রোমান পুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
৪০ নং লাইন:
 
== ধর্ম ও পুরাণ ==
ঐশ্বরিক আখ্যান রোমানদের তুলনায় গ্রিক ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, রোমানদের কাছে অনুষ্ঠান এবং অর্চনা ছিল প্রধান। রোমানদের ধর্ম [[ধর্মগ্রন্থ]] এবং নবী কেন্দ্রিক ছিলো না, যাজকদের সাহিত্য ছিলো প্রথমদিককার লাতিন গদ্যের লিখিত রূপ।<ref>Moses Hadas, ''A History of Latin Literature'' (Columbia University Press, 1952), p. 15 [https://books.google.com/books?id=QnvOnY6ydngC&pg=PA15&dq=%22commentarii+pontificum%22&lr=&as_drrb_is=b&as_minm_is=0&as_miny_is=1932&as_maxm_is=0&as_maxy_is=2010&num=100&as_brr=3&cd=9#v=onepage&q=%22commentarii%20pontificum%22&f=false online.]</ref> কলেজ অভ পন্টিফস এবং অগার্সের বই ''(লাইব্রি)'' এবং বর্ণনা ''(commentarii)'' তে আছে ধর্মীয় পদ্ধতি, প্রার্থণা, বিধান এবং ধর্মীয় আইনের উপর মতামত।.<ref>C.O. Brink, ''Horace on Poetry. ''</ref> যদিও কমপক্ষে এই সংরক্ষিত তথ্যের কিছু রোমান সিনেটের জন্য উপলব্ধ ছিলো, এটা ছিলো ''occultum genus litterarum''<ref>Cicero, ''De domo sua'' 138.</ref>। তবে কিছু সাহিত্য ছিলো গোপনীয় যাতে শুধুমাত্র পুরোহিতদের প্রবেশাধিকার ছিল।<ref>Jerzy Linderski, "The ''libri reconditi''," ''Harvard Studies in Classical Philology'' 89 (1985) 207–234.</ref> বিশ্ব ইতিহাস সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বানী এবং রোমের ভাগ্য ইতিহাসের ঝামেলাপূর্ণ অধ্যায়ে সৌভাগ্যক্রমে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, নেবুলাস সিবেল্লিনের বইয়ে সহসা আবিষ্কার, যা অনুসারে ৬ষ্ঠ খ্রিস্টপূর্বাব্দে টারকুইন দ্যা প্রাউড কুমায়েন সিবেলের কাছ থেকে কিংবদন্তী কিনে নেন। শাস্ত্রীয় এবং খ্রিস্টান লেখকদের মারফৎ জানা যায় ১ম খ্রিস্টপূর্বাব্দের পন্ডিতপণ্ডিত ভাররো'র হারিয়ে যাওয়া ধর্ম সংক্রান্ত কাজে প্রাচীন রোমান ধর্মের কিছু তথ্য সংরক্ষিত ছিলো।
 
[[চিত্র:Arte romana, triade capitolina, 160-180 dc (guidonia montecelio, museo civico archeologico) 01.jpg|বাম|থাম্ব|ক্যাপিটলিন ত্রয়ী]]
৪৮ নং লাইন:
দেবতা স্বতন্ত্রভাবে দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারিক প্রয়োজ়নের প্রতিনিধিত্ব করতেন এবং তারা প্রার্থনা এবং অর্ঘের দাবীদার ছিলেন। প্রথম দিককার দেবতাদের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ দেবতা ছিলেন বিভিন্ন কর্মকান্ডে তার নাম উঠে এসেছে। প্রাচীন পূজা অর্চনায় চাষ বা বীজ বপন ইত্যাদির জন্য আলাদা দেবতা ছিলো। সব কাজের জন্য আলাদা আলাদা দেব-দেবী ছিলেন। প্রাচীন রোমে তুতেলারী দেবদেবী বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
 
