আজম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
৬০ নং লাইন:
 
== মুক্তিযোদ্ধা আজম খান ==
[[ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের]] সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তখন তিনি [[ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী]]র সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানীপাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে [[গণসঙ্গীত]] প্রচার করেন। প্রথম দিকে তিনি আব্দুল লতিফের গাওয়া গণসঙ্গীত গাইতেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ntvbd.com/entertainment/2636/আজম-খুব-সাধারণ-ছিল--আলম-খান|শিরোনাম=আজম খুব সাধারণ ছিল : আলম খান|ওয়েবসাইট=NTV Online|সংগ্রহের-তারিখ=2019-06-10}}</ref>। ১৯৭১ সালে আজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর ছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি।<ref name=bdnews>[http://glitz.bdnews24.com/details.php?catry=2&showns=30 glitz.bdnews24.com] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080810134314/http://glitz.bdnews24.com/details.php?catry=2&showns=30 |তারিখ=১০ আগস্ট ২০০৮ }}, আজম খানের মুক্তিযুদ্ধ।</ref>। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি পায়ে হেঁটে [[আগরতলা]] চলে যান। আগরতলার পথে সঙ্গী হন তাঁর দুই বন্ধু। তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের [[মেলাঘর]]ের শিবিরে। সেখানে তিনি শহিদ জননী [[জাহানারা ইমাম]]ের জ্যেষ্ঠ পুত্র [[শাফী ইমাম রুমী]]<nowiki/>র কাছে এলএমজি, রাইফেল চালানোসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।<ref name="bdnews" /> এ সময়ে তাঁর লক্ষ্য ছিল [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টরসমূহের তালিকা|সেক্টর ২]] এ [[খালেদ মোশাররফ]]ের অধীনে যুদ্ধে যোগদান করা। আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তাঁর গাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগাতো। যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনি [[কুমিল্লা]]য় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেয়া শুরু করেন। কুমিল্লার [[সালদায়]] প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন।<ref name="bdnews" /> এর কিছুদিন পর তিনি পুনরায় আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইন-চার্জ।<ref name="bdnews" /> আর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল [[খালেদ মোশাররফ]]। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। আজম খান মূলত [[যাত্রাবাড়ি]]-[[গুলশান]] এলাকার [[গেরিলা যুদ্ধ|গেরিলা অপারেশনগুলো]] পরিচালনার দায়িত্ব পান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তাঁর নেতৃত্বে সংঘটিত "[[অপারেশান তিতাস|অপারেশন তিতাস]]"। তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে [[ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা|হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল]], [[হোটেল পূর্বাণী]]'র গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাঁদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশিরা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে তিনি তাঁর বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। যা পরবর্তীকালে তাঁর শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়। আজম খান তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাক সেনাদের]] পরাজিত করেন।<ref name="dailystar" />
 
== গায়ক আজম খান ==