পিঁপড়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8 |
সম্প্রসারণ |
||
৮৬ নং লাইন:
}}
'''পিঁপড়া''' বা '''পিঁপড়ে''' বা '''পিপীলিকা''' হল [[ফর্মিসিডি]] (Formicidae) গোত্রের অন্তর্গত সামাজিক [[কীট]] বা পোকা। পিঁপড়া এদের ঘনিষ্ঠ প্রজাতি [[বোলতা]] ও [[মৌমাছি|মৌমাছির]] মত একই বর্গ [[হাইমেনপ্টেরা|হাইমেনপ্টেরার]] (Hymenoptera) অন্তর্গত। এরা মধ্য-ক্রেটাশাস পর্যায়ে ১১ থেকে ১৩ কোটি বছর পূর্বে [[বোলতা]] জাতীয় প্রাণী হতে বিবর্তিত হয় এবং [[সপুষ্পক উদ্ভিদ|সপুষ্পক উদ্ভিদের]] উদ্ভবের পর বহুমুখী বিকাশ লাভ করে। এখন পর্যন্ত জানা প্রায় ২২,০০০ পিঁপড়া প্রজাতির মধ্যে
[[File:Scheme ant worker anatomy-en.svg|450px|left|একটি কর্মী পিঁপড়ার রেখাচিত্র]]
পিঁপড়া [[পিপড়ের উপনিবেশ|উপনিবেশ]] তৈরি করে বাস করে যা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়া কয়েক ডজন শিকারী পিঁপড়া থেকে শুরু করে বিশাল এলাকাজুড়ে বাস করা লক্ষ লক্ষ পিঁপড়ার সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। বড় দলগুলি প্রধানত অনুর্বর, পাখাবিহীন নারী পিঁপড়াদের সমন্বয়ে তৈরি হয় যারা কর্মী, সৈন্য এবং অন্যান্য বিশেষায়িত বাহিনীতে বিভক্ত থাকে। প্রায় সব পিঁপড়ার উপনিবেশেই কিছু প্রজননক্ষম পুরুষ পিঁপড়া (ড্রোন) এবং এক বা একাধিক উর্বর নারী পিঁপড়া থাকে, যাদের [[রাণী পিঁপড়া]] বলা হয়।
[[File:Atta.cephalotes.gamut.selection.jpg|thumb|শ্রম বিভাগ]]
পিঁপড়াদের এই উপনিবেশকে কখনো কখনো সুপার-অর্গানিজম বা দলগতস্বত্তাও বলা হয়, কারণ এরা সবাই মিলে কেবল একটি প্রাণীর মত আচরণ করে এবং অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Oster GF, Wilson EO|বছর=1978|শিরোনাম=Caste and ecology in the social insects|প্রকাশক=Princeton University Press, Princeton|পাতাসমূহ=21–22|আইএসবিএন=0-691-02361-1}}</ref>
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র পিঁপড়ার দেখা মেলে, একমাত্র [[এন্টার্কটিকা]] ও এ ধরনের কিছু এলাকা ছাড়া। পিঁপড়া প্রায় যেকোনো বাস্তুসংস্থানে বিকাশ লাভ করতে পারে এবং এরা ভূমিগত বায়োমাসের প্রায় ১৫-২৫% গঠন করে। তাদের এই সাফল্যের কারণ হল তাদের সামাজিক সংগঠন, দ্রুত বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষমতা, রসদ জোগাড় করার দক্ষতা এবং নিজেদের রক্ষা করার পারদর্শিতা। অন্য প্রাণীদের সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের [[সহবিবর্তন|সহবিবর্তনের]]
পিপীলিকা সমাজে [[শ্রম বিভাজন|শ্রমবিভাগ]], ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের দক্ষতা রয়েছে। মানুষের সাথে এই সাযুজ্যগুলো তাদেরকে গবেষণার জন্য খুব আকর্ষণীয় প্রাণী করে তুলেছে। অনেক মানব সমাজে আবার পিঁপড়াকে খাদ্য, ঔষধ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। পিঁপড়ার কিছু প্রজাতি জৈব কীটনাশক হিসেবেও গুরত্বপূর্ণ। তবে পিঁপড়া মানুষের জন্যে মাঝে মাঝে ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পিঁপড়া ফসলের ক্ষতি করে এবং দালান-কোঠার ধ্বংস সাধন করে। এর কিছু প্রজাতি যেমন ''Red imported fire ant'' কে কোথাও কোথাও আগ্রাসী প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এরা ঘটনাচক্রে নতুন কোন পরিবেশে গিয়ে পড়লেও খুব সহজে সেখানে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করে নিতে পারে।
