চিন্ময় লাহিড়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২১ নং লাইন:
 
==সংগীত জীবন ==
বিখ্যাত ওস্তাদের কাছে সংগীতের তালিম নিলেও নানা পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনি নিজস্ব ঘরণার অজস্র রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে গিয়েছেন। তাঁর গানে শাস্ত্রীয় আঙ্গিকের সঙ্গে মধুর রস ও আত্মনিবেদনের সংমিশ্রণ ঘটে ছিল। তাঁর রাগ-রাগিনীর মধ্যে কয়েকটি হল শ্যামকোষ, যোগমায়া, প্রভাতী টোড়ি, সন্ত ভৈঁরো, কুসুম কল্যাণ ইত্যাদি। তাঁর অসামান্য সৃষ্টি "নন্দকোষ" ভারতের সংগীতবিদগ্ধ সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এক সঙ্গীত সম্মেলনে "নন্দকোষ" পরিবেশনের সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওস্তাদ[[ আলাউদ্দিন খাঁ ]] সাহেব ও উস্তাদ [[হাফিজ আলি খাঁ]] অভিভূত হয়ে পড়েন এবং দুজনেই অনুষ্ঠান শেষে তাঁর কাছ থেকে রাগের বন্দিশ সংগ্রহ করেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[অল ইন্ডিয়া রেডিও]] বর্তমানে [[আকাশবাণী]] কেন্দ্রের সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর ঢাকা বেতার কেন্দ্রে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে এইচ.এম.ভি. থেকে 'না মানে মানা' ও 'দুয়ারে এলো কে' - এই দুটি খেয়াল গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়। চিন্ময় লাহিড়ী "মগন" ছদ্মনামে বিভিন্ন রাগের বন্দিশ রচনা করেছেন। লক্ষৌতে থাকার ফলে ওঁর [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]] ও উর্দু ভাষার উপর বিশেষ দখল ছিল। এছাড়া তিনি বিভিন্ন রাগে ঠুমরি, দাদরা, হোলি, ত্রিবট, চতুরঙ্গ, গীত, ভজন, গজল, বাংলা রাগপ্রধান সৃষ্টি করে গিয়েছেন এবং স্বরলিপির আকারে উপস্থাপন করে গেছেন। তাঁর তৈরি অসংখ্য রাগরাগিণী বন্দিশ, তান ও বিস্তার, মগনগীত ও তানমঞ্জরী- এই সঙ্গীত গ্রন্থে র চারটি খণ্ডে নিবন্ধ আছে। চিন্ময় লাহিড়ী চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাকের কাজ করেন 'মানদণ্ড' ছায়াছবিতে। কয়েকটি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা ও কণ্ঠদান করেছেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে "শাপমোচন" ছবিতে [[প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়| প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] 'পটদীপ' রাগে দ্বৈতকণ্ঠে গাইলেন "ত্রিবেণী তীর্থপথে কে গাহিল গান" বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘদিন তিনি [[আকাশবাণী| আকাশবাণীর]] সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। [[রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়|রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে]] অধ্যাপনা করেছেন। সংগীত শিক্ষক হিসাবে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। যার মধ্যে একটু প্রতিভা বা সম্ভাবনা দেখেছেন, তাকে উৎসাহিত করেছেন এবং প্রাণ ভরে শিখিয়েছেন। ফলস্বরূপ বাংলার সঙ্গীত জগত পেয়েছে মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়,[[ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়| গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়]],[[পারভিন সুলতানা | বেগম পারভিন সুলতানা]], [[শিপ্রা বসু]],[[অখিলবন্ধু ঘোষ]] প্রমুখ স্বনামধন্য শিল্পীদের। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর পুত্র শ্যামল লাহিড়ী ও পুত্রবধূ মন্দিরা লাহিড়ী কলকাতায় তাঁর ছদ্মনাম 'মগন' নিয়ে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে গঠন করেছেন এক সাংস্কৃতিক সংস্থা 'মগন মন্দির '। <ref name ="ABP"> {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম = "ভাঙা গলাতেই পণ্ডিতজিকে গেয়ে শোনালেন পাল্টা"|ইউআরএল =https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/the-legacy-of-acharya-chinmoy-lahiri-1.1187396| সংগ্রহের-তারিখ = ১৭ আগস্ট ২০২০}}</ref >
 
==জীবনাবসান==