নারিকেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন , বিষয়শ্রেণী , হালনাগাদ করা হল ।
১ নং লাইন:
{{উৎসহীন|date=ডিসেম্বর ২০২০}}
{{ছোট নিবন্ধ|date=ডিসেম্বর ২০২০}}
{{হালনাগাদ|date=ডিসেম্বর ২০২০}}
{{taxobox
|name = ''নারিকেল''<br />''Cocos nucifera''
২৪ ⟶ ২১ নং লাইন:
[[File:Coconut trees of Bangladesh 05.jpg|thumb|নারিকেল গাছ]]
[[চিত্র:Cocos nucifera14.jpg|thumb|330px|নারিকেল]]
'''নারিকেল''', '''নারকোল''', '''নারকেল''' বা '''ডাব''' [[বৈজ্ঞানিক নাম]]: ''Cocos nucifera'')<ref>https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4671521/</ref> এরিকাসি পরিবারে কোকোস গণের গুরুত্বপূর্ণ ফল । এরা এই গণের একমাত্র জীবিত প্রজাতি। এদের ইংরেজী নাম Coconut<ref>https://en.wikipedia.org/wiki/Coconut</ref>.
 
কোকোপিট:কোকোপিটেরকোকোপিট বা coir<ref>https://en.wikipedia.org/wiki/Coir</ref>এর একমাত্র উৎস নারিকেল। নারিকেলের ছাল বা ছোবড়া কোকোপিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই কোকোপিট ছাদ বাগান ও নার্সারিতে চারা উৎপাদনে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
 
==বিবরণ==
 
নারিকেল গাছ বিরাট উঁচু আকারের হয় এবং এর কোনো ডালপালা গজায় না । কচি নারিকেলকে '''ডাব''' বলে । নারিকেলের উপর যে স্তর থাকে তাকে ছোবড়া বলে। ছোবড়ার পরে একটি কঠিন খোলা বা খোলস থাকে । এই কঠিন খোলার ভিতরে সাদা রঙের শাঁস ও জল থাকে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে নারকেল গাছকে তৃনরাজ বলা হয়
নারিকেল গাছ বিরাট উঁচু আকারের হয় এবং এর কোনো ডালপালা গজায় না । কচি নারিকেলকে '''ডাব''' বলে । নারিকেলের উপর যে স্তর থাকে তাকে ছোবড়া বলে। ছোবড়ার পরে একটি কঠিন খোলা বা খোলস থাকে । এই কঠিন খোলার ভিতরে সাদা রঙের শাঁস ও জল থাকে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে নারকেল গাছকে তৃনরাজ বলা হয়।নারিকেল গাছ বিশ্বের উষ্ণমন্ডলে বিস্তৃত; বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলে নিচু জমি ও ক্ষুদ্র দ্বীপাঞ্চলে এ গাছ ভাল জন্মে। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া এবং ভারতে এ গাছ প্রচুর জন্মে। গাছের উচ্চতা হয় ২০-৩০ মিটার, কান্ড মসৃণ ও বেলনাকার, উপরের দিকে ক্রমশ সরু। বাংলাদেশের সর্বত্রই নারিকেল গাছ জন্মে। তবে সমুদ্রতীরবর্তী লোনা মাটিতে এর উৎপাদন ভাল। বাংলাদেশে যেসব নারিকেলের চাষ করা হয় সেগুলি হচ্ছে টিপিকা সবুজ, টিপিকা বাদামি ও দুধে। জাতভেদে বছরে প্রতি গাছে ২০০ বা ততোধিক নারিকেল পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক দিক থেকে নারিকেল গুরুত্বপূর্ণ ফল। সম্প্রতি এই অঞ্চলের কোন কোন শহরের পথতরু হিসেবেও নারিকেল রোপিত হচ্ছে। বাংলাদেশে নারিকেল চাষের জমি এবং উৎপন্ন নারিকেলের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৫,১৯২ হেক্টর ও ২,৭১,১৩৫ মে. টন।
 
==বংশবিস্তার==
 
বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে সব ধরনের পাম বৃক্ষের বংশবিস্তার করা হয়। তবে টিস্যু কালচার করেও একেক দফায় নারিকেলের কোটি কোটি চারা উৎপাদন করা সম্ভব। এভাবে চারা উৎপাদন করে বড় করে লাগানোর উপযোগী করতে ৩-৪ বছর সময় নিবে। এ প্রক্রিয়ায় চারা তৈরি কেবল গবেষণা কাজে ব্যবহার হয়। তাই পরিপক্ব বীজ নারিকেল থেকে চারা (Sexual propagation)<ref>https://www.ndsu.edu/pubweb/chiwonlee/plsc211/student%20papers/articles11/mpritchett/sexualprop.html</ref> উৎপাদন করা একমাত্র সহজ ও প্রচলিত জনপ্রিয় উপায়।
 
==ব্যবহার==
 
নারিকেলের শক্ত শাঁস দুধের মতো সাদা এবং বেশ সুস্বাদু। এর শাঁস বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরিতে, মিষ্টি, বিস্কুট, চকোলেট ও বিবিধ রান্নায় ব্যবহার্য। শুকনো নারিকেলের শাঁস থেকে তৈরি উদ্ভিজ্জ তৈল মাথায় ব্যবহার ছাড়াও রান্নায়, সাবান, শ্যাম্পু এবং অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহূত হয়। তেল নিষ্কাশনের পর পরিত্যক্ত খৈল পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়। নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে শক্ত দড়ি, ব্রাশ, জাজিম, পাপোশ তৈরি করা যায়। নারিকেলের খোল দিয়ে তৈরি হয় হুঁকো। কাঁচা ও শুকনো পাতা দিয়ে মাদুর ও ঝুড়ি তৈরি এবং কুঁড়েঘর ছাওয়া যায়। পাতার মধ্যশিরা দিয়ে ঝাঁটা তৈরি করা যায়। কচি নারিকেলকে ডাব বলা হয়; ডাবের পানি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। ডাব কোষকলাচাষের <ref>https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BE_%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8</ref>(tissue culture) অন্যতম মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহূত হয়। গাছের কান্ড দিয়ে ঘরের আড়া, পুলের খাম্বা, ঘরের খুঁটি ও বর্শার হাতল তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ফল ও অন্যান্য কাজের জন্য বসতবাড়ির গাছ হিসেবে ব্যাপকভাবে এ গাছ লাগানো হয়।
 
==পুষ্টি গুণ==
 
* নারিকেল শাঁসের পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে আছে ৩৫৪ ক্যালরী[[ক্যালরি]], ৩৩ গ্রাম ফ্যাট[[স্নেহ পদার্থ]], ২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩৫৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন।[[আমিষ]]। এছাড়াও [[ভিটামিন সি]], [[ক্যালসিয়াম]], [[আয়রন]], [[ম্যাগনেসিয়াম]], [[ভিটামিন বি]]-৬ ও বি-১২ রয়েছে।
* ত্বক কোমল করে
* ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে নারিকেলের শাঁস। নিয়মিত এই শাঁস খেলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়। এছাড়াও ত্বকে সহজে বয়স জনিত বলিরেখা পড়েতে দেয় না এই নারিকেল।
৪৩ ⟶ ৪৯ নং লাইন:
* নারিকেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের সমস্যা দূর করে। এর মধ্যে যে ফ্যাটি এসিড রয়েছে তা কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং আথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।
* ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে।
* নারিকেল রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিসজনিত[[ডায়াবেটিস]]জনিত কারণে শরীরের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।
* ওজন কমায়‌।
* নারিকেল অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে। নারিকেল খুব অল্প ক্যালোরিতেই মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে অল্পক্ষণের মধ্যেই শরীরে শক্তি যোগায়। তাই নারিকেলের শাঁস খেলে সহসা ক্ষুধা লাগে না। সেক্ষেত্রে শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক এই নারিকেল শাঁস।
৫০ ⟶ ৫৬ নং লাইন:
* হজম সহায়ক।
* হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও এমিনো এসিড শোষণ করে নিতেও সহায়তা করে নারিকেল।
 
এছাড়া লিভারের অসুখের ক্ষেত্রে [[হেপাটাইটিস সি]], [[জন্ডিস]] ও অন্যান্য লিভারের অসুখে বেশ ভাল কাজ দেয় নারিকেলের দুধ। নিয়মিত নারিকেলের শাঁস খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও অন্যানো আরও কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় অনেকখানি।
এই শাঁস ও জল খাওয়া হয় । ডাবের জলে [[পটাশিয়াম]] ও [[সোডিয়াম]] থাকে<ref name="ReferenceA">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | শেষাংশ = সংবাদদাতা | প্রথমাংশ = হাসান ইমাম | শিরোনাম = নানা গুণের নারকেল | প্রকাশক = [[প্রথম আলো]] | তারিখ = নভেম্বর ০৩, ২০১৫| ইউআরএল = http://www.prothomalo.com/life-style/article/672781/নানা-গুণের-নারকেলl | সংগ্রহের-তারিখ = ২৪ নভেম্বর ২০১৬}}</ref>।
নারিকেলের শাঁস দিয়ে নানা রকম খাবার তৈরি হয় । [[পিঠা|পিঠে পুলি]] বানাতে নারিকেল কাজে লাগে । নারিকেল থেকে তেলও নিষ্কাশন করা হয় যা মাথায় মাখা হয় বা খাওয়া হয়। নারিকেল গাছের সমস্ত অংশই কোন না কোন কাজে লাগে । নারিকেল পাতার কাঠি থেকে ঝাঁটা বা ঝাড়ু তৈরি করা হয়।
 
 
 
==চিত্রশালা==
৬৭ ⟶ ৭৫ নং লাইন:
==তথ্যসুত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
<references/>
{{অসম্পূর্ণ}}
<references/>
<references/>
<references/>
<reference/>
 
==বহিঃসংযোগ==
৮৪ ⟶ ৯৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:আলংকারিক উদ্ভিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:শস্য]]
[https://www.webmd.com/vitamins/ai/ingredientmono-1492/coconut আরও জানুন]
[https://www.everydayhealth.com/diet-nutrition/diet/coconut-nutrition-facts-health-benefits-beauty-benefits-recipes/ Health benefits of Coconut]