অর্থনীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
অ বানান ও অন্যান্য সংশোধন ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত |
||
৭ নং লাইন:
* [[মেইনস্ট্রীম]] ও [[হেটারোডক্স অর্থনীতি]]
আধুনিক
== অর্থনীতির বিভিন্ন সংজ্ঞা ==
১৭ নং লাইন:
[[চিত্র:AdamSmith.jpg|thumb|right|150px| অ্যাডাম স্মিথ,''The Wealth of Nations'' গ্রন্থের লেখক ([[১৭৭৬#March|1776]])]]
উৎপাদন ও বণ্টন আলোচনার দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও অর্থনীতির জনক হিসেবে খ্যাত [[অ্যাডাম স্মিথ]] কর্তৃক ১৭৭৬ খ্রীস্টাব্দে রচিত গ্রন্থ '[[An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations]]' নামক গ্রন্থে
অর্থনীতির সাথে [[উন্নয়ন]] সরাসরি সম্পর্কিত। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে [[নোবেল]] জয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ [[অমর্ত্য সেন]] বলেছেন- জনসাধারণের সক্ষমতার নামই উন্নয়ন।
২৫ নং লাইন:
ব্যষ্টিক অর্থনীতি মূলত [[ব্যক্তি]] এবং [[ফার্ম]] এর অর্থনৈতিক আচরণ নিয়ে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক [[বাজার]], বিরাজমান দুষ্প্রাপ্যতা ও সরকারি নিয়মাবলির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে।
ব্যষ্টিক অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি শাখা যা ব্যক্তি, পরিবার ও ফার্ম কিভাবে বাজারে তাদের বণ্টনকৃত সীমিত সম্পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা নিয়ে আলোচনা করে। বাজার বলতে বোঝায় যেখানে দ্রব্য অথবা সেবাসমূহ কেনা-বেচা করা হয়। দ্রব্য অথবা সেবাসমূহের চাহিদা ও যোগান এইসব সিদ্ধান্ত ও আচরণের উপর কী-ভাবে প্রভাব ফেলে [[ব্যষ্টিক অর্থনীতি]] তা নিরীক্ষা করে। বাজারে অবশ্যই একটি দ্রব্য বিদ্যমান থাকবে। এই [[তত্ত্বে]] প্রতিটি উপাদানকে ক্রেতা সামগ্রিক চাহিদার পরিমাণকে বিবেচনা করে এবং বিক্রেতা সামগ্রিক যোগানের পরিমাণকে বিবেচনা করে। দাম ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে বাজার [[ভারসাম্য]] পৌছে। বৃহৎ দৃষ্টিতে একে চাহিদা এবং যোগানের বিশ্লেষণ বলা হয়। বাজার কাঠামো যেমন পূর্ণ প্রতিযোগিতা এবং একচেটিয়া বাজার আচরণ ও অর্থনৈতিক ইফিসিয়েন্সি এর জন্য বাধাস্বরূপ। সাধারণ [[অনুমিত শর্ত]] থেকে যখন বিশ্লেষণ আরম্ভ হয় এবং বাজারের আন্যান্য আচরণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আংশিক ভারসাম্য বিশ্লেষণ বলা হয়। সাধারণ ভারসাম্য তত্ত্বে বিভিন্ন বাজারের পরিবর্তন এবং সকল বাজারের সামগ্রিক পরিবর্তন এবং ভারসাম্যের বিপরীতে তাদের গতিবিধি ও আন্তঃসম্পর্ক বিবেচনা করা হয়।
== সামষ্টিক অর্থনীতি ==
৩৫ ⟶ ৩২ নং লাইন:
== অর্থনীতি সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্র, অন্যান্য পার্থক্য এবং শ্রেণীবিভাগ ==
ব্যষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কিত সাম্প্রতিক উন্নয়নে আচরণিক অর্থনীতি ও পরীক্ষামূলক অর্থনীতি নামে দুটি শাখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেমন, অর্থনৈতিক ভূগোল, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাধারণ পছন্দ, সাংস্কৃতিক অর্থনীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি।
অন্যভাবে
আবার
'Journal of Economic Literature' এ প্রকাশিত 'JEL classification codes' প্রবন্ধে অর্থনীতির শ্রেণীবিভাগ ও প্রবন্ধ ভিত্তিক অনুসন্ধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং 'The New Palgrave: A Dictionary of Economics' বইটিতে অর্থনীতির বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ ও উপশ্রেণীবিভাগ বিদ্যমান তা উল্লেখ করা হয়েছে।
