ইবনে রুশদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
হীরক রাজা কর্তৃক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধিত। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল সংশোধনী এড়াতে সতর্কসংকেত ব্যবহার করা হয়েছে।
৩৪ নং লাইন:
=== কর্মজীবন ===
[[চিত্র:Almohad Expansion.png|alt=ইবন রুশদের কর্মক্ষেত্র; আল-মোহাদ খেলাফতের সীমানা|থাম্ব|188x188পিক্সেল|আল-মোহাদ খেলাফতের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ইবন রুশদ অংশগ্রহণ করেছিলেন। খেলাফতের বিভিন্ন সময়কার সীমানার চিত্র এখানে প্রদর্শিত।]]
১১৫৩ সাল নাগাদ ইবন রুশদ আল-মোহাদ খেলাফতের রাজধানী [[মারাক্কেশ]] এ অবস্থান করছিলেন। কারণ নব্য প্রতিষ্ঠিত খেলাফতের নতুন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও মসজিদ নির্মাণ কাজে কিছু জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশে তার কাজ করতে হচ্ছিলো। তিনি জ্যোতির্বিদ্যার সমসাময়িক গানিতিকগাণিতিক নিয়ম গুলো নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না , তাই নতুন কিছু ভৌত সূত্র এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। তবে তাঁর এ প্রচেষ্টা তখন ব্যর্থ হয়। সম্ভবত মারাক্কেশে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি বিখ্যাত দার্শনিক ও ''হায়্যি ইবন ইয়াকযান'' এর রচয়িতা [[ইবনে তুফায়েল|ইবন তুফায়েল]] এর সাথে দেখা হয়েছিলো। ইবন তুফায়েলও তখন মারাক্কেশে রাজসভার চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের দুজনার মতভিন্নতা থাকলেও তাঁরা একে অপরকে বন্ধুত্বে বরণ করেছিলেন।
 
১১৬৯ সালে ইবন তুফায়েল ইবন রুশদকে আল-মোহাদ খলিফা আবু ইয়াকুব ইউসুফের সাথে পরিচয় করান। ঐতিহাসিক আবদুল ওয়াহিদ আল-মারাকুশির এক জনপ্রিয় বর্ণনায় বর্ণিত আছে যে খলিফা ইবন রুশদকে জিজ্ঞাসা করেন যে মহাবিশ্ব কি চিরকাল ধরে বিরাজমান নাকি এর কোনো শুরু ছিলো। এ মতবিরোধপূর্ণ প্রশ্নে ইবন রুশদ উত্তর দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হন। খলিফা তখন প্লেটো, অ্যারিস্টটল এবং মুসলিম দার্শনিকদের এ বিষয়ে মতামতের বর্ণনা করলেন এবং ইবন তুফায়েলের সাথে আলোচনায় মগ্ন হলেন। খলিফার জ্ঞানের এ প্রদর্শনীতে ইবন রুশদ আশ্বস্ত হলেন, ইবন রুশদ এ বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করলেন; এতে খলিফা ইবন রুশদের উপর যারপরনাই সন্তুষ্ট হলেন। ইবন রুশদ ও ঠিক একইভাবে খলিফার পাণ্ডিত্যে অবাক হয়েছিলেন, বলেছিলেন "খলিফার জ্ঞানের আধিক্য এমন যে তা আশাতীত ছিলো তাঁর নিজের কাছে"।
৯৯ নং লাইন:
ইবন বাজা এবং ইবন তুফায়েলের মতোই ইবন রুশদ [[ভূকেন্দ্রিক মডেল|টলেমিক ব্যবস্থা]]<nowiki/>র সমালোচনা করেন। টলেমিক মডেলে গ্রহ এবং তারার কর্তৃক প্রদর্শিত জটিল গতি ব্যাখ্যায় এপিসাইকেল এবং উৎকেন্দ্র এর ব্যবহার প্রত্যাখান করেন। অ্যারিস্টটলীয় নীতি অনুসারে তিনি মনে করতেন এ বিষয়টি অবশ্যই আরো সরল হবে। চাঁদের ঔজ্জ্বলের পার্থক্যে তাঁর দেয়া তত্ত্ব সতেরো শতক পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছিলো। পরবর্তীতে জানা যায় যে এ চাঁদের কলঙ্কের কারণ মূলত চন্দ্রপৃষ্ঠে বিদ্যমান পাহাড়। তিনি এবং ইবন বাজা সৌরকলঙ্ক পর্যবেক্ষণ করেন, যেগুলোর কারণ হিসেবে তারা [[মঙ্গল (গ্রহ)|মঙ্গল]] এবং [[শুক্র সরণ|শুক্রগ্রহের সরণকে]] দাঁড় করেছিলেন।.১১৫৩ সালে মারাক্কেশে পর্যবেক্ষণ চালানোর সময় তাঁরা ক্যানোপাস(আরবিঃ সুহাইল) তারকা দেখতে পান, যেটা তাঁর জন্মভূমি স্পেনের অক্ষাংশে গোচরীভূত হয় না। এ পর্যবেক্ষণকে তিনি অ্যারিস্টটলের গোলাকার পৃথিবীর সমর্থন হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন।
 
.ইবন রুশদ তাঁর সমসাময়িক আরব এবং আন্দালুসীয় জ্যোতির্বিদদের '"গানিতিকগাণিতিক" জ্যোতির্বিদ্যার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। যেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব করে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হলেও সৌরজগতের ভৌতগঠনের বিস্তারিক ব্যাখ্যা সংক্রান্ত প্রশ্নে আশানূরূপ উত্তরে অপারগ। তাঁর মতে, "আমাদের সমসাময়িক জ্যোতির্বিদ্যা সত্য প্রকাশে অক্ষম, শুধু হিসাবের মধ্যেই যার সফলতা সীমাবদ্ধ, প্রকৃত অস্তিত্বের সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।"
 
== প্রভাব ==