নিরঞ্জন ধর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
২৮ নং লাইন:
==বামপন্থী ধ্যানধারণায় যুক্তিবাদী মননের বহিঃপ্রকাশ ==
 
স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের সময়ই নিরঞ্জন ধর [[মানবেন্দ্র নাথ রায় |মানবেন্দ্র নাথ রায়ের]] Radical Democratic Party র বিশ্বস্ত সদস্য হন। মিতভাষী, আত্মমগ্ন, শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের এই স্থিতধী মানুষ সেই অর্থে activist হয়ে ওঠেন নি। মনোযোগী শ্রোতা হয়ে সুকৌশলে কলমের ব্যবহার করেছেন। মানবেন্দ্র নাথ রায়ের Independent India পত্রিকায় তাঁর প্রথম লেখা Trojan Horse প্রকাশিত হয় । তিনি সেই সময় ইংরাজীতে বেশীবেশি লিখতেন। তাঁর লেখা 'Vedanta and Bengal Renaissance' বইটি ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র ও গবেষকদের কাছে এবং গণবিজ্ঞানকর্মী, বামপন্থায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সকল কর্মীদের পাঠযোগ্য মূল্যবান সম্পদ। কারোর অনুরোধ বা অনুপ্রেরণায় মাঝে মধ্যে বাংলায় প্রবন্ধ রচনা করতেন। গোঁড়া রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দভক্ত পরিবারের ছেলে হলেও 'জিঞ্জাসা' ও 'উৎস মানুষ'পত্রিকায় প্রকাশিত রামকৃষ্ণ,বিবেকানন্দ রাণী রাসমণি, নিবেদিতা, অরবিন্দ, চৈতন্য ও চৈতন্য পরবর্তী 'হরে কৃষ্ণ আন্দোলন' প্রভৃতির উপর তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠ নির্মোহ দৃষ্টিতে তাঁর যুক্তিবাদী লেখা তুমুল আলোড়ন তুলেছিল । বস্তুনিষ্ঠ গবেষণায় মনীষীবৃন্দের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায় তা শিখিয়েছেন। তখনকার সময়ে , বলা বাহুল্য, এটি ছিল অত্যন্ত কঠিন এক বৈপ্লবিক প্রয়াস। 'বিবেকানন্দ অন্য চোখে' গ্রন্থটি তাঁর উল্লেখযোগ্য উপস্থাপনা । প্রখ্যাত গবেষক-অধ্যাপক নৃসিংহ প্রসাদ শীল নিরঞ্জন ধর সম্পর্কে শিখেছেন -
 
{{উক্তি | স্বামীজির পুনর্মূল্যায়নের ব্যপারে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় । আমি আমার " Ramakrishna Revisited : A New Biography (1998)" বইটি অধ্যাপক ধরের নামে উৎসর্গ করেছিলাম । কারণ, তিনি ছিলেন আমার সত্যিকারের গুরু-ঐতিহাসিক পুনর্মূল্যায়নের পরিপেক্ষিতে । তাঁর সব লেখা নতুন প্রজন্মের ঐতিহাসিকদের অবশ্যপাঠ্য হওয়া দরকার । কেননা অধ্যাপক নিরঞ্জন ছিলেন এবং চিরদিন থাকবেন, এক কিংবদন্তিসম Humanitarian Historian হয়ে।"}}