ওয়াশিংটন, ডি.সি.: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৬৩ নং লাইন:
|website = [http://www.dc.gov/ www.dc.gov]
}}
'''ওয়াশিংটন, ডি.সি.''' ({{lang-en|Washington D.C.}}) [[উত্তর আমেরিকা]]র দেশ [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] রাজধানী শহর। ওয়াশিংটন শহরটি কোনও মার্কিন অঙ্গরাজ্যের অংশ নয়। এটি [[ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়া]] (District of Columbia, সংক্ষেপে D.C.'' ডি.সি.'') নামক একটি বিশেষ কেন্দ্রশাসিত জেলাতে অবস্থিত। শহর ও জেলা একই ভূখণ্ডের উপর অবস্থিত। শহরটি [[পটমাক নদী]]র তীরে, [[ম্যারিল্যান্ড]] ও [[ভার্জিনিয়া]] অঙ্গরাজ্যের মধ্যবর্তী একটি স্থানে অবস্থিত। ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য শহরটিকে প্রায় সব দিকে থেকে ঘিরে রেখেছে। কেবল শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নদীর অপর তীরে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য অবস্থিত। এর আয়তন ১৭৯ বর্গকিলোমিটার (কলকাতা শহরের চেয়ে কিছু ছোট)।
 
১৭৯০ সালে উত্তরের ও দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে রাজনৈতিক আপোষমূলক সমাধান হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি [[জর্জ ওয়াশিংটন]] এই স্থানটি নির্বাচন করেন। তাঁর নামেই শহরটির নামকরণ করা হয়। জর্জ ওয়াশিংটনের নির্বাচিত স্থানে শহরটিকে একটি জাতীয় রাজধানী হিসেবে শূন্য থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়; এরকম প্রকল্প বিশ্বে বিরল। প্রকৌশলী [[পিয়ের-শার্ল লঁফঁ]] শহরের নকশা করেন। ১৮০০ সালে এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করা শুরু করে। ১৮১২-র যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা ১৮১৪ সালে হোয়াইট হাউসসহ শহরটির অনেক ভবন পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। সেগুলিকে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৮ সালে জর্জটাউন শহরটিকে ওয়াশিংটন শহরের অঙ্গীভূত করে নিলে শহরটি ও ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়া জেলাটি একই সীমানার অধিকারী হয়ে যায়। ১৮৬৫ সালে মার্কিন গৃহযুদ্ধের অবসানের পরে বহু মুক্ত ক্রীতদাস ওয়াশিংটন শহরে থাকতে আসে, ফলে শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ২০ শতকে শহরের বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা পেন্টাগনে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত করে। এরপরে সরকারী ভবনগুলির নিরাপত্তাতে অনেক কড়াকড়ি শুরু হয়।
 
ওয়াশিংটনে কেন্দ্রীয় মার্কিন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ভবনগুলি অবস্থিত। এগুলিকে ''দ্য মল'' নামের একটি প্রশস্ত ঘাসাচ্ছাদিত এলাকার চারপাশ ঘিরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মার্কিন আইন প্রণয়নকারী সংসদ সদস্যদের কার্যালয় ক্যাপিটল হিল ভবন, মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবন হোয়াইট হাউস উল্লেখ্য।
 
ওয়াশিংটন শহরে ৩০০রও বেশীবেশি স্মৃতিরক্ষণমূলক মূর্তি ও স্থাপনা আছে। এদের মধ্যে ওয়াশিংটন স্মৃতিস্তম্ভ, লিংকন স্মরণিকা, জেফারসন স্মরণিকা, ভিয়েতনাম যুদ্ধে শহীদ যোদ্ধাদের স্মরণিকা উল্লেখযোগ্য।
 
ওয়াশিংটন ডিসির শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউশন বিখ্যাত। এটি শহরের অনেকগুলি জাতীয় পর্যায়ের জাদুঘর পরিচালনা ও দেখাশোনা করে। লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগার। এছাড়া এখানে বিদেশী দূতাবাসগুলি অবস্থিত।
 
নগরীর অর্থনীতি সরকারী কর্মকাণ্ড, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পর্যটন খাতকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। মার্কিন সরকার শহরের বৃহত্তম নিয়োগকর্তা। আইন, ব্যবসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও গুরুত্বপূর্ণ।