মুখতার আল সাকাফি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৬ নং লাইন:
[[File:Important cities and Places in Early Caliphate.png|thumb|[[আলী]] খিলাফতের রাজধানী [[মদিনা]] থেকে [[কুফা|কুফায়]] স্থানান্তর করেন।]]
 
মুখতার ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে (যে বছর [[মুহাম্মাদ]] [[মদিনা|মদিনায়]] হিজরত করেন) তায়েফের [[বনু সাকিফ]] গোত্রে এক মুসলিম সামরিক নেতা [[আবু উবায়েদ আল-সাকাফি|আবু উবায়েদ আল সাকাফি]] ও দওমা বিনতে আমর ইবনে ওয়াহাব ইবনে মুয়াত্তিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।{{sfn|Kennedy|2016|p=82}}{{sfn|Fishbein|1990|p=102}} ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর [[আবু বকর]] খলিফা নির্বাচিত হন। দুই বছর পর তার মৃত্যু হলে [[উমর]] খলিফা হন। তিনি আবু বকরের পূর্বে গৃহীত পদক্ষেপ অনুসারে [[প্রাক মুসলিম সাম্রাজ্য|মুসলিম সাম্রাজ্যের]] বিস্তার ঘটান{{sfn|Madelung, Wilferd|1997|pp=xv–xvi}} এবং মুখতারের বাবা আবু উবায়েদকে [[মুসলিমদের পারস্য জয়|ইরাকী রণক্ষেত্রে]] প্রেরণ করেন। আবু উবায়েদ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে [[সেতু যুদ্ধ|সেতু যুদ্ধে]] নিহত হন। এই অঞ্চলে মুসলিমদের বিজয়ের পর তের বছর বয়সী মুখতার তখন [[ইরাকের ইতিহাস#মধ্যযুগ|ইরাকেই]] থেকে যানযান।{{sfn|Kennedy|2016|p=82}} এবংসেখানে তিনি তার চাচা সাদ ইবনে মাসুদ আল সাকাফির নিকট লালিত হতে থাকেন।{{sfn|Dixon|1971|pp=27–28}} ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে উমর [[পিরুজ নাহাওয়ান্দি]] নামের এক পারস্যিক দাসের হাতে নিহত হওয়ার পর [[উসমান]] ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে [[উসমানের অবরোধ|বিদ্রোহীদের হাতে নিহত]] হওয়ার পূর্বেপূর্ব পর্যন্ত বারো বছর ধরে সাম্রাজ্য পরিচালনা করেন।করেছিলেন।{{sfn|Madelung, Wilferd|1997|pp=xv–xvi}}
 
উসমানের মৃত্যুর পর মুহাম্মাদের চাচাত ভাই ও মেয়ে-জামাই [[আলী]] খলিফা নির্বাচিত হন এবং মদিনা থেকে [[কুফা|কুফায়]] রাজধানী স্থানান্তর করেন{{sfn|Madelung, Wilferd|1997|pp=xv–xvi}}। মুখতার সেখানে কিছু গৌনছোটখাটো প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন{{sfn|Kennedy|2016|p=82}} এবং তার চাচা নিকটবর্তী [[আল-মাদা'ইন|আল মাদা'ইনের]] গভর্নর নিযুক্ত হন।{{sfn|Dixon|1971|pp=27–28}} সিরিয়ার শাসক [[প্রথম মুয়াবিয়া|মুয়াবিয়া]]সহ মুহাম্মাদের স্বল্পসংখ্যক সাহাবী আলীর কর্তৃত্বকে অস্বীকার করলে [[প্রথম ফিতনা|যুদ্ধ]] ছড়িয়ে পড়ে। মুয়াবিয়া সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়ার পর আলীর সৈন্যরা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে চূড়ান্ত কোন ফলাফল ছাড়াই [[সিফফিনের যুদ্ধ]] শেষ হয় (জুলাই ৬৫৭)। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আলী আলোচনায় বসতে রাজী হন। কিন্তু আলীর সৈন্যদের ছোট একটি দল সমঝোতা প্রস্তাব গ্রহণের তার এই সিদ্ধান্তকে ধর্মহীনতা আখ্যা দিয়ে আন্দোলনে ফেটে পড়ে। এরা পরবর্তীতে [[খারিজি]] নামে পরিচিতি পায়। আলোচনা মুয়াবিয়া ও আলীর বিতন্ডা মিমাংসায় ব্যর্থ হয়। পরে ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে আলী এক খারিজির হাতে নিহত হন।{{sfn|Madelung, Wilferd|1997|pp=xv–xvi}}
 
এরপর আলীর জ্যেষ্ঠ সন্তান [[হাসান ইবনে আলী|হাসান]] খলিফা হন। কিন্তু মুয়াবিয়া তার শাসনকেও প্রত্যাখ্যান করে ইরাক আক্রমণ করেন।{{sfn|Madelung, Wilferd|1997|pp=xv–xvi}} হাসান নিজের সৈন্য স্থানান্তরের সময় আল-মাদা'ইনের নিকট এক খারিজির হাতে আহত হলে তাকে মুখতারের চাচার বাড়িতে আনা হয়। সেখানে মুখতার রাজনৈতিক আনুকূল্যতার জন্য হাসানকে মুয়াইবিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করলে তার চাচা তা প্রত্যাখ্যান করেন। {{sfn|Dixon|1971|pp=27–28}}{{sfn|Hawting|1989|p=105}} ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে [[হাসান-মুয়াবিয়া চুক্তি|শান্তি চুক্তি অনুযায়ী]] হাসান মুয়াবিয়ার নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এবং রাজধানী [[দামেস্ক|দামেস্কে]] স্থানান্তর করা হয়। মুয়াবিয়া মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে তার সন্তান [[প্রথম ইয়াজিদ|ইয়াজিদকে]] নিজের উত্তরসূরি মনোনীত করার মাধ্যমে [[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া খিলাফতের]] সূচনা করেন। ইয়াজিদের মনোনয়ন আলীয় পক্ষাবলম্বীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।{{efn|1=আলীয়পন্থী বা আলীয় পক্ষাবলম্বীরা ছিলেন আলী ও তার পরিবারের রাজনৈতিক সমর্থক।}} কারণ এটি ছিল শান্তি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। চুক্তির একটি শর্ত ছিল মুয়াবিয়া নিজের কোন উত্তরসূরি মনোনীত করতে পারবেন না। {{sfn|Wellhausen|2000|pp=146–147}} মুখতারের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব অল্পই তথ্য পাওয়া যায়। তবে তিনি ষাট বছর বয়সের কাছাকাছি সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন।{{sfn|Wellhausen|1975|p=125}}
 
==অভ্যুত্থান==