জমিদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান) হীরক রাজা কর্তৃক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধিত। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল সংশোধনী এড়াতে সতর্কসংকেত ব্যবহার করা হয়েছে। ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন:
'''জমিদার''' [[শব্দ]]টি ([[হিন্দুস্তানি ভাষা|হিন্দুস্তানি]]: {{small|[[দেবনাগরী লিপি|দেবনাগরী]]:}}'' ज़मींदार
জমিদার এই পদবি বা শব্দটি [[ভূইয়া|ভূঁইয়া]] বা ভূপতি নামে যে দেশীয় পারিভাষিক শব্দটি প্রচলিত আছে তার সরাসরি প্রতিশব্দ বলা যায়। এই [[ভূঁইয়া]] বা ভূপতিরা ছিল ভারতের [[মুগল সাম্রাজ্য|প্রাক্-মুগল আমলের]] বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকারসূত্রে জমির মালিক। [[মুগল|মুগলগণ]] তৎকালে প্রচলিত ভূমি ব্যবস্থাকে তাদের আর্থ-রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থায় রূপান্তর করে। অবশ্য চিরাচরিত ক্ষমতা ও উৎপাদনের উপায়গুলি তেমন বিশেষ পরিবর্তিত হয় নি। মুগলদের আমলে গড়ে ওঠা জমিদারি বৈশিষ্ট্যগতভাবে সব এলাকায় একই রকম ছিল না, এমনকি, [[বাংলা]]-[[বিহার]] ও [[উড়িষ্যা|উড়িষ্যার]] সুবাগুলির ভিতরেও অঞ্চলভেদে পার্থক্য ছিল। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে রাজপক্ষ সরাসরি জমি নিয়ন্ত্রণ করত, কিন্তু বাংলায় সরকার কখনও তা করে নি। [[আকবরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার]] (১৫৮২) লক্ষ্য ছিল ব্যক্তি-চাষিকে সরাসরি বন্দোবস্ত দান, যা নানা কারণে সুদূর বাংলা প্রদেশে সম্ভব ছিল না। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশের বিশেষ ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য। প্রাক্-আধুনিক যুগে বাংলায় জমি কেবল উৎপাদনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয়ই ছিল না, জমি ছিল মর্যাদার প্রতীক এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির একটি উৎস। এ কারণে উচ্চাভিলাষী ব্যক্তিদের জন্য জমির ওপর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি ছিল নানা ধরনের সম্ভাবনার ধারক ও বাহক।
|