প্রমদাচরণ সেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সামান্য সং
২ নং লাইন:
 
==প্রারম্ভিক জীবন==
কলকাতার এন্টালিতে জন্মগ্রহন করেন প্রমদাচরণ। তার পিতা পুলিশ কর্মচারী ছিলেন। ১৮৭২ সালে ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন কলকাতার হেয়ার স্কুলে। তাদের পৈতৃক নিবাস ছিল খুলনা জেলার সেনহাটী। হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা বৃত্তিসহ পাশ করে প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়বার সময় ব্ৰাহ্মধর্মানুরাগীব্ৰাহ্মসমাজে হওয়ায়যোগ দেওয়ায় পিতৃগৃহ থেকে বিতাড়িত হন তিনি। শিক্ষক শিবনাথ শাস্ত্রীর দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন তিনি। লাতিন এবং ফরাসি ভাষা শিখে গিলখ্রিস্ট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। গিলখ্রিস্ট পরীক্ষায় তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করলে তাঁর ভাগ্যে বৃত্তি জোটেনি। কলকাতায় বসে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি না থাকলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মতি দেয়নি বলে তাঁর পক্ষে আর বি.এ পরীক্ষা দেওয়াই সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বাড়ি থেকে অর্থসাহায্য বন্ধ হওয়ায় তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার নকিপুর স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি সিটি কলেজিয়েট স্কুলের অতিরিক্ত শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। রজগারেররোজগারের একটা অংশ শিশুকল্যাণের জন্য ব্যয় করতেন সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ প্রমদাচরণ।
সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ প্রমদাচরণ।
 
==সাহিত্য==
তার সাথে সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পরিচয় হয়। শিশুসাহিত্য রচনায় আগ্রহ হয়। মাসিক শিশু পত্রিকা সখা প্রকাশ করার ইচ্ছা থাকলেও অর্থসাহায্য পাননি। নিজের জমানো অর্থ ব্যয় করে ১৮৮৩ সালের ১ জানুয়ারি সখা পত্রিকা প্রকাশ করেন প্রমদাচরণ। তিন বছর সাখী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার রচিত গ্রন্থগুলি হল মহাজীবনের আখ্যায়িকাবলী, চিন্তাশতক, সাথী, ভীমের কপাল ইত্যাদি।
 
==তথ্যসূত্র==