৬৮ ⟶ ৬৫ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া}}
অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া হচ্ছে অর্থনীতির শাখা যা সামাজিক মালিকানা, পরিচালনা এবং অর্থনৈতিক সম্পদ বণ্টনে পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করে। সমাজের একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া হচ্ছে বিশ্লেষনের একক। আধুনিক পদ্ধতিতে সংগঠনকে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও পুঁজিবাদ
== অর্থব্যবস্থাবিষয়ক অর্থনীতি ==
৯২ ⟶ ৮৯ নং লাইন:
== আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ==
{{মূল নিবন্ধ |আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক সীমান্তসমূহের মধ্যে দ্রব্য ও সেবা প্রবাহ নির্ণয় নিয়ে বিশ্লেষন করে। আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনীতির একটি অংশ যা আন্তর্জাতিক সীমান্তসমূহের মধ্যে মূলধন প্রবাহ ও এক্সচেঞ্জ রেটের উপর ইহা কি প্রভাব ফেলে তা নিয়ে আলোচনা করে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্রব্য, সেবা ও মূলধনের বাণিজ্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বায়ন।
১০৯ ⟶ ১০৬ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ| অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াঃ পরিবেশ অর্থনীতি}}
পরিবেশ অর্থনীতি [[পরিবেশ দূষণ]], উৎসাহ প্রদান বা পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করে। বাস্তবিক পক্ষে উৎপাদন বা ভোগের উপর খারাপ প্রভাব যেমন [[বায়ু দূষণ]] বাজার
== আইন ও অর্থনীতি ==
১২২ ⟶ ১১৯ নং লাইন:
== সরকারী অর্থব্যবস্থা ==
{{মূল নিবন্ধ| সরকারী
সরকারী
==অর্থনৈতিক ধারণাসমূহ==
২০৭ ⟶ ২০৪ নং লাইন:
১৮৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত কিছু তত্ত্বের সমষ্টি হিসেবে ‘নব্য বুনিয়াদী অর্থনীতি’ বা ‘প্রান্তিক অর্থনীতি’ গড়ে উঠে।নব্য বুনিয়াদী অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শালের মাধ্যমে ‘অর্থনীতি’ শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করে, যা পূর্বে ‘রাজনৈতিক অর্থনীতি’ নামে পরিচিত ছিল। নব্য বুনিয়াদী অর্থনীতি বাজার ভারসাম্যে দাম ও পরিমাণের যুগ্ম নির্নায়ক হিসেবে চাহিদা ও যোগানকে প্রক্রিয়া করন করে, যা উৎপাদিত পণ্য শ্রেণীবিন্যাস ও আয়ের বণ্টনকে প্রভাবিত করে। ইহা চাহিদার ক্ষেত্রে মুল্যের প্রান্তিক উপযোগ তত্ত্বের সমর্থনে বুনিয়াদী অর্থনীতি থেকে মুল্যের শ্রম তত্ত্ব এবং যোগানের দিক হতে আরও সাধারণ ব্যয় তত্ত্ব বিশ্লেষন করে।
ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নব্য বুনিয়াদী অর্থনীতি মূনাফা ও ব্যয় নির্ধারণ করে বিশাল অবদান রেখেছে। উদাহরন হিসেবে বলা যায় যে, ব্যক্তিগত চাহিদার ‘ভোগ তত্ত্ব’ কিভাবে দাম এবং আয় পরিমাণগত চাহিদা উপর প্রভাব ফেলে তা পৃথকীকরন করে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইহা তড়িৎ প্রতিফলিত হয় এবং কেন্সীয়ান সামষ্টিক অর্থনীতির সহিৎ নব্য বুনিয়াদী মূলনীতি স্থায়িত্ত্ব হয়।
নব্য বুনিয়াদী অর্থনীতি কখনও কখনও ধর্মীয়
== কেন্সীয় অর্থনীতি ==
{{মূল | কেন্সীয়ান অর্থনীতি}}
কেন্সীয় অর্থনীতি [[জন মেনার্ড কেইন্স]]-এর, বিশেষ করে তার বই ‘The General Theory of Employment, Interest and Money’ (1936), এর মাধ্যমে সৃষ্ট, যা [[১৯৩০-এর অর্থনৈতিক মহামন্দা]]-র প্রেক্ষাপটে সামষ্টিক
