সমতা নারীবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
T. Galib (আলোচনা | অবদান)
T. Galib (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: সম্প্রসারণ
১৩ নং লাইন:
 
ইউরোপে এই আন্দোলন অগ্রসর হওয়ার পর তা ১৯২০ সালে নারীর ভোটাধিকার আন্দোলন শুরুর পূর্ব পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অনেক নারী পুরুষ এবং নারী সমান কিনা এ বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মতের অধিকারী ছিলেন। বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক, অথনৈতিক এবং শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষে ‘United Nations Commission on the Status of Women’ স্থাপিত হওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকে। ফরাসি অস্তিত্ববাদী সিমোন দে বিউভোয়র তার কীর্তি ‘The Second Sex’ প্রকাশ করেন, যাতে তিনি নারী এবং লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত অনেক দাবির সত্য প্রকাশ করে দেন। ১৯৬৩ সালে সমতা নারীবাদ সংক্রান্ত আরেকটি সাহিত্য সামনে আসে। বেটি ফ্রাইডেন এর ‘The Feminine Mystique’ তিনি “যে সমস্যার কোনো নাম নেই” তা আলোচনা করেছেন, যা দ্বারা তিনি ১৯৫০ এর দশকের নারীদের মধ্যে বৃহৎভাবে বিস্তৃত থাকা দঃখকে নির্দেশ করেছেন। তথ্যের মাধ্যমে সমাজের তৈরি অসমতা দেখিয়েছেন যা এ দঃখজনক পরিস্থিতির কারণ ছিল সাথে তিনি তার নিজের সন্তানের যত্ন নিতে তার মনোস্তাত্ত্বিকের কর্মজীবন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ১৯৬৬ সালে জাতীয় সংস্থার উন্নয়নের সাথে এই সাহিত্যগুলোকে নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করে আবার যুক্তরাষ্ট্রে নারীবাদ জেগে ওঠে। এই সংঘ নারী এবং পুরুষের মধ্যে আবার সকল বৈষম্য দূর করতে নারীদের উপর থেকে সকল আইনী এবং সামাজিক বাধা সরিয়ে দিতে সংগ্রাম করে। ১৯৭২ সালে বেলা আফজাং, বেটি ফ্রেইডেন এবং গ্লোরিয়া স্টেইনেম এই সমতা অধিকার আন্দোলনকে কংগ্রেস পর্যন্ত নিয়ে যায়।
==সমতা নারীবাদী তত্ত্ব==
সমতা নারীবাদ তত্ত্বীয় এবং দশর্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর সমতার প্রসারণ। এর মূলে ইচ্ছা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন এবং লক্ষ্যে নারী ও পুরুষের সমানতা সমর্থন করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সংস্কৃতির বাহিরে মানুষের প্রকৃতি সাধারণ এবং সমান।
 
অধিকাংশ সমতা নারীবাদ নারী এবং পুরুষ উভয়ের মতের মিলকে নিরপেক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সমবাদ হিসেবে গণ্য করে। মেরি ওলস্টোনক্রাফ্ট "A Vindication" (১৭৯২) -এ নারীদের মানুষ হিসেবে সমান আইনী এবং রাজনৈতিক অধিকার পাওয়া উচিত। এছাড়াও, তিনি বিশেষভাবে যেসব অধীকার নিয়ে পুরুষ এবং নারী উভয়ই বিতর্ক করে সেগুলো জড়ালো করতে বিতর্ক করেছেন। অনুরূপভাবে, নারী এবং পুরুষের বিতর্কের দক্ষতা একই থাকায় তাদের তাদের সমান অধিকার পাওয়া উচিত। [[জন স্টুয়ার্ট মিল]] "The Subjection of Women" (১৮৬৯) -এ সমাজকে অবশ্যই যুক্তির মাধ্যমে প্রস্তুত হতে হবে এবং “জন্ম দুঘর্টনা” প্রাসঙ্গিক নয়। নারী ও পুরুষ উভয়ই যুক্তি মান্য করলে জৈবিক উপাদান, যেমন, লিঙ্গ, জাতি কারো গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতিগত বিষয় হিসেবে থাকে না। মিল অনুভব করেন যে, “একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, নারীদের অধীনে রাখতে পুরুষেরা তাদের কাছে ভদ্রতা এবং আজ্ঞাবহভাবে পুরুষের কাছে প্রত্যেকের সমর্পনকে যৌন আকর্ষণ হিসেবে প্রদর্শন করে।” অনুরূপভাবে নারীদের তাদের লিঙ্গের সমর্পনের বৈশিষ্ট্য প্রকৃতিগতভাবে আছে তা বলা একটি বিরোধিতামূলক পদক্ষেপ হবে, যা সকল মানুষের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণকারী যুক্তির মৌলিক নীতির মূল নীতির বিরুদ্ধে যায়।
 
==তথ্যসূত্র==