গোয়ালপাড়া জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বাহ্যিক সংযোগ → বহিঃসংযোগ
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
৭৬ নং লাইন:
৩) রূপহীর থেকে ভরলী নদী পর্যন্ত স্বর্ণপীঠ।<br>
৪) ভরলীর থেকে দিকরাই পর্যন্ত সৌমরপীঠ।<br>
পশ্চিমের সেই রত্নপীঠ আজকের গোয়ালপাড়া (অবিভক্ত) জেলা। প্রাচীনকালে [[অসম]] প্রাগজ্যোতিষপুর ও কামরূপ নামে প্রসিদ্ধ ছিল। প্রাগজ্যোতিষপুরের সীমা পশ্চিমে করতোয়া নদী (বর্তমান বাংলাদেশে) ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তেমনিভাবে বর্তমান অসম, বাংলাদেশ ও ভূটানভুটান প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
 
সেই প্রাচীনকালে ব্রহ্মপাল (আঃ ৯৯০-১০১০) কামরূপের রাজা হন ও পালবংশের পত্তন করেন। অবশ্য ব্রহ্মপালের আগে বহু বংশের বহু রাজাই এই অঞ্চলগুলিতে বা কামরূপে রাজত্ব করেছিলেন। ব্রহ্মপালের পরে ক্রমে রত্নপাল (আঃ ১০১০-১০৪০), ইন্দ্রপাল (১০৪০-১০৬৫), গোপাল (১০৬৫-১০৮০), হর্ষপাল (১০৮০-১০৯৫), ও ধর্মপাল (১০৯৫-১১২০) কামরূপর রাজা হন। রত্নপালের সময় রাজ্যের পশ্চিম অংশে ``গাল্লিটিপ্পক`` বিষয়ে মহামাণ্ডলিক ছিলেন ঈশ্বরঘোষ এবং ঈশ্বরঘোষের তাম্রলিপিতে ``গাল্লিটিপ্পক`` বিষয়র উল্লেখ আছে। ধর্মপাল রাজা হয়ে রাজধানী প্রাগজ্যোতিষপুর থেকে কামরূপ নগর স্থানান্তরিত করেন এবং তখনকার কামরূপ নগর হয়তো বর্তমানের [[উত্তর গুয়াহাটি]]। ধর্মপাল `কামরূপ নগর` রাজধানীর থেকে শাসন করতেন এবং সেখান থেকেই সেই ঈশ্বরঘোষের তাম্রলিপিতে থাকা `গাল্লিটিপ্পকই` পরবর্তীকালে গোয়ালপাড়া হয়।<ref name="kuldeep">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=গোয়ালপাড়া জেলার রূপরেখা | লেখক=Kuldeep Nath}}</ref>