কেইন্সিয়ান অর্থনীতির দুইটি সাফল্য উল্লেখযোগ্য। কেইন্সিয়ান-পরবর্তী অর্থনীতিতে সামষ্টিক অর্থনীতির চলক সমূহ ও প্রক্রিয়া সমন্বয়ের উপর জোড় দেওয়া হয়। তাদের মডেল গুলোর জন্য ব্যষ্টিক কাঠামোর বিশ্লেষনে সরল সর্বোচ্চকরন মডেল থেকে বাস্তব জীবন অভ্যাস বেশি মূলভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। ইহা সাধারণত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও জন রবিনসনের কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত। নব্য কেইন্সিয়ান অর্থনীতিও কেইন্সিয়ান প্রথা উন্নয়নের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই গ্রুপের গবেষক গণ ব্যষ্টিক কাঠামোতে ব্যবহৃত মডেল সমূহ ও আচরণ উন্নয়নে অন্য অর্থনীতিবিদদের সহিত প্রচেষ্টা ভাগাভাগি করতেন কিন্তু আদর্শ কেইন্সিয়ান প্রতিচ্ছবির নিম্ন প্রতিফলন যেমন দাম ও শ্রমিকের বেতনের অস্থিতিস্থাপকতা ইত্যাদির কারণে তা এগোতে পারেনি। এগুলো স্বাভাবিকভাবে তৈরি করা হয় মডেলসমূহের কেন্দ্রীয় বৈশিষ্টের জন্য যতটা না কেইন্সিয়ান-অভিব্যক্তির জন্য সাধারণ অণুমিত শর্তের জন্য।
২২৯ ⟶ ২২৬ নং লাইন:
সম্পদকে বৃহৎ পরিসরে সংজ্ঞায়িত করার সাথে [[ডেভিড হিউম]] ও [[এডাম স্মিথ]] কর্মের রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রাথমিক আলোচনা সম্পর্কযুক্ত। হিউম যুক্তি দেন যে, উৎপাদন বৃদ্ধি ব্যতীত অতিরিক্ত স্বর্ণ মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। স্মিথ অবশ্য প্রকৃত সম্পদ বলতে বোঝান যে, অতিরিক্ত স্বর্ণ ও রৌপ্য নয়, সমাজে শ্রম ও ভূমির বার্ষিক উৎপাদনই সম্পদ।
[[জন স্টুয়ার্ট মিল]]
সম্পদকে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে উৎপাদন ও ভোগের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই গুরুত্বারোপকে সমালোচকরা মানুষকে নেপথ্য ভুমিকায় রেখে সম্পদের উপর বেশি আলোকপাত করা হয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, [[জন রাস্কিন]] রাজনৈতিক
== কল্যাণ সংজ্ঞা ==
২৪২ ⟶ ২৩৯ নং লাইন:
সামাজিক বিজ্ঞান হচ্ছে পর্যবেক্ষণমুলক বিজ্ঞান বা কখনও বিজ্ঞান, ইহা বিংশ শতাব্দীর একটি বিতর্কের বিষয়। কিছু দার্শনিক ও বিজ্ঞানী বিশেষ করে কার্ল পপ্পার ঘোষণা করেন যে, পর্যবেক্ষণমূলক অণুসিদ্ধান্ত, অণুপাত বা তত্ত্বকে বৈজ্ঞানিক বলা যাবেনা যতক্ষন ইহা পর্যবেক্ষণে প্রত্যাখান, মিথ্যে প্রমাণিত হবেনা। সমালোচনা কারীরা অভিযোগ করেন যে, অর্থনীতি সবসময় সঠিক ফলাফল ধার্য করতে পারেনা, কিন্তু অর্থনীতিবিদগণ নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষার অনেক উদাহরণ দেন যে এগুলো পরীক্ষাগার ছাড়াই সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
অর্থনীতিতে তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা সামাজিক আচরণের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কযুক্ত এবং অর্থনীতি অ-দৈহিক যুক্তির কারণে প্রাকৃতিক আইন বা [[চিরন্তন সত্য]] নয়। এটাই
গণ কঠিন পরিস্থিতির বর্তমানে ই ঘটতে পারে তারই উত্তর দেন, ইকোনোমেট্রিক্স এর মত পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি এবং বাস্তব জগতের উপাত্ত ব্যবহার করে অণুসিদ্ধান্ত পরীক্ষা করেননা। পরীক্ষামুলক অর্থনীতি গবেষণাগার কাঠামোয় অর্থনৈতিক তত্ত্ব সমুহের অন্তত কিছু ভবিষ্যদ্বাণী পরীক্ষার প্রচেষ্টা করে- যা [[ভেরন স্মিথ]] ও [[ডানিয়েল কানমান]]কে ২০০২ সালে [[Bank of Sweden Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel]] পুরস্কার এনে দেয়।
২৪৯ ⟶ ২৪৬ নং লাইন:
[[নোবেল প্রাইজ]] বিজয়ী ও [[দার্শনিক]] [[ফ্রেডরিক হায়েক]] বলেন যে, অর্থনীতি হচ্ছে একটি সামাজিক বিজ্ঞান, কিন্তু যুক্তি দেওয়া হচ্ছে দৈহিক বিজ্ঞানের মত পদ্ধতি অর্থনীতিতে ব্যবহার করা হলে তা ভুল ফলাফল বয়ে আনবে এবং একে অবৈজ্ঞানিক মনে করা হয় যখন যান্ত্রিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের চিন্তাধারার আচরণের সরল বিষয় গঠিত হয়।
কৌতুক করে
== অণুমিত শর্তের সমালোচনা ==
|