সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Towsif Ahmmed Sohan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Heliocentric.jpg|thumb|250px|right|সৌরকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের চিত্র]]
'''সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ''' বা '''সৌরকেন্দ্রিকতাবাদ''' (ইংরেজি ভাষায়: Heliocentrism বা heliocentricism)<ref>''Teaching about Evolution and the Nature of Science'' (National Academy of Sciences, 1998), p.27; also, Don O' Leary, ''Roman Catholicism and Modern Science: A History'' (Continuum Books, 2006), p.5.</ref> এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মডেল যাতে ধরে নেয়া হয় যে, স্থির [[সূর্য]] মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং তাকে কেন্দ্র করে [[পৃথিবী]] ও অন্যান্য গ্রহ আবর্তিত হয়। ইংরেজি শব্দ হেলিওসেন্ট্রিসিজম-এর উৎপত্তি গ্রিক মূল থেকে, গ্রিক ভাষায় ἥλιος (হেলিওস) অর্থ সূর্য এবং κέντρον (কেনত্রোন) অর্থ কেন্দ্র। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ ছিল [[ভূকেন্দ্রিক মডেল|ভূকেন্দ্রিক মডেলের]] বিরোধী যাতে পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্র বিবেচনা করা হতো। পৃথিবী যে সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয় এটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন গ্রিসের সামোস দ্বীপে জন্মগ্রহণকারী জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ [[আরিস্তারকোস (সামোস)আরিস্তারাকস|আরিস্তারকোসআরিস্তারাকস]], সেই তৃতীয় খিস্টপূর্বাব্দে। অবশ্য তার এই মতবাদ প্রাচীন জ্যোতির্বিদদের তেমন কোন সমর্থনই পায়নি।<ref>Dreyer (1953, [http://www.archive.org/stream/historyofplaneta00dreyuoft#page/n148/mode/2up pp.135–48)]; Linton (2004, [http://books.google.com.au/books?id=B4br4XJFj0MC&pg=PA38 pp.38&ndash;9)]. আরিস্তারকোস যে বইয়ে তার সৌরকেন্দ্রিক মডেল তুলে ধরেছিলেন তা এখন আর পাওয়া যায় না, কেবল [[আর্কিমিডিস|আর্কিমিডিসের]] ''The Sand Reckoner'' বইয়ে এর বর্ণনা পাওয়া যায়।</ref>
 
এর দীর্ঘকাল পর মাত্র ১৬শ শতকে সৌরকেন্দ্রিক জগতের একটি যুক্তিযুক্ত ও সঠিক গাণিতিক মডেল উপস্থাপন করেন ইউরোপীয় রেনেসাঁ যুগের গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং ক্যাথলিক ধর্মবেত্তা [[পোল্যান্ড|পোল্যান্ডের]] [[নিকোলাউস কোপের্নিকুস]]। তার মাধ্যমেই জন্ম হয় কোপের্নিকুসীয় বিপ্লবের। কোপের্নিকুসের পর তার মডেলটির আরও উন্নতি সাধন করেন জার্মান জ্যোতির্বিদ [[ইয়োহানেস কেপলার]] এবং ইতালীয় বিজ্ঞানী [[গালিলেও গালিলেই]] সর্বপ্রথম একটি [[দুরবিন]] ব্যবহার করে তত্ত্বটির পক্ষে শক্ত পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণ হাজির করেন।