== শ্রেণিবিন্যাস ও বিবর্তন ==
১১৯ নং লাইন:
|pmid=17770424
|সংখ্যা নং=3792|বিবকোড = 1967Sci...157.1038W }}</ref> স্ফেকোমারমা সম্ভবত ভূপৃষ্ঠে বসবাসকারী সংগ্রাহক ছিল, অনেকে অবশ্য মনে করেন Leptanillinae এবং Martialinae শ্রেণীর প্রাণীদের মত প্রাচীন পিঁপড়ারা মাটির নিচে শিকার করে খেতো।
ক্রেটাশাস যুগে, প্রাচীন কিছু পিপড়ার কিছু প্রজাতি [[Laurasia]]n সুপারকন্টিনেন্টে ([[উত্তর গোলার্ধ]]) ছড়িয়ে পড়ে। অন্য পতঙ্গের তুলনায় তাদের সংখ্যা ছিল অপ্রতুল, পুরো প্রতঙ্গের সংখ্যার তুলনায় ধরলে প্রায় ১% মত। [[Paleogene period|Paleogene]] যুগের শুরুতে পিঁপড়েরা দ্রুত বিবর্তন ও উপজাতীকরনের কারনে প্রভাবশালী হতে থাকে। [[Oligocene|ওলিগোসিন]] এবং [[Miocene|মিয়োসিন]] যুগে এসে তাদের সংখ্যা ২০-৪০% দাড়ায়। [[Eocene|ইয়োসিন]] সময়ে পাওয়া প্রজাতিগুলোর ১০টির মধ্যে একটি প্রজাতি আজও দেখা যায়। যে সমস্ত প্রজাতি বেচে আছে তাদের ৫৬%ই বাল্টিক এমবার (ওলিগোসিনের প্রথম দিক) ফসিলে পাওয়া গিয়েছে এবং ডমিনিকান এমবারে (মিওসিনের প্রথমদিক) ৯২% ফসিল পাওয়া যায়।<ref name="grimaldi2001" /><ref name="TheAntEvo">Hölldobler & Wilson (1990), pp. 23–24</ref>
[[Termite]]s উইপোকাও কলোনিতে বাস করে কখনো কখনো এদের সাদা পিঁপড়া বলা হয় কিন্তু উইপোকারা পিঁপড়ে নয়। তারা ইসোপ্টেরার উপ-গোত্র এবং তেলাপোকাকে নিয়ে তারা অন্য একটি গোত্র ব্লাটোডি গঠন করে। পিঁপড়ের মত উইপোকারাও সামাজিক, অনুর্বর কর্মী নিয়ে গঠিত কিনতু তাদের প্রজনণের জিনগত বৈশিষ্ট্য ভিন্নl উইপোকা এবং পিঁপড়ের যে সামাজিক গঠন তার মিলকে কোভারজেন্ট ইভোলুসন বা সমগোত্রীয় কিন্তু স্বাধীন (একটি অপরটির সাথে কোন সম্পর্ক নেই) বলে।<ref>{{cite journal|url=http://www.thornelab.umd.edu/Termite_PDFS/EvolutionEusocialityTermites.pdf|title=Evolution of eusociality in termites|last=Thorne|first=Barbara L|year=1997|pages=27–53|doi=10.1146/annurev.ecolsys.28.1.27|pmc=349550|archive-url=https://web.archive.org/web/20100530162505/http://www.thornelab.umd.edu/Termite_PDFS/EvolutionEusocialityTermites.pdf|archive-date=2010-05-30|url-status=dead|name-list-format=vanc|journal=Annu. Rev. Ecol. Syst.|volume=28|issue=5}}</ref> ভেলভেট পিঁপড়া দেখতে বড় পিঁপড়ার মত কিন্তু তারা আসলে পাখাবিহীন স্ত্রী বোলতা।<ref>{{cite web|url=http://bugguide.net/node/view/69|title=Order Isoptera – Termites|date=16 February 2004|publisher=Iowa State University Entomology|archive-url=https://web.archive.org/web/20080615140449/http://bugguide.net/node/view/69|archive-date=15 June 2008|url-status=live|access-date=12 June 2008}}</ref><ref>{{cite web|url=http://bugguide.net/node/view/159/|title=Family Mutillidae – Velvet ants|date=16 February 2004|publisher=Iowa State University Entomology|archive-url=https://web.archive.org/web/20080630045231/http://bugguide.net/node/view/159/|archive-date=30 June 2008|url-status=live|access-date=12 June 2008}}</ref>
== তথ্যসূত্র ==
|