ভিমের পান্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বানান ও অন্যান্য সংশোধন |
অ (সংশোধন) ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১৯১ নং লাইন:
এই অঞ্চলে এ ব্যাপারে যে জনশ্রুতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তা থেকে জানা যায় যে, এই শান্তিবারি ( মঙ্গলবারি) প্রদান করার প্রথা পালদের পরেও বহুকাল ধরে প্রচলিত ছিল। নানা স্থান থেকে বহুলোকের সমাগম হত এখানে এবং এখানকার ব্রাহ্মণগণ তাদের মঙ্গলবারি প্রদান করতেন। সেই সংস্কৃতির অস্তিত্ব প্রতি বৈশাখে অনুষ্ঠিত একটি বাৎসরিক মেলার মাঝে এখনো বেঁচে আছে। প্রতি মঙ্গলবারে এখানে একটি হাট বসে, মুকুন্দপুর মৌজায় অবস্থিত এই মঙ্গলবাড়ি হাট যে মঙ্গলবারি নামেরই রূপান্তর তাতে কোন সন্দেহ নেই। অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় গৌড়লেখমালা গ্রন্থে এ স্থানকে মঙ্গলবারি নামেই উল্লেখ করেছেন।
শান্তিবারি>মঙ্গলবারি>মঙ্গলবাড়ি(বর্তমান নাম)
এখানে পালদের রাজধানী ছিল বলে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় বলেছেন, ৬ষ্ঠ শ্লোকের টীকায় তিনি বলেছেন- এই শ্লোকের বর্ণনাকৌশলে রাজভবনের নিকটেই মন্ত্রীভবন অবস্থিত থাকিবার আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায়। এখানে গরুড় স্তম্ভটি
আগেই বলা হয়েছে যে একটি নিচু ভূমির উত্তরাংশে স্তম্ভটি অবস্থিত। সে স্থানে যদি সে সময়েই উঁচু ভূমি থাকত এবং পরবর্তীকালে তা যদি প্রাকৃতিক কারণে বিলে পরিণত হয়ে থাকত ( যা অসম্ভব নয়) তবে শ্রী মৈত্রেয় বর্ণিত তথাকথিত মন্ত্রীভবনের কিছু না কিছু ধ্বংসচিহ্ন সেখানে অবশ্যই থাকত, স্তম্ভের মাত্র ১৫০ মিটার উত্তরে অবস্থিত শিব মন্দিরের ধ্বংসবাশেষ রূপে অবস্থিত ঢিবি এই ধারনার পিছনে প্রবল সমর্থন যোগায়, অথচ স্তম্ভের চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার নিম্ন ভূমিতে কোন প্রাচীন কীর্তির ধ্বংসবাশেষ দূরে থাক, একখন্ড প্রাচীন ইট বা মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশেরও সন্ধান পাওয়া যায় না। স্তম্ভটি যদি এতকাল টিকে থাকতে পারে সেক্ষেত্রে এখানে যদি ইমারতাদি ( মন্ত্রীভবন ইত্যাদি ) থাকত তবে সেগুলোর কোন না কোন চিহ্ন, তা যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন, টিকে থাকার কথা। অথচ একখণ্ড প্রাচীন ইটও এই স্তম্ভ এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায় না। তাতে সহজেই ধারণা করা যায় যে এখানে কোন ইমারতের অস্তিত্ব ছিল না। এবং শিবমন্দিরের সামনে নিচু ভূমিতে ( খুব সম্ভব বিলে) ইচ্ছা করেই এই স্তম্ভটি স্থাপন করা হয়েছিল ( দিবর দীঘির স্তম্ভ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনুরূপ দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। ।
খুব সম্ভব গুরব মিশ্রদের আবাসভবন ছিল স্তম্ভের উত্তর দিকে মঙ্গলবাড়ি হাটের নিকটবর্তী কোন স্থানে এবং পালদের রাজধানী ছিল মঙ্গলবাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরে, সেখানের আমাইর বা আমৈর, জগদল, যোগীর, ঘোপা ইত্যাদি প্রাচীন ধ্বংসবাশেষে পরিপূর্ণ অতি প্রাচীন স্থানগুলোর কোন একটিতে পালদের তৎকালীন রাজধানী ছিল বলে ধারণা করা হয়। মঙ্গলবাড়ি থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পাহাড়পুর ( সোমপুর) বিহারও এই ধারণার পিছনে সমর্থন যোগায়। রাজধানীর কাছাকাছি স্থানেই যে ধর্মপালদেব এই বিশাল কীর্তি ( সোমপুর বিহার) স্থাপন করেছিলেন তাও ধারণা করা যায়।
|