ত্রিপুরসুন্দরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন (By FindAndReplace)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
থাকে। মহাদেব তার তপস‍্যায় তুষ্ট হয়ে বর প্রার্থনা করতে বলেন। সে তখন বর প্রার্থনা করে যে, তার প্রতিদ্বন্দীর অস্ত্রের আঘাতে সে যেন আবদ্ধ না হয় এবং সে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর অর্ধ বল হরণ করে নিজের বল বৃদ্ধি করতে পারে। মহাদেব তাঁকে বরদান করেন এবং সাথে ষাট হাজার বছর রাজত্ব করার বর দেন। মহাদেব তখন প্রস্থান করলেন। সে বিস্মিত ও শঙ্কিত হল। পরে সব ভুলে গেল। ব্রহ্মা সকল কিছুর সাক্ষী ছিলেন। তিনি হতাশ হন এবং তাকে ভণ্ড ভণ্ড বলতে লাগলেন।কারণ, সে ধর্মচ‍্যুত হয়েছিল। তার মধ‍্যে আসুরিক প্রবৃত্তি দেখা দেয়। তাই তার নাম হয় ভণ্ডাসুর। কামদেবের অবশেষ ভস্ম থেকে তার দুই ভাই বিশুক্র ও বিশঙ্গের জন্ম হয়। পড়ে থাকা ভস্ম তিনশ' অক্ষৌহিণী সেনায় পরিণত হয়। শুক্রাচার্য সবকিছু শুনে তাদের গুরুর দ্বায়িত্ব পালন করেন।তিনি দৈত‍্যপ্রকৌশলী ময়কে মহেন্দ্র পর্বতের উপর এক পুরী নির্মাণ করতে বলেন। যার নাম হয় শোণ‍্যক পুরী। শুক্রাচার্য প্রতি ঘরে নিয়মিত যজ্ঞানুষ্ঠানের, বেদাধ‍্যয়ন ও তপস‍্যার পরামর্শ দেন।তিনি ভণ্ডাসুরকে শোণ‍্যক পুরের রাজা,বিশুক্র ও বিশঙ্গকে যুবরাজ পদে অভিষিক্ত করেন। ভণ্ডাসুরের সন্মোহিনী,কুমুদিনী,চিত্রাঙ্গী ও সুন্দরী নামে চারজন স্ত্রী ছিলেন। ভণ্ডাসুর তাদের থেকে ত্রিশজন পুত্র প্রাপ্ত হন।
 
একবার ভণ্ডাসুর তার ভাই ও অন‍্যান‍্য রাক্ষসদের নিয়ে বায়ুরূপ নিয়ে ত্রিলোকের সকল স্বর্গের দেবতা, মর্ত‍্যের মানুষ ও পাতালের নাগেদের দেহে প্রবেশ করে তাদের দেহ থেকে বীর্য, রস সহ অন‍্যান‍্য তরল পদার্থ শোষণ করে ও তাদের রূপ হরণ করে কুরূপ, নপুংসক ও শক্তিহীন করে তোলেন। তাদের মধ‍্যে আর একে অপরের প্রতি প্রেমভাব রইল না। তারা তখন ব্রহ্মাকে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে গেলেন। বিষ্ণু ছিলেন যোগনিদ্রায় মগ্ন। সেই সময় ভন্ড অসুর ইন্দ্রানী শচী কে বলপূর্বক হরণ করে সম্ভোগ করতে চাইলে, শচী কৈলাসে পালিয়ে আসেন, ও মা পার্বতীর কাছে আশ্রয় চান দেবী পার্বতী তাকে অভয় দেন যে তিনি থাকতে তার কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, সহস্র সৈন্য নিয়ে ভন্ড অসুর আক্রমনআক্রমণ করে কৈলাস,লীলা ছলে মহাদেব অন্তর্নিহিত হলেন, দেবী পার্বতী ও চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন, তখন সকল দেবতাগণ দেবীকে স্তুতি করলেন বললেন ' হে দেবী আপনিই দুর্গা ,কালী , চণ্ডিকা , মহামায়া, আদ্যাশক্তি হে জগতজননী রক্ষা করুন মোদের' দেবী পার্বতী ক্রমশ তার উগ্র রূপে প্রকাশ পেলেন, দেবীর সঙ্গে অসুর সেনার ভীষণ যুদ্ধ শুরু হলো। কিন্তু ভন্ড তো শিবের কাছে বর প্রাপ্ত তাই ব্রহ্মা দেবীকে যুদ্ধ স্থগিত করার অনুরোধ জানালেন, দেবাদিদেব মহাদেব প্রকট হলেন ও ভন্ড অসুর কে কৈলাশ থেকে বিতাড়িত করলেন, নিদ্রা ভঙ্গে বিষ্ণু বিধান দিলেন একমাত্র মহাশক্তি মহামায়া পার্বতী পারেন অসুর বধ করতে, তবে তার গৃহিণী রূপ নয় তাকে তার মহাশক্তিশলী রূপ ধারণ করতে হবে, বিষ্ণুর বিধান মত সকল দেবতাগণ ও ব্রহ্মা, বিষ্ণু , শিব মর্তে গিয়ে দেবী পার্বতীর আরাধনা শুরু করলেন , মর্তের সেই স্থানটি ছিল বর্তমানের ত্রিপুরা রাজ্য যেখানে সতী রূপে দেবীর অঙ্গুলী পতিত হয়েছিল, অবশেষে দেবতাগণ এর অনুরোধে যজ্ঞের চিদাগ্নী থেকে দেবী পার্বতী, ললিতা ত্রিপুরা সুন্দরী রূপে আবির্ভূত হন, দেবীর বুদ্ধি হতে প্রকাশিতা হন দেবী মন্ত্রীনাথা শ‍্যামলা ও অহং থেকে প্রকাশিতা হন দন্ডীনাথা বারাহী , একে একে দেবী পার্বতীর দেহ থেকে তার সকল শক্তি সমভূতা দেবী তথা চণ্ডী, কালী, তারা, বগলামুখি, কালরাত্রি দেবীর বেরিয়ে আসেন, পরে ভীষণ যুদ্ধে দেবী পার্বতী , ভন্ড অসুর কে বধ করেন, যেইখানে সতী রূপে দেবীর অঙ্গুলী পতিত হয় সেইখানেই দেবী পার্বতী ,ললিতা ত্রিপুরা সুন্দরী রূপে ভন্ড অসুর বধ করেন। অন্য মতে পাওয়া যায় একবার শিব, পার্বতী কে কৃষ্ণ বর্ণা বলার কারণে দেবী তার প্রতি রুষ্ট হন ও কৈলাস ত্যাগ করে পরে তপস্যার মাধ্যমে তিনি নিজের শ্বেত গাত্রবর্ন ফিরে পান, ত্রিলোকের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী হওয়ার জন্য দেবী পার্বতীর নাম হলো ত্রিপুরা সুন্দরী।
 
== সাহিত্যে ত্রিপুরসুন্দরী ==