পিটার সিমোন পালাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বানান ও অন্যান্য সংশোধন |
|||
৩৭ নং লাইন:
পিটার [[নেদারল্যান্ডস]] ও [[লন্ডন|লন্ডনে]] ঘুরে বেড়ান। এ ভ্রমণের ফলে তিনি চিকিৎসাবিদ্যা ও শল্যবিদ্যা সম্পর্কে নতুন জ্ঞান আহরণ করেন। এরপর তিনি [[দ্য হেগ|দ্য হেগে]] স্থায়ী হন। প্রাণীর শ্রেণীবিন্যাসকরণে তাঁর আবিষ্কৃত নতুন পদ্ধতি [[জর্জ কুভিয়ে]] কর্তৃক প্রশংসিত হয়। ১৭৬৬ সালে তিনি ''Miscellanea Zoologica'' রচনা করেন। গ্রন্থটিতে তিনি অসংখ্য নতুন [[মেরুদণ্ডী প্রাণী]] সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন। এসব প্রাণীর নমুনা বিভিন্ন ডাচ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ছিল। [[আফ্রিকা|আফ্রিকার]] দক্ষিণাঞ্চল ও [[ইস্ট ইন্ডিজ|ইস্ট ইন্ডিজে]] তিনি গবেষণা অভিযান চলানোর পরিকল্পনা করেন। তাঁর পিতা বার্লিনে তাঁকে ডেকে পাঠানোয় তাঁর এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
১৭৬৭ সালে রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী [[দ্বিতীয় ক্যাথরিন]] পালাসকে [[সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি|সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির]] অধ্যাপক পদে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭৪ পর্যন্ত তিনি সমগ্র মধ্য রাশিয়া, [[উরাল পর্বতমালা]], পশ্চিম [[সাইবেরিয়া]], [[আলতাই পর্বতমালা|আলতাই]], [[পোভোলঝাই]] ও [[ট্রান্সবৈকাল]] অঞ্চল চষে বেড়ান এবং প্রচুর প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কিত নমুনা জোগাড় করেন। তিনি [[কাস্পিয়ান সাগর]], [[আমুর নদী]] ও [[বৈকাল হ্রদ|বৈকাল হ্রদে]] ব্যাপক অভিযান চালান। এসব অভিযানে তিনি বিচিত্র বিষয়ে সব নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি ভূতত্ত্ব ও খনিজবিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য
[[চিত্র:1779 Pallas and Mentelle Map of the Physical World - Geographicus - World-mentelle-1779.jpg|thumb|left|300px|১৭৭৯ সালে পালাস অঙ্কিত পৃথিবীর ভৌগোলিক মানচিত্র; মানচিত্রে ভূমির সাথে সাথে সাগরতলের পাহাড়সমূহও উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকের মতে সমুদ্রতলবর্তী এসব পাহাড়পর্বত আসলে অনুমানের বশে আঁকা হয়েছে।]]
পালাস অবশেষে সেন্ট পিটার্সবুর্গে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি শিঘ্রীই সম্রাজ্ঞী দ্বিতীয় ক্যাথরিনের প্রিয়পাত্রে পরিণত হন এবং গ্র্যান্ড ডিউক আলেক্সান্ডার আর কন্সটানটাইনকে প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে পড়ানো শুরু করেন। তৎকালীন প্রথিতযশা প্রকৃতিবিদদের সংগ্রহ করা উদ্ভিদের নমুনা থেকে ১৭৮৪ থেকে ১৮১৫ সালের মধ্যে তিনি রচনা করেন ''Flora Rossica''। ''Zoographica Rosso-Asiatica'' (১৮১১-৩১) নামে আরেকটি গ্রন্থ রচনার কাজে হাত দেন তিনি। [[ইয়োহান আন্টন গুল্ডেনস্টাট|ইয়োহান আন্টন গুল্ডেনস্টাটের]] [[ককেশাস পর্বতমালা|ককেশাস পর্বতমালায়]] ভ্রমণকাহিনীগুলো তিনি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি [[মুলোভস্কি অভিযান|মুলোভস্কি অভিযানের]] পরিকল্পনা করেন, কিন্তু [[রুশ-তুর্কি যুদ্ধ|রুশ-তুর্কি যুদ্ধের]] কারণে ১৭৮৭ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিন পরে পালাসের বিশাল সংগ্রহ দুই হাজার রুবলে কিনে নেন। পালাসের দাবি থেকে ৫০০ রুবল বেশিই দেন তিনি। শর্ত থাকে যে মৃত্যু পর্যন্ত এসব নমুনা পালাসের কাছেই থাকবে।
|