ফরিদপুর জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
৪১ নং লাইন:
 
== ভৌগোলিক সীমানা ==
আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার, [[ফরিদপুর]] জেলা ৮৯.২৯° পূর্ব হতে ৯০.১১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২৩.১৭° উত্তর হতে ২৩.৪০° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত, উত্তরে [[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী জেলা]] ও [[মানিকগঞ্জ]] জেলা, দক্ষিণে [[গোপালগঞ্জ]] জেলা, পশ্চিমে [[মাগুরা জেলা]] ও [[নড়াইল]] জেলা এবং পূর্বে [[ঢাকা জেলা]], [[মাদারীপুর জেলা]] ও [[মুন্সিগঞ্জ জেলা]] জেলা অবস্থিত।
 
== ইতিহাস ==
ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ-জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারিপুরমাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়। বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও [[শরীয়তপুর জেলা|শরীয়তপুর]] এই পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
 
এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গেরদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রি.)। এলাকার অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো ফতেহাবাদ টাঁকশাল (১৫১৯-৩২ খ্রি.), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রি.), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রি.), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।<ref name="bpedia">[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=ফরিদপুর_জেলা ফরিদপুর জেলা], [[বাংলাপিডিয়া]]।</ref>
 
তৎকালিন ফরিদপুর এর মাদারিপুরমাদারীপুর থেকে [[হাজি শরীয়তুল্লাহ]] [[ফরায়েজী আন্দোলন|ফরায়েজি আন্দোলন]] শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র [[দুদু মিয়া]]র নেতৃত্বে এখানে নীলকর-বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো [[আলফাডাঙা উপজেলা]]র মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। এ জেলার ৫২টি নীল কুঠি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। গড়াই, মধুমতি ও চন্দনা বারাশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।
 
জেলা শহর বর্তমানে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে। ৯টি ওয়ার্ড ৩৫টি মহল্লা নিয়ে জেলা শহর গঠিত। এর আয়াতন ২০.২৩ বর্গ কিলোমিটার।{{cn}}
৮৬ নং লাইন:
 
== অর্থনীতি ==
দেশের প্রধান [[পাট]] ফলনশীল জেলা ফরিদপুরে সুস্বাদু [[ধান]], [[আখ|ইক্ষু]], [[গম]], [[পিঁয়াজ|পেঁয়াজ]], [[সরিষা]],মরিচ, সহ নানা ফসল উৎপন্ন হয়। ফরিদপুরের [[পদ্মা সেতু|পদ্মার]] [[ইলিশ]] জগৎখ্যাত হয়ে আছে আজও।খেজুরের গুড় এই জেলায় প্রচুর উৎপাদন হয়। [[ বৃষ্টি |আকাশ ]] ও উজান থেকে আসা পানির উপযোগিতায় ফরিদপুরে [[কৃষিকার্য|কৃষির]] সম্প্রসারণ হয়েছে অভাবিত। এখনও কৃষিই এখানকার অর্থনীতির প্রাণ। প্রমত্তা [[পদ্মা নদী|পদ্মা]], কোল থেকে [[ভুবনেশ্বর নদ|ভূবনেশ্বর]] ও [[আড়িয়াল খাঁ নদ|আড়িয়াল]] খাঁ, [[কুমার নদী|কুমার]], [[মধুমতি নদী|মধুমতি]], [[গড়াই নদী|গড়াই]], [[চন্দনা-বারাশিয়া নদী|চন্দনা]], [[চন্দনা-বারাশিয়া নদী|বারাশিয়া]] নদী মানুষের হাতে সোনার ফসল ও মাছসহ অনন্য সম্পদ তুলে দিয়েছে।
 
== চিত্তাকর্ষক স্থান ==
১৩৮ নং লাইন:
* [[ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ]], ফরিদপুর সদর
* [[জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম মাদরাসা, ফরিদপুর]],
*সরকারী আইনউদ্দীন কলেজ, মধুখালী <br />
*সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,মধুখালী
* [[ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট]]