রবার্ট ক্লাইভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎পলাশীর যুদ্ধ: বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সংশোধন
৭৬ নং লাইন:
 
==চরিত্র==
রবার্ট ক্লাইভ বুদ্ধিমান, আবেগপ্রবণ এবং এক দুর্ধর্ষ ইচ্ছাশক্তির অধিকারী ছিলেন। তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাঁকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন সাধারনসাধারণ করণিক থেকে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্থান দিয়েছে। তিনি ছিলেন দাম্ভিক ও প্রচণ্ড অহমিকাপূর্ণ। যা সত্য বলে মনে করতেন সমস্ত রকম বাধা-বিঘ্ন সত্বেও তাই করতেন। তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে তাঁর নীতিজ্ঞানের বালাই ছিল না। মিরজাফরের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করতে তাঁর বাধেনি। উমিচাঁদকে প্রতারণা করতে তিনি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। বরং মনে করতেন, যে যেমন লোক তার সঙ্গে সে রকম ব্যবহার করতে হবে। তাঁকে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়তো একটু বেশি বলা হবে। কিন্তু তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অগ্রদূত নিঃসন্দেহে বলা যায়। পলাশি যুদ্ধ জয়ের কৃতিত্ব তাঁর নয়, মিরজাফরের। তা তিনি নিজেও জানতেন। ঠিকই বলেছিলেন মিরজাফরকে, “এ জয় তো আমার নয়, এ জয় আপনার।” তা সত্ত্বেও তিনি যে একজন প্রবল ইচ্ছাশক্তি-সম্পন্ন দক্ষ সেনাপতি এবং আত্মনির্ভরশীল পুরুষ তাতে সন্দেহ নেই। তিনি সাম্রাজ্য সূচনা করেছেন ঠিকই, আবার তিনি বাংলা লুণ্ঠনকারী, নানা সৎ ও অসৎ উপায়ে ঘুষ নিয়ে, ছলনা করে, ভয় দেখিয়ে এদেশ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে গিয়ে ইংলন্ডের ব্যারন অফ্ পলাশি হিসাবে গন্য হয়েছেন। ইংলন্ডে তিনি সুখে থাকেননি। সেখানকার ন্যায়পরায়ণ সুধী সমাজ ভারতবর্ষে তাঁর কৃতকর্মের মূল্যায়ন করতে বসেছিলেন। এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অন্যায়-ভাবে অর্থ উপার্জন, লুণ্ঠন ও অন্যায় প্রজাপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে কম চেষ্টা করেননি। তবু জীবন সায়াহ্নে চারিদিকের নিন্দা ও বিরোধিতায় তিনি নিজেকে অসহায় ভেবে আত্মহত্যা করে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন।
 
==তথ্যসূত্র==