একইভাবে জানুস এবং ভেস্টা দ্বার রক্ষা করেন, লারস শস্যক্ষেত্র এবং গৃহ সুরক্ষার দেবতা, প্যালেস চারণভূমি, শনি বপন, [[কেরেস|সেরেস]] শস্যের বৃদ্ধি, পমোনা ফলের এবং কনসাস ও ওপ ফসলের দেবতা। এমনকি মহামান্য জুপিটার, যিনি দেবতাদের শাসক, তিনি বৃষ্টির দেবতা, তিনি খামার এবং আঙুর ক্ষেতে বৃষ্টি দান করেন। তার চরিত্রের আরেকটি বিশেষ দিক তাকে বজ্রের দেবতা, মানুষের কর্মকান্ডের পরিচালক এবং রোমান জাতির রক্ষাকর্তা, অলক্ষ্যে তিনি তাদের সৈন্যবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রথম দিকে [[মার্স|মঙ্গল]] এবং কুইরিনাস উল্লেখযোগ্য দেবতা ছিলেন, তাদেরকে প্রায়শই একত্রে চিহ্নিত করা হয়। মার্স ছিলেন যুদ্ধদেবতা, তাকে মার্চ এবং অক্টোবর মাসে সম্মানিত করা হতো। আধুনিক পন্ডিতদেরপণ্ডিতদের ধারণা কুইরিনাস ছিলেন শান্তির সময়ে সশস্ত্র সম্প্রদায়ের রক্ষাকর্তা।
 
১৯-শতাব্দীর পণ্ডিত জর্জ উইসসোয়া<ref>Georg Wissowa, ''De dis Romanorum indigetibus et novensidibus disputatio'' (1892), full text (in Latin) [https://books.google.com/books?id=FYlbAAAAMAAJ&printsec=frontcover&dq=%22De+dis+Romanorum+indigetibus+et+novensidibus%22&lr=&as_drrb_is=q&as_minm_is=0&as_miny_is=&as_maxm_is=0&as_maxy_is=&as_brr=0&cd=4#v=onepage&q=&f=false online.]</ref> এর ধারণা রোমানদের দুই বিশিষ্ট শেণীর দেবতা ছিলো, ডাই ইন্ডিগেটেস এবং ডাই নোভেনসিডেস বা নোভেনসিলেস: ইন্ডিগেটেস ছিলো রোমান প্রদেশের প্রকৃত দেবতা, তাদের নাম এবং প্রকৃতি প্রথমদিকের পুরোহিতদের উপাধি দ্বারা এবং দিনপঞ্জির নির্ধারিত উৎসব দ্বারা নির্দেশিত হয়, বিশেষ উৎসবের মাধ্যমে এরকম ৩০ জন দেবতাকে সম্মানিত করা হয়; নোভেনসাইডেস হচ্ছে পরবর্তীকালের দেবদেবী যাদের প্রতিমা ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বিশেষ সংকটে বা প্রয়োজনে শহরে স্থাপিত হয়। আর্নল্ডো মোমিগলিয়ানো এবং অন্যান্যরা যুক্তি দেখান যে এই পার্থক্যের বিপক্ষে।<ref>Arnaldo Momigliano, "From Bachofen to Cumont," in ''A.D. Momigliano: Studies on Modern Scholarship'' (University of California Press, 1994), p. 319; Franz Altheim, ''A History of Roman Religion'', as translated by Harold Mattingly (London, 1938), pp. 110–112; Mary Beard, J.A. North and S.R.F. Price.</ref> হানিবালের সংগে যুদ্ধে রোমানদের আদিবাসী" ও "অভিবাসী" দেবতার পার্থক্য বিবর্ন হতে শুরু করে এবং রোমানেরা শক্তির প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন সংস্কৃতির দেবতার পূজা শুরু করে সার্বজনীন ঐশ্বরিক সাহায্যের প্রত্যাশায়।<ref>William Warde Fowler, ''The Religious Experience of the Roman People'' (London, 1922) pp. 157 and 319; J.S. Wacher, ''The Roman World'' (Routledge, 1987, 2002), p. 751.</ref>