সংকর (জীববিজ্ঞান): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tofazzal Hossain Topu (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Tofazzal Hossain Topu (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
৩ নং লাইন:
জীববিজ্ঞানের ভাষায়, দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আন্তঃপ্রজননের ফলে উদ্ভূত নতুন প্রজন্মকে ওই দুই প্রজাতির সংকর (হাইব্রিড বা ক্রসব্রিড) বলে। সঙ্কর জীব তাদের নিজস্ব গুণাবলির অধিকারী হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সংকরটি তার পিতামাতা থেকে ভিন্ন এবং উন্নত বৈশিষ্টও দেখাতে পারে। কখনো কখনো পিতামাতার চেয়ে বড় বা লম্বা হয়। প্রাণী এবং উদ্ভিদে হাইব্রিডের ধরনটি আলাদা। বংশানুবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে জীবটি সঙ্করায়ণের জন্য ক্রোমজোম সংখ্যা এবং নিজেদের মধ্যকার কতটুকু মিল রয়েছে তা প্রাধান্য পায়।
 
প্রজাতিগুলোর মধ্যে সংকরায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধাগুলো হল জেনেটিক এবং মরফোলজিকাল পার্থক্য, উর্বরতার বিভিন্ন সময়, সঙ্গমের আচরণ ও সংকেত এবং শুক্রাণু কোষের কার্যক্ষমতা ও ভ্রুনের অবস্থা। কেউ কেউ নিষেকের আগে আবার কেউ কেউ নিষেকের পরে কাজ করে। প্রানীদেহের মত উদ্ভিদেও সংকরায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধাগুলো একইরকম। যেমন বিভিন্ন উদ্ভিদে ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন রকম। আবার ক্রোমোসোমগুলির কাঠামোর পার্থক্যও একটা ব্যাপার। এছাড়াও পরাগ ভেক্টর, পরাগ টিউব বৃদ্ধির বাধা, সোমটোপ্লাস্টিক স্টেরিলিটি, সাইটোপ্লাজমিক-জেনিক পুরুষ স্টেরিলিটির পার্থ্যকও সংকরায়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সাধারনত একারনেই শুধুমাত্র কিছু কিছু প্রানী এবং বেশ কয়েকটি উদ্ভিদে সংকর দেখা যায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ সংকর যদি বলি সেটা হচ্ছে গম।
 
পরিবেশের উপর মানুষের প্রভাবের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আন্তঃপ্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী নতুন নতুন প্রজাতির বিস্তার ও সংকরায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। সংকরায়নের ফলে যেই জেনেটিক মিক্সিং ঘটে সেটা আসলে অনেক প্রজাতির জন্য বিলুপ্তির হুমকি স্বরূপ। অন্যদিকে ফসলের ক্ষেত্রে সংকরায়নের ফলে যে জিনগত ক্ষয় হয় তা ভবিষ্যতের বংশবৃদ্ধি ক্ষতি করতে পারে।
 
== বুৎপত্তিগত অর্থ ==