায় হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল মোদীর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন রোধ করা। এই হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=মিছিলে বাধা দেয়ায় থানায় হামলা, ৬ পুলিশ আহত |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/country-news/406139/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A7%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4 |ওয়েবসাইট=যুগান্তর |সংগ্রহের-তারিখ=৩ এপ্রিল ২০২১ |ভাষা=en}}</ref>
* ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ ত্যাগ।
=== ২৮ মার্চ ===
৬০ নং লাইন:
=== ২৯ মার্চ ===
* বিএনপি এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=রিপোর্টার |প্রথমাংশ1=স্টাফ |শিরোনাম=বিএনপির দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি |ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/368930/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF |ওয়েবসাইট=দৈনিক ইনকিলাব |সংগ্রহের-তারিখ=৩ এপ্রিল ২০২১ |ভাষা=bn |তারিখ=২৮ মার্চ ২০২১}}</ref>
* পুলিশের আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। পিবিআই এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শন করে।
=== ৩০ মার্চ ===
৭৪ নং লাইন:
== প্রতিক্রিয়া ==
সংবাদ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে এবং সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ বিকেল থেকে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দেশে ফেসবুক বন্ধ, বিকল্প পথে ব্যবহার করছেন অনেকে, বেড়েছে নিরাপত্তাহীনতা |ইউআরএল=https://mzamin.com/article.php?mzamin=268012 |ওয়েবসাইট=মানবজমিন |সংগ্রহের-তারিখ=৩ এপ্রিল ২০২১}}</ref> ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানায় যে, "আমরা জানি যে বাংলাদেশে আমাদের সেবা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা আরও বলে যে, "আমরা আরো বোঝার জন্য কাজ করছি এবং আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি খুলে দেওয়া হবে।"<ref>{{
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা [[অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]], এই বিক্ষোভের উত্তরে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকান্ডকে "রক্তাক্ত অভিযান" বলে অভিহিত করে এবং বলে যে, "বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সমাবেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে"।<ref>{{
বাংলাদেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক যৌথ বিবৃতিতে মোদী বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতা চালানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। এইসব বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে আছেন: [[এম হাফিজ উদ্দিন খান]], আলী ইমাম মজুমদার, অধ্যাপক [[আনু মুহাম্মদ]], [[বদিউল আলম মজুমদার]], [[সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান]], [[সারা হোসেন]], সিআর আবরার, ড. [[জাফরুল্লাহ চৌধুরী]], [[আসিফ নজরুল]], শহীদুল আলম, হাসনাত কাইয়ুম, নূর খান লিটন, শিরীন হক, জাকির হোসেন, পারভিন হাসান, লুবনা মারিয়াম, শারমিন মুর্শিদ, ফেরদৌস হাসান, আজিম জামান ও রাহনুমা আহমেদ।<ref>{{
২৬ থেকে ২৮ মার্চ বাংলাদেশে সফরকালে প্রতিবাদ চলাকালীন সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যুর বিষয়ে তাৎক্ষণিক, নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ১১টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=সংবাদদাতা |প্রথমাংশ1=কূটনৈতিক |শিরোনাম=মোদি বিরোধী প্রতিবাদে মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে |ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/370500/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87 |ওয়েবসাইট=দৈনিক ইনকিলাব |সংগ্রহের-তারিখ=৩ এপ্রিল ২০২১ |ভাষা=bn}}</ref>
|