২০২১-এ বাংলাদেশে মোদী-বিরোধী বিক্ষোভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Meena Islam (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৪ নং লাইন:
 
== প্রেক্ষাপট ==
[[বাংলাদেশ]] ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে]] [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] নিকট হতে স্বাধীনতা অর্জন করে। আর [[বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র|যুদ্ধের ঘোষণা তথা স্বাধীনতার ডাক]] দেওয়া হয় একই বছর ২৬ মার্চে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের এই স্মৃৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে [[বাংলাদেশ সরকার]] [[বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী|স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী]] নামে বছরব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব যা ''[[মুজিব চিরন্তন]]'' নামে খ্যাত; মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃৃক আয়োজিত বিশেষ এই অনুষ্ঠানে পাঁচটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানদের নিমন্ত্রণ করা হয়। [[মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি]] [[ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ]], [[শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী]] [[মাহিন্দা রাজাপাকসা]], [[ভুটানের প্রধানমন্ত্রী]] [[লোটে শেরিং]] এবং [[নেপালের রাষ্ট্রপতি]] [[বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী]]র আগমনের পর ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানের শেষ ও চূড়ান্ত দিনে [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী]] [[নরেন্দ্র মোদী]]র আগমনের কথা ছিল। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম ও এর সমর্থকেরা নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধীতা করে আসছিল। মোদী সরকারের হিন্দুপন্থী মনোভাব এবং ভারতের মুসলমানদের প্রতি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো মোদীর আগমনকে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য অপমানজনক মনে করে। আবার সম্প্রতি ভারতের মোদী সরকার পবিত্র [[কুরআন]] থেকে ২৬ টি আয়াতে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ইঙ্গিত রয়েছে বলে উল্লেখ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছে। মূলত এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ২০২০ সালেই। কারণ ''মুজিব চিরন্তন'' অনুষ্ঠানটি ২০২০ সালেই হওয়ার কথা ছিল এবং নরেন্দ্র মোদীও সেইবারই বাংলাদেশে আসতেন। কিন্তু [[বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী|বৈশ্বিক মহামারীর কারণে]] সেইবারের অনুষ্ঠান ও নরেন্দ্র মোদীসহ অন্যান্য বিদেশী অতিথিদের আগমন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী বছর ১৭ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠানের সময়সূচী ধার্য করা হয়। ২০২০ সাল থেকেই হেফাজতে ইসলাম ও [[ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ]] সল্প পরিসরে মোদী সফরের বিরোধীতা আন্দোলন করে আসছিল। কিন্তু পরে সফর বাতিল হয়ে গেলে আন্দোলনটি চরম রূপে পৌঁছায়নি। কিন্তু ২০২১ এর ২৬ মার্চ সফর চূড়ান্ত হয়ে গেলে এই বিতর্ক পুনরায় শুরু হয়। ১৫ মার্চ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব [[মামুনুল হক]] নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ হরতালের ঘোষণা দিলেও এই ঘোষণা শেষ পর্যন্ত আর বাস্তবায়িত হয় নি। ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদীর আগমনের দিন হর‍তাল পালিত হয়। নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ ত্যাগের পর ২৮ তারিখ পুনরায় হরতালের ডাক দেয়া হয়।
 
=== নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের কারণ ===