সমতা নারীবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
T. Galib (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
T. Galib (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: সংশোধন
১৩ নং লাইন:
ফ্রান্সে সংঘটিত অধিকাংশ সমতা নারীবাদ সফল হয়নি কিন্তু ১৮০০ শতকে উত্তর আমেরিকায় সংঘটিত অনেক আন্দোলনকে প্রভাবিত করে। অ্যাবিগেইল অ্যাডামস এবং মার্সি ওটিস ওয়ারেন ১৭৭৬ সালের সংবিধানে নারী স্বাধীনতা কোনো সহায়তা ছাড়াই যুক্ত করার চেষ্টা করেন। ১৯৪৮ সালে [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কে]] অবস্থিত সেনেকা জলপ্রপাতে সংঘটিত নারী চুক্তির মাধ্যমে এলিজাবেথ কেডি স্টান্টন এবং লুক্রেসিয়া কোফিন সহ হাজার হাজার নারী সমতা নারীবাদের গতি পরিবর্তন করে দেয়। এতে তারা স্বাধীনতার পাশাপাশি তারা সকল ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বৈধ সমতা দাবি করেন (শিক্ষা, ক্ষতিপূরণ, অর্থনৈতিক সুবিধা এবং ভোটাধিকার ইত্যাদি)। এলিজাবেথ কেডি স্টান্টন এবং সুজান বি. এনথোনি এর প্রভাবে এই আন্দোলন ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। ১৯৬৯ সালে জন স্টুয়ার্ট মিল “দ্যা সাবজেকশন অব ওমেন” প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতার অর্থ মানবিক এবং অধ্যাত্মিক অগ্রসরতা এবং প্রত্যেকের জন্য আরো সুখ নিয়ে আসবে বলে যুক্তি দেন।<ref name=Mills/>{{rp|87–89}}
 
ইউরোপে এই আন্দোলন অগ্রসর হওয়ার পর তা ১৯২০ সালে নারীর ভোটাধিকার আন্দোলন শুরুর পূর্ব পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। নারীরা পুরুষের সমান কিনা এ বিষয়টি নিয়ে অনেক নারী ভিন্ন মতের অধিকারী ছিলেন। বিশ্বজুড়ে নারীদের রাজনৈতিক, অথনৈতিক এবং শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষে জাতিসংঘ নারী মর্যাদা কমিশন (United Nations Commission on the Status of Women) স্থাপিত হওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকে। ফরাসি অস্তিত্ববাদী সিমোন দে বিউভোয়র তার কীর্তি “[[দ্বিতীয় লিঙ্গ]]” প্রকাশ করেন, যাতে তিনি নারী এবং লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত অনেক দাবির সত্যতা প্রকাশ করে দেন। ১৯৬৩ সালে সমতা নারীবাদ সংক্রান্ত আরেকটি সাহিত্য সামনে আসে। যা ‍ছিল বেটি ফ্রাইডেন এর “দ্যা ফেমিনাইন মিস্টিক” (The Feminine Mystique) তিনি “যে সমস্যার কোনো নাম নেই” তা নিয়ে এতে আলোচনা করেছেন, যা দ্বারা তিনি ১৯৫০ এর দশকের নারীদের মধ্যে বৃহৎভাবে বিস্তৃত থাকা হতাশাকে নির্দেশ করেছেন।<ref name=FB>Friedan, Betty. "The Feminine Mystique." The Essential Feminist Reader. Ed. Estelle B. Freedman. New York: Random House Group, 2007. Retrieved 2 October 2014.</ref> তথ্যের মাধ্যমে সমাজের তৈরি অসমতা দেখিয়েছেন যা এ দুঃখজনক পরিস্থিতির কারণ ছিল। সাথে তিনি তার নিজের সন্তানের যত্ন নিতে তার মনোস্তাত্ত্বিকের কর্মজীবন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ১৯৬৬ সালে জাতীয় সংস্থার উন্নয়নের সাথে এই সাহিত্যগুলোকে নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করে আবার যুক্তরাষ্ট্রে নারীবাদ জেগে ওঠে। এই সংঘ নারী এবং পুরুষের মধ্যে আবার সকল বৈষম্য দূর করতে নারীদের উপর থেকে সকল আইনী এবং সামাজিক বাধা সরিয়ে দিতে সংগ্রাম করে। ১৯৭২ সালে বেলা আফজাং, বেটি ফ্রেইডেন এবং গ্লোরিয়া স্টেইনেম এই সমতা অধিকার আন্দোলনকে কংগ্রেস পর্যন্ত নিয়ে যায়।<ref>Castro, Ginette. American Feminism: A Contemporary History. Trans. Elizabeth Loverde-Bagwell. New York: New York UP, 1990. Retrieved 1 October 2014.</ref>
 
==সমতা নারীবাদী তত্ত্ব==
সমতা নারীবাদ তত্ত্বীয় এবং দশর্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর সমতার প্রসারণকে বোঝায়। এর ভিত্তি ইচ্ছা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন এবং লক্ষ্যে নারী ও পুরুষের সমানতাকে সমর্থন করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সংস্কৃতির বাহিরে মানুষের প্রকৃতি সাধারণ এবং সমান।<ref name=Stanford/>{{Failed verification|reason=Citation refers to "Liberal Feminism, or the Equality Approach", article does not mention equality feminism| talk=Lead section|date=February 2018}}