শিবচন্দ্র দেব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
৪৯ নং লাইন:
 
==স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার==
হিন্দুকলেজে পড়ার সময় থেকেই তিনি স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন৷ ১৮২৬ সালে হুগলী জেলার গোপালনগরের বৈদ্যনাথ ঘোষের কন্যার সঙ্গে তার বিবাহ হওয়ার পর তিনি তার বালিকা পত্নীকে বাংলা লেখাতে ও পড়াতে শুরু করেন৷ প্রৌঢ়াবস্থাতেও তার উৎসাহ মন্দীভূত হয় নি৷ যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই পন্ডিতপণ্ডিত নিয়োগ করে নিজ কন্যাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন৷ মহাত্মা বেথুন যখন কলকাতায় তার সুবিখ্যাত বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তখন তিনি দলপতিদের বিরোধিতা সত্ত্বেও তার এক কন্যাকে সেখানে ভর্তি করে দেন৷ নিজ বাসগ্রামে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সরকারকে প্রস্তাব দেন৷ যদি বালিকা বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য সরকার থেকে ৫০০ টাকা দেয়, তবে তিনি নিজে আরও ৫০০ টাকা দিতে পারেন এবং বিদ্যালয়ের ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকার মাসিক ৪৫ টাকা দিলে তিনি আরও ১৫ টাকা চাঁদা তুলতে পারেন৷ অনেক লেখালেখির পর সরকার এই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেন৷
 
শিবচন্দ্র দেব এতে নিরুদ্যম না হয়ে নিজ চেষ্টায়, নিজ অর্থে, নিজ ভবনে ১৮৬০ সালে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন৷ পরে তারই প্রদত্ত জমিতে বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য গৃহ নির্মাণ করেন৷ শুধু তাই নয়, ১৮৬২ সালে শিক্ষিত নারীদের ব্যবহারের জন্য ''শিশুপালন'' নামে গ্রন্থ রচনা করেন৷ পরে ১৮৬৭ সালে ''আধ্যাত্মবিজ্ঞান'' নামে প্রেততত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন৷