আফগানিস্তানের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
VolkovBot (আলোচনা | অবদান)
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
৮ নং লাইন:
 
===ইসলামী পর্ব===
খ্রিস্টীয় [[৭ম শতক|৭ম শতাব্দীতে]] [[আরব]] সৈন্যরা আফগানিস্তানে নতুন ধর্ম [[ইসলাম]] নিয়ে আসে। পশ্চিমের [[হেরাতহেরত প্রদেশ|হেরত]] ও [[সিস্তানসিস্তন প্রদেশ]] আরবদের নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু আরব সৈন্য চলে যাওয়া মাত্রই সেখানকার জনগণ তাদের পুরনো ধর্মে ফেরত যায়। [[১০ম শতক|১০ম শতকে]] বর্তমান [[উজবেকিস্তান|উজবেকিস্তানের]] [[বুখারা]] থেকে [[সামানিদ]] নামের মুসলিম শাসকবংশ আফগান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। এক সামানিদ [[গজনী|গজনীতে]] [[গজনবী রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠা করেন। গজনীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা [[মাহমুদ]] [[৯৯৮]] থেকে [[১০৩০]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ এলাকা শাসন করেন এবং তাঁর সময়েই সমগ্র আফগানিস্তানে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। গজনী সাহিত্য ও শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হয়।
 
মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনীর প্রভাব হ্রাস পেতে থাকে এবং [[১২শ শতক|১২শ শতকে]] পশ্চিম-মধ্য আফগানিস্তানের [[ঘুর]] শহরে [[ঘুরিদ রাজ্য]] প্রতিষ্ঠিত হয়। ঘুরিদরা আবার [[১৩শ শতক|১৩শ শতকে]] মধ্য এশিয়ার [[খোয়ারিজমি শাহ|খোয়ারিজমি শাহদের]] কাছে পরাজিত হন। [[১২২০]] সালে [[মঙ্গোল]] সেনাপতি [[চেঙ্গিস খান]] এদের সবাইকে পরাজিত করে দেশটির অশেষ ক্ষতিসাধন করেন।
১৪ নং লাইন:
[[১৪শ শতক|১৪শ শতাব্দীর]] শেষে মধ্য এশীয় সেনাপতি [[তৈমুর লং]] আফগানিস্তান জয় করেন ও ভারতে অগ্রসর হন। তাঁর সন্তান ও পৌত্রেরা তাঁর সাম্রাজ্যের পুরোটা ধরে রাখতে পারেনি, তবে তারা বর্তমান আফগানিস্তানের অধিকাংশ হেরাত থেকে শাসন করতে সক্ষম হয়।
 
ঘুরিদ থেকে তিমুরীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলে এখানে ইসলামী স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে। এসময় তৈরি বহু মসজিদ ও মিনার আজও [[হেরাত]], [[গজনী]] ও [[মাজার-ই-শরিফমাজরে শরীফ|মাজার-ই-শরিফেমাজরে শরীফে]] দাঁড়িয়ে আছে। হেরাতে [[১৫শ শতক|১৫শ শতকে]] ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারার বিকাশ ঘটে।
 
[[জহিরুদ্দীন মুহম্মদ বাবর]] ছিলেন মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর আর বাবার দিক থেকে তৈমুর লঙের বংশধর। তিনি [[১৫০৪]] সালে [[কাবুল]] দখল করেন এবং তারপর [[ভারত|ভারতে]] গিয়ে [[মুঘল সাম্রাজ্য]] স্থাপন করেন।