আলমগীর কবির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৬ নং লাইন:
আলমগীর কবির ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করেন [[মুক্তিযুদ্ধ]] ভিত্তিক চলচ্চিত্র [[ধীরে বহে মেঘনা]]। এই চলচ্চিত্রটির নির্মাণশৈলী বাংলাদেশে নির্মিত যেকোনো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র থেকে আলাদা। এটিতে কবির যুক্ত করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ও ফিকশন যেমন- মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধযাত্রা, ১৬ ডিসেম্বর ট্রাকভর্তি মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি এবং ঘরে ফেরার দৃশ্য। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে ''বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার'' (বাচসাস) এবং ''জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার'' লাভ করেন। এটি ছিল কবির পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে" />
এরপর ১৯৭৫ সালে কবির নির্মাণ করেন তার দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র [[সূর্য কন্যা]]। এই চলচ্চিত্রে কবির উপস্থাপন করেছেন ব্যক্তি, সমাজ ও ইতিহাসে নারীর অবস্থানের সাহসী ব্যাখ্যা। তার ''সূর্যকন্যা'র'' একটি স্বপ্নের সাহসী চরিত্র ছিল ''
কবির ১৯৭৭ সালে নির্মাণ করেন তার তৃতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র [[সীমানা পেরিয়ে]]। এটি নির্মাণ করা হয় মূলত ১৯৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের একটি সত্যি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেই সময় এই জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসলীলার প্রায় তিন মাস পর একজোড়া মানব-মানবীকে বরিশালের দক্ষিণের একটি সামুদ্রিক চরে আদিম পরিস্থিতিতে কোনো রকমে বেঁচে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ঢাকার তত্কালীন সংবাদপত্রে ঘটনাটির বিবরণ কবিরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি এর বেশ কয়েক বছর পর ''সীমানা পেরিয়ে'' নামের এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। সুদক্ষতার সাথে এই চলচ্চিত্র
এরপর ১৯৭৯ সালে নির্মাণ করেন [[রূপালী সৈকতে]] এটি ছিল কবিরের চতুর্থ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ''
১৯৮২ সালে কবির নির্মাণ করেন [[মোহনা]] চলচ্চিত্রটি, এটি তার পরিচালিত পঞ্চম পূর্ণদৈর্ঘ্য্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য রচয়িতার হিসেবে একটি পুরস্কার লাভ করেন। এটি আন্তজার্তিকভাবেও বেশ প্রশংসিত হয়। ১৯৮২ সালের ''মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব''-এ ''মোহনা'' চলচ্চিত্রের জন্য কবির '''ডিপ্লোমা অফ মেরিট''' লাভ করেন।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে" />
|