রঞ্জক চূর্ণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
Zaheen রঞ্জক পদার্থ কে রঞ্জক চূর্ণ শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: সঠিক পরিভাষার শিরোনামে স্থানান্তর
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
ভাষা কিছু সংশোধন
১ নং লাইন:
[[File:Natural ultramarine pigment.jpg|thumb|গুঁড়ো অবস্থায় প্রাকৃতিক অতিনীল রঞ্জক পদার্থচূর্ণ]]
[[File:Ultramarinepigment.jpg|thumb|কৃত্রিম অতিনীল রঞ্জক পদার্থকেচূর্ণকে রাসায়নিকভাবে প্রাকৃতিক অতিনীল থেকে পৃথক করা যায়]]
 
'''রঞ্জক পদার্থচূর্ণ''' হলো এমন একটি উপাদান যা প্রতিফলিত বা প্রেরিত [[আলো|আলোর]] কোনো কোনো [[তরঙ্গদৈর্ঘ্য]] শোষণ করে তার [[রঙ]] বদলে দেয়। আলোর বিভিন্ন রকম বিকিরণ, যেমন প্রতিপ্রভা (fluorescence) বা অনুপ্রভা (phosphorescence) থেকে এই ভৌত প্রক্রিয়াটি ভিন্ন।
 
অনেক বস্তুই বেছে বেছে আলোর নির্দিষ্ট কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে। কিন্তু মানুষ সেসব বস্তুই রঞ্জক পদার্থচূর্ণ হিসেবে ব্যবহার ও বিকশিত করেছে সেগুলো অন্যান্য বস্তুকেও ঠিকভাবে রঞ্জিত করতে পারে। একটি রঞ্জক পদার্থেচূর্ণে অবশ্যই সেই তীব্র [[টিন্ট|টিন্টিং]] ক্ষমতা থাকতে হবে যা উদ্দীষ্ট বস্তু রঙ করতে প্রয়োজনীয়। আর পরিবেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় টিকে থাকতে হবে।
 
চিত্রকলা ও শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য স্থায়িত্ব ও টেকসইতা দুটি আকাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য। যেসব রঞ্জক পদার্থচূর্ণ দীর্ঘস্থায়ী নয় সেগুলোকে বলে fugitive বা ভঙ্গুর। এগুলো সময়ের সাথে সাথে অথবা কড়া আলোতে রাখলে উজ্জ্বলতা হারায় বা কালচে হয়ে যায়।
 
রঞ্জক পদার্থচূর্ণ ব্যবহার করে পেইন্ট, কালি, প্লাস্টিক, তন্তু, প্রসাধনী, খাদ্য এবং অন্যান্য বিবিধ দ্রব্য রঙ করা হয়। [[ম্যানুফ্যাকচারিং]] এবং [[দৃশ্যকলা|দৃশ্যকলায়]] ব্যবহৃত অধিকাংশ রঞ্জক পদার্থইচূর্ণই শুষ্ক রঙকণিকা (colorant), সাধারণত মিহিভাবে গুঁড়ো করা। এই গুঁড়ো মেশানো হয় তুলনামূলক নিরপেক্ষ বা বর্ণহীন বাইন্ডারের (বা বাহকের) সাথে যা রঞ্জক পদার্থকেচূর্ণকে মিশ্রিত করে এবং রঙ মেখে যায়।
 
নিলম্বনীয় রঞ্জক চূর্ণ (পিগমেন্ট) ও দ্রবণীয় রঞ্জক (ডাই) এর মধ্যে একটি পার্থক্য হলো: রঞ্জক পদার্থচূর্ণ রঙবাহকে অদ্রবণীয় (ফলে মিশ্রণ বা নিলম্বন সৃষ্টি হয় মিশ্রণ), কিন্তু ডাইদ্রবণীয় রঞ্জক হয় তরল বা দ্রবণীয় (ফলে দ্রবণ সৃষ্টি হয় দ্রবণ)। কোনো রঙকণিকা রঞ্জক পদার্থচূর্ণ না ডাইদ্রবণীয় রঙ হিসেবে কাজ করবে তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট বাহকের ওপর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, দ্রবণীয় রঞ্জককে ধাতব লবণের সাথে দ্রবীভূত করে থিতিয়ে নিলম্বনীয়নিলম্বনযোগ্য রঞ্জক চূর্ণ তৈরি করা যায়। এরকম উৎপন্ন রঞ্জক পদার্থকেচূর্ণকে বলে লেক রঞ্জক পদার্থ।চূর্ণ। আর জৈব রঞ্জক (biological pigment) বলতে দ্রাব্যতা নির্বিশেষে সব রঙিন পদার্থকেই বোঝায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://articles.latimes.com/2011/oct/14/science/la-sci-ancient-paint-20111014|শিরোনাম=Artifacts indicate a 100,000-year-old art studio|প্রথমাংশ=Amina|শেষাংশ=Khan|তারিখ=14 October 2011|প্রকাশক=|মাধ্যম=LA Times}}</ref>
 
২০০৬ সালে সারাবিশ্বে ৭.৪ মিলিয়ন টন জৈব, অজৈব ও বিশেষ রঞ্জক পদার্থচূর্ণ বাজারজাত করা হয়েছে। পরিমাণের হিসাবে সর্বাধিক বাজারজাত করেছে এশিয়া, তারপর যথাক্রমে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা। ২০২০ সালের মধ্যে এ থেকে আয় বেড়ে হবে আনুমানিক ৩৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।<ref>[http://www.ceresana.com/en/market-studies/additives/pigments/ Market Study Pigments, 3rd ed., Ceresana, 11/13]</ref> ২০০৯ সালে রঞ্জক পদার্থেরচূর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা ছিল মোটামুটি ২০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, পূর্ববর্তী বছরের প্রায় ১.৫-২% বেশি। সামনের বছরগুলোতে এটি স্থিতিশীল হারে বাড়তে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে রঞ্জক পদার্থেরচূর্ণের বৈশ্বিক বিক্রয়ের অর্থমূল্য হবার কথা ২৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৮ সালে ২৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Market Report: World Pigment Market | প্রকাশক = Acmite Market Intelligence | ইউআরএল = http://www.acmite.com/market-reports/chemicals/world-pigment-market.html }}</ref>
 
== আরো দেখুন ==
* [[দ্রবণীয় রঙ]] (ডাই)
* [[ডাই]]
* [[প্রস্তরশিল্প]]
* [[বিভাজক রঙ]]
৪৯ নং লাইন:
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:রঞ্জক পদার্থচূর্ণ| ]]
[[বিষয়শ্রেণী:রঙ মাধ্যম]]