বুধ (দেবতা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎বুধ (দেবতা): বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
১৮ নং লাইন:
==পরিচিতি==
বুধ'কে ভারতীয় গ্রন্থে একজন দেবতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায়শই তাকে [[চন্দ্র (দেবতা)|চন্দ্র]] এবং [[তারকা (দেবী)|তারার]]([[বৃহস্পতি (দেবতা)|বৃহস্পতির]] পত্নী) পুত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এবং তিনি বিকল্পভাবে দেবী [[রোহিণী (নক্ষত্র)|রোহিণী]] এবং [[চন্দ্র (দেবতা)|চন্দ্রদেবের]] পুত্র হিসেবে বর্ণিত হন।<ref name=terrymahoney2/> তার শরীর কিয়দ পিঙ্গল বর্ণের কিংবা সবুজাভ, পিঙ্গল পোশাক পরিহিত। আগুন ও বাতাসের তৈরি তার রথ টেনে নেয় আটটি বাতাসের তৈরি ঘোড়া।<ref name="Dalal2010p88"/>
কিছু অন্য গ্রন্থানুযায়ী, দেবগুরু বৃহস্পতির বহু শিষ্য ছিল। চন্দ্রও ছিলেন ওনার এক শিষ্য। চন্দ্রকে তো সুন্দর মানা হতই বরং সৌন্দর্যের অপর নাম চন্দ্র ছিল। এদিকে দেবাচার্য বৃহস্পতির স্ত্রী তারা ছিলেন পরম সৌন্দর্যের অধিকারিণী। এই দেখে তারাদেবী চন্দ্রের প্রতি মোহিতা হন এবং ওনার স্ত্রী হয়ে যান। বৃহস্পতির বহু বোঝানোর সত্ত্বেও তিনি তার কথা শুনতে রাজি হননা। এই দেখে বৃহস্পতি ও চন্দ্রের মধ্যে মহামারিমহামারী যুদ্ধের সূচনা ঘটে যাকে তারকাম্যং যুদ্ধও বলে। এবার শত্রুর শত্রুকে মিত্র ভেবে অসুরগুরু শুক্রাচার্য চন্দ্রের পক্ষে হয়ে যান। যেহেতু বৃহস্পতি ছিলেন দেবগুরু, তাই সমগ্র দেবতা ওনারই পক্ষই স্বীকার করলেন। যুদ্ধটির ফলে নেমে আসে প্রলয়। এবার সৃষ্টির রচয়িতা ব্রহ্মা আর চুপ থাকতে পারলেন না। উনি হস্তক্ষেপ করে তারাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে যেই শিশুটির তারা জন্ম দিয়েছেন, সে কার পুত্র — চন্দ্রের না বৃহস্পতির ? বহু জিজ্ঞাসা করার পর তারাদেবী স্বীকার করলেন যে এই শিশুটি চন্দ্রের পুত্র। চন্দ্র প্রসন্ন হয়ে শিশুটির নাম রাখলেন বুধ। বুধের গাম্ভীর্যপূর্ণ বুদ্ধির জন্য এনার এই নাম। পরবর্তীকালে চন্দ্রদেব বুধের দায়িত্ব সঁপে দেন ওনার প্রিয় পত্নী রোহিণীকে। তাই বুধদেবকে রৌহিণেয়ও বলা হয়।
বুধদেব পীতবস্ত্র ধারণ করেন এবং ওনাকে বুদ্ধিদাতা ও গন্ধর্বদের প্রণেতাও মানা হয়। সোম অর্থাৎ চন্দ্রের পুত্র বলে বুধের অপর নাম সৌম্য।
শ্রীবুধের বাহন বহু চিত্রে সিংহ দেখানো হয়েছে।