এনাটমি জাদুঘর, সিভাসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৫৫ নং লাইন:
== সংগ্রহ ==
[[File:Department of Anatomy and Histology, CVASU.jpg|thumb|150px|বর্তমানে জাদুঘরটি দেখাশুনা করছে এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগ]]
এই জাদুঘরে প্রধাণত রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রাণির [[কঙ্কাল|কঙ্কালতন্ত্র]] এবং স্টাফ করা দেহ। স্টাফ করা দেহ বলতে বোঝায় কোন প্রাণীর চামড়া ছাড়িয়ে সেটাকে রাসায়নিকভাবে পরিষ্কার করে ভেতরে তুলা বা প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি দিয়ে সেই প্রাণীটির অবয়ব তৈরি করে রাখা। প্রাচীন মিশরিয়রা এভাবে বিভিন্ন প্রাণী এমনকি মানুষের দেহকেও স্টাফ করে রাখতো, অনেকটা [[মমি]] তৈরি করার মতো। এই জাদুঘরে স্টাফ করা প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে [[রাজহাঁস|রাজহংসী]], [[হনুমান]], [[ছাগল]], [[বিড়াল]], [[গুই সাপ|গুইসাপ]], [[বানর]], [[মোরগ]], [[কবুতর]], [[কাঠঠোকরা]], [[দোয়েল পাখি|দোয়েল]], [[মাছরাঙ্গা|মাছরাঙা]], [[খরগোশ]], [[গিনিপিগ]], [[টিকটিকি]]। এছাড়াও আছে কিছু মডেল। যেমন [[মানুষ]], [[গরু]], [[ছাগল]], [[শূকর]] ও [[খরগোশ|খরগোশের]] [[ডিএনএ]], [[ক্রোমোজোম]], [[মস্তিষ্ক]], [[চোখ]], [[হৃৎপিণ্ড]], [[জরায়ু]], [[ফুসফুস]], [[কিডনি]], [[বক্ষপিঞ্জর|বক্ষ]]<nowiki/>সহ ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মডেল। এইসব উপাদান ছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রাণীদের তন্ত্রচিত্রের ছবি টানানো আছে। প্রাণীবিজ্ঞানে অবদান রাখা বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের ছবিও এখানে আছে।<ref name="মেডি ভয়েস"></ref> জাদুঘরটির অন্যতম আকর্ষণ সংরক্ষিত কঙ্গাল। এখানে আছে মানুষ, [[হাতি]], [[উট]], [[কুমির]], [[অজগর]], গরু, ছাগল, [[হরিণ]], [[ঘোড়া]], [[ভেড়া]], বানর, শূকর, বিড়াল, কুকুর, বাদুর, গিনিপিগ, খরগোশ, হাঁস, কচ্ছপ, মুরগি, কবুতর ও কোয়েলসহ বিভিন্ন প্রাণীর কঙ্গাল। এখানে রাখা অজগরের কঙ্গালটি দৈর্ঘ্যে ১৩ ফুট লম্বা। আর হাতির কঙ্গালটি আনা হয়েছে [[ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক]] থেকে।<ref name="আলো">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=প্রাণিসেবায় গবেষণার আলো |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/education/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=প্রথম আলো |তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০১৭}}</ref> কঙ্গালগুলোর মধ্যে বিশেষ বা অনন্য কিছু কঙ্গাল রয়েছে। যেমন এশিয়ার হাতি, উঠ, নারী হরিণ, ভারতীয় রক পাইথন ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরণের কঙ্গাল এবং হাড় সংগ্রহের ক্ষেত্রে কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগের প্রফেসর সুব্রত কুমার শীল। সিভাসুর ক্যাম্পাসেই অবস্থিত এস.এ. কাদেরী হাসপাতাল থেকেও অনেক হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রাণী মারা যাওয়ার পরে সেখান থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।<ref name="নেশন">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সিভাসুতে স্থাপিত হল দেশের প্রথম এনাটমি জাদুঘর |ইউআরএল=http://m.thedailynewnation.com/news/200781/countrys-first-anatomy-museum-established-in-cvasu |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০২০ |প্রকাশক=দ্যা নিউ নেশন |তারিখ=২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=মার্চ ২০২১ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ২০২১ সালে এই জাদুঘরে নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে জিরাফের কংকাল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় জিরাফটি মারা যায়। ছয় মাস পর কবর থেকে তুলে জিরাফটির কংকালগুলোকে সংরক্ষণ করা হয়। পুরো জিরাফটির অবয়সঅবয়ব তৈরি করতে প্রায় দুই বছরের মতো সময় লেগেছে। এবং লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পৃথিবীর কোথাও জিরাফের কংকাল নেই। সিভাসুতে তৃতীয় কংকাল হিসেবে জিরাফের কংকালটি সংযোজিত হল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=হাঁ করে আছে সাপ, মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে জিরাফ |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/daily-chittagong/news/bd/844763.details |সংগ্রহের-তারিখ=৩ এপ্রিল ২০২১ |প্রকাশক=বিডিনিউজ ২৪ |তারিখ=৫ মার্চ ২০২১}}</ref>
{| class="wikitable"
|+ একনজরে সিভাসু এনাটমি জাদুঘরের সংগ